জবি সংবাদদাতা
ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলে অবস্থান করায় হলে থাকা ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার ও সহকারী হাউস টিউটর দীপিকা মজুমদারের বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে অভিযোগ দিলে বা কথা বললে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিলের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হলের অফিসরুমে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পর পরীক্ষা থাকায় এবং অনেক ছাত্রী হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের ছুটিতে হল বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় প্রায় ২০ জনের মতো ছাত্রী বাড়িতে না গিয়ে হলেই অবস্থান করেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হলে অবস্থান করা ছাত্রীদের হল প্রভোস্টের অফিসরুমে ডেকে নেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার ও সহকারী হাউস টিউটর দীপিকা মজুমদার। এ সময় দু-তিনজন ছাত্রী সেখানে গেলে তাঁদের বকাঝকা করেন তাঁরা। পরে আরও কয়েকজন ছাত্রী গেলে তাঁদেরও বকাঝকা করা হয়। এ সময় ছাত্রীরা ঈদের ছুটিতে বাড়ি না যাওয়ায় স্টাফরা ছুটি পাননি বলে বকাঝকা করেন এবং ছাত্রীদের শাসান হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটর।
হলের ডিউটি করতে গিয়ে প্রভোস্ট তাঁর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে যেতে পারেননি এমন উদাহরণ টেনে ছাত্রীদের বকাঝকা করা হয়। এসব নিয়ে মুখ খুললে কিংবা আন্দোলন করলে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিল করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন হল প্রভোস্ট। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে এবং বাধ্য হয়ে হলে অবস্থান করা অনেক ছাত্রীই হল ত্যাগ করছেন। অনেকেই হল ত্যাগ করে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। আবার অনেকেই নিজেদের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলে অবস্থান করা এক ছাত্রী বলেন, ‘আমার ঈদের পর পরীক্ষা থাকায় ও হিন্দু হওয়ায় আমি এবার ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাইনি। গতকাল (শনিবার) দুপুরে প্রভোস্ট ম্যাম এবং সহকারী হাউস টিউটর দীপিকা মজুমদার ম্যাম আমাদের অফিসে ডাকেন। আমরা সেখানে গেলে, কেন ছুটিতেও এখানে আছি, তা নিয়ে বকাঝকা করেন। আমাদের কারণে স্টাফরা ছুটি পাননি, প্রভোস্ট ম্যাম তাঁর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে যেতে পারেননি—এসব উদাহরণ টেনে টেনে আমাদের বকাঝকা করেন। পরের সব ঈদেই হল বন্ধ রাখা হবে বলে তিনি আমাদের বলেন। এসব নিয়ে কথা বললে বা আন্দোলন করলে হলের সিট বাতিল করে দেওয়া হবে বলেও তিনি হুমকি দেন।’
হলে অবস্থানরত আরেক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গতকালের এ ঘটনার পর থেকে অনেকেই ভয়ে হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যাঁদের বাসা দূরে, শুধু তাঁরাই যেতে পারছেন না। কেউ কেউ ঢাকার আত্মীয়স্বজনের বাসায় যাচ্ছেন। তাঁরা আমাদের অভিভাবক। আমাদের সুবিধা-অসুবিধা তাঁরা না বুঝলে আর কে বুঝবেন? অথচ এভাবে ডেকে আমাদের বকাঝকা করলেন। আমরা ভয়ে আছি, এসব কথা বলার কারণে আমাদের আবার ডেকে নিয়ে হলের সিট বাতিল করে দেয় কি না।’
এ বিষয়ে জানতে সহকারী হাউস টিউটর দীপিকা মজুমদারকে কল দেওয়া হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, ‘তাদের (শিক্ষার্থীদের) বকাঝকা করা হয়েছে এটা মিথ্যা কথা। আমি আরও তাদের ডেকে নিরাপদে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তাদের বলেছি, দেখো, আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী, সেখানে না গিয়ে তোমাদের দেখতে চলে এসেছি। তোমরা আমার মেয়ের মতো। সবাই সাবধানে থাকবে। তারা হয়তো সেটা ভুল বুঝে উল্টাপাল্টা কথা বলে অভিযোগ করেছে।’
ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলে অবস্থান করায় হলে থাকা ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার ও সহকারী হাউস টিউটর দীপিকা মজুমদারের বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে অভিযোগ দিলে বা কথা বললে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিলের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হলের অফিসরুমে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পর পরীক্ষা থাকায় এবং অনেক ছাত্রী হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের ছুটিতে হল বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় প্রায় ২০ জনের মতো ছাত্রী বাড়িতে না গিয়ে হলেই অবস্থান করেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হলে অবস্থান করা ছাত্রীদের হল প্রভোস্টের অফিসরুমে ডেকে নেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার ও সহকারী হাউস টিউটর দীপিকা মজুমদার। এ সময় দু-তিনজন ছাত্রী সেখানে গেলে তাঁদের বকাঝকা করেন তাঁরা। পরে আরও কয়েকজন ছাত্রী গেলে তাঁদেরও বকাঝকা করা হয়। এ সময় ছাত্রীরা ঈদের ছুটিতে বাড়ি না যাওয়ায় স্টাফরা ছুটি পাননি বলে বকাঝকা করেন এবং ছাত্রীদের শাসান হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটর।
হলের ডিউটি করতে গিয়ে প্রভোস্ট তাঁর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে যেতে পারেননি এমন উদাহরণ টেনে ছাত্রীদের বকাঝকা করা হয়। এসব নিয়ে মুখ খুললে কিংবা আন্দোলন করলে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিল করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন হল প্রভোস্ট। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে এবং বাধ্য হয়ে হলে অবস্থান করা অনেক ছাত্রীই হল ত্যাগ করছেন। অনেকেই হল ত্যাগ করে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। আবার অনেকেই নিজেদের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলে অবস্থান করা এক ছাত্রী বলেন, ‘আমার ঈদের পর পরীক্ষা থাকায় ও হিন্দু হওয়ায় আমি এবার ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাইনি। গতকাল (শনিবার) দুপুরে প্রভোস্ট ম্যাম এবং সহকারী হাউস টিউটর দীপিকা মজুমদার ম্যাম আমাদের অফিসে ডাকেন। আমরা সেখানে গেলে, কেন ছুটিতেও এখানে আছি, তা নিয়ে বকাঝকা করেন। আমাদের কারণে স্টাফরা ছুটি পাননি, প্রভোস্ট ম্যাম তাঁর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে যেতে পারেননি—এসব উদাহরণ টেনে টেনে আমাদের বকাঝকা করেন। পরের সব ঈদেই হল বন্ধ রাখা হবে বলে তিনি আমাদের বলেন। এসব নিয়ে কথা বললে বা আন্দোলন করলে হলের সিট বাতিল করে দেওয়া হবে বলেও তিনি হুমকি দেন।’
হলে অবস্থানরত আরেক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গতকালের এ ঘটনার পর থেকে অনেকেই ভয়ে হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যাঁদের বাসা দূরে, শুধু তাঁরাই যেতে পারছেন না। কেউ কেউ ঢাকার আত্মীয়স্বজনের বাসায় যাচ্ছেন। তাঁরা আমাদের অভিভাবক। আমাদের সুবিধা-অসুবিধা তাঁরা না বুঝলে আর কে বুঝবেন? অথচ এভাবে ডেকে আমাদের বকাঝকা করলেন। আমরা ভয়ে আছি, এসব কথা বলার কারণে আমাদের আবার ডেকে নিয়ে হলের সিট বাতিল করে দেয় কি না।’
এ বিষয়ে জানতে সহকারী হাউস টিউটর দীপিকা মজুমদারকে কল দেওয়া হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, ‘তাদের (শিক্ষার্থীদের) বকাঝকা করা হয়েছে এটা মিথ্যা কথা। আমি আরও তাদের ডেকে নিরাপদে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তাদের বলেছি, দেখো, আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী, সেখানে না গিয়ে তোমাদের দেখতে চলে এসেছি। তোমরা আমার মেয়ের মতো। সবাই সাবধানে থাকবে। তারা হয়তো সেটা ভুল বুঝে উল্টাপাল্টা কথা বলে অভিযোগ করেছে।’
একসময় রাজশাহী নগরে পানি সরবরাহের জন্য প্রতিটি পাম্পে একাধিক অপারেটর থাকতে হতো। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এই পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও পাম্পগুলোয় দুই থেকে তিনজন করে পাম্প অপারেটর রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের কানাইঘাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০০৯ সালে যোগ দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে। এরপর ‘জাল-জালিয়াতি, বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১৭ বছরে তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নারীদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ান সেকশন (‘সিজার’ বলে পরিচিত) অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসব ১ হাজার ৫৫২টি বেশি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজানের শুরু থেকে দেশের বৃহত্তম ইফতার মাহফিল চলছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহ্ছানিয়া মিশনে। প্রায় ৮ হাজার মানুষের ইফতার মাহফিল যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে