রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
এএসপি হওয়ার মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন কনস্টেবল হাকিম উদ্দিন। কনস্টেবল থেকে পুলিশ ক্যাডারে মেধাতালিকায় ৬৭তম হওয়ার সংবাদ এলাকায় প্রচার হওয়ার পর স্বজন ও এলাকাবাসী আনন্দে মেতেছিলেন। তাঁর এমন সফলতা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন চলছিল বলেও জানা যায়।
এর মধ্যে জানা গেল পুলিশ ক্যাডারে মেধাতালিকায় কনস্টেবল হাকিম উদ্দিনের নাম আসেনি। বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি তিনি।
গত ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএসের ফল বের হয়। পরদিন রাতে ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার তথ্য জানান হাকিম উদ্দিন নিজেই। পরে জানা যায়, তাঁর এই তথ্য ছিল মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে পুলিশ ক্যাডারে মেধাতালিকায় ৬৭তম হয়েছেন সিলেটের সঞ্জীব দেব নামে এক ব্যক্তি। তাঁর রোল নম্বর ১৬০০৪৩৯১।
হাকিম উদ্দিন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়ার পঞ্চম সন্তান। ২০১০ সালে বাবা এবং ২০১৯ সালে মা মারা যান তাঁর। এক বোন ও পাঁচ ভাই তাঁরা। তিনি সবার ছোট। বড় দুই ভাই প্রবাসী, একজন ব্যবসায়ী এবং একজন চাকরিজীবী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাকিম উদ্দিন দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দুতিন মাস আগে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জমজ দুই সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধি তাঁর সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, হাকিম উদ্দিন ২০১০ সালে সায়দাবাদ উচ্চবিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় মাধ্যমিক জিপিএ ৩ দশমিক ৬৩ পেয়ে পাস করেন। এরপর রায়পুরা কলেজ থেকে ২০১২ সালে মানবিক শাখায় উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৩ পেয়ে পাস করে নরসিংদী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ২০১২-১৩ সেশনে ভর্তি হন। কিছুদিন পরই পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয় তাঁর।
২০১৩ সালে পুলিশে যোগ দেওয়ার প্রথম বছর গাজীপুর শিল্প পুলিশে কাজ করে বদলি হয় আসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি)। নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ করেছেন কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘হাকিম ডিএমপির কেউ না। তিনি এক বছর আগে ডিএমপি থেকে বদলি হয়ে চলে গেছে। এখন কোথায় আছে বলতে পারব না।’
৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর হাকিম উদ্দিন সংবাদকর্মীদের জানিয়েছিলেন, কনস্টেবলের চাকরিতে সারা দিন কাজ করে বিশ্রামের সময় পড়াশোনা করতেন। যখন অনার্স চতুর্থ বর্ষের শেষ দিকে, তখন ভালো একটা চাকরির চিন্তা শুরু করেন। এই চিন্তা থেকেই কনস্টেবল পদে চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা করতে থাকেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পেয়েছেন উল্লেখ করে হাকিম বলেন, ‘আমার এ পরিশ্রমের পেছনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাহায্য করেছেন। প্রস্তুতি ভালো না থাকায় ৪০তম বিসিএসের আগে আবেদন করিনি। যখন মনে হয়েছে প্রতিযোগিতা করতে পারব, তখন আবেদন করি। তাই ৪০তমতে প্রথমবারের মতো বিসিএস পরীক্ষা দিই। ফল বেরোলে দেখি পুলিশ ক্যাডারে ৬৭তম হই।’
আজ বৃহস্পতিবার দুর্গম চরাঞ্চলে হাকিম উদ্দিনের এলাকায় গিয়ে তাঁকে নিয়ে শোনা যায় নানা গুঞ্জন। অনেকে বলেন, এলাকায় বিভিন্ন জনকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছেন।
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাঁর ঘর তালাবদ্ধ। বাড়িতে বড় দুই ভাই স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকছেন। হাকিম উদ্দিনের বিষয়ে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।
হাকিমের ভাতিজা ইমান হাসান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ দীর্ঘ ছয় মাস আগে থেকে নেই। এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। তাঁর সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় মাধ্যমে জানতে পারি।’
প্রতিবেশী শহিদ মিয়া (৭০) জানান, হাকিম উদ্দিন ছোটবেলা থেকে খুব চঞ্চল। অসম্ভব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘তাঁর সফলতায় এলাকার সবাই আনন্দিত, গর্বিত ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে আসতে দেখিনি। দ্বিতীয় স্ত্রীর জমজ সন্তান রয়েছে। তিনি দুটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী তালাকের পর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে গত দুই-তিন মাস আগে জমজ দুই সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে বলে শুনেছি। এখন এমন সংবাদে হাকিম সবার কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে গেলেন।’
সর্বশেষ আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাকিম উদ্দিনের সেলফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
এএসপি হওয়ার মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন কনস্টেবল হাকিম উদ্দিন। কনস্টেবল থেকে পুলিশ ক্যাডারে মেধাতালিকায় ৬৭তম হওয়ার সংবাদ এলাকায় প্রচার হওয়ার পর স্বজন ও এলাকাবাসী আনন্দে মেতেছিলেন। তাঁর এমন সফলতা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন চলছিল বলেও জানা যায়।
এর মধ্যে জানা গেল পুলিশ ক্যাডারে মেধাতালিকায় কনস্টেবল হাকিম উদ্দিনের নাম আসেনি। বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি তিনি।
গত ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএসের ফল বের হয়। পরদিন রাতে ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার তথ্য জানান হাকিম উদ্দিন নিজেই। পরে জানা যায়, তাঁর এই তথ্য ছিল মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে পুলিশ ক্যাডারে মেধাতালিকায় ৬৭তম হয়েছেন সিলেটের সঞ্জীব দেব নামে এক ব্যক্তি। তাঁর রোল নম্বর ১৬০০৪৩৯১।
হাকিম উদ্দিন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়ার পঞ্চম সন্তান। ২০১০ সালে বাবা এবং ২০১৯ সালে মা মারা যান তাঁর। এক বোন ও পাঁচ ভাই তাঁরা। তিনি সবার ছোট। বড় দুই ভাই প্রবাসী, একজন ব্যবসায়ী এবং একজন চাকরিজীবী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাকিম উদ্দিন দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দুতিন মাস আগে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জমজ দুই সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধি তাঁর সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, হাকিম উদ্দিন ২০১০ সালে সায়দাবাদ উচ্চবিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় মাধ্যমিক জিপিএ ৩ দশমিক ৬৩ পেয়ে পাস করেন। এরপর রায়পুরা কলেজ থেকে ২০১২ সালে মানবিক শাখায় উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৩ পেয়ে পাস করে নরসিংদী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ২০১২-১৩ সেশনে ভর্তি হন। কিছুদিন পরই পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয় তাঁর।
২০১৩ সালে পুলিশে যোগ দেওয়ার প্রথম বছর গাজীপুর শিল্প পুলিশে কাজ করে বদলি হয় আসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি)। নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ করেছেন কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘হাকিম ডিএমপির কেউ না। তিনি এক বছর আগে ডিএমপি থেকে বদলি হয়ে চলে গেছে। এখন কোথায় আছে বলতে পারব না।’
৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর হাকিম উদ্দিন সংবাদকর্মীদের জানিয়েছিলেন, কনস্টেবলের চাকরিতে সারা দিন কাজ করে বিশ্রামের সময় পড়াশোনা করতেন। যখন অনার্স চতুর্থ বর্ষের শেষ দিকে, তখন ভালো একটা চাকরির চিন্তা শুরু করেন। এই চিন্তা থেকেই কনস্টেবল পদে চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা করতে থাকেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পেয়েছেন উল্লেখ করে হাকিম বলেন, ‘আমার এ পরিশ্রমের পেছনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাহায্য করেছেন। প্রস্তুতি ভালো না থাকায় ৪০তম বিসিএসের আগে আবেদন করিনি। যখন মনে হয়েছে প্রতিযোগিতা করতে পারব, তখন আবেদন করি। তাই ৪০তমতে প্রথমবারের মতো বিসিএস পরীক্ষা দিই। ফল বেরোলে দেখি পুলিশ ক্যাডারে ৬৭তম হই।’
আজ বৃহস্পতিবার দুর্গম চরাঞ্চলে হাকিম উদ্দিনের এলাকায় গিয়ে তাঁকে নিয়ে শোনা যায় নানা গুঞ্জন। অনেকে বলেন, এলাকায় বিভিন্ন জনকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছেন।
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাঁর ঘর তালাবদ্ধ। বাড়িতে বড় দুই ভাই স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকছেন। হাকিম উদ্দিনের বিষয়ে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।
হাকিমের ভাতিজা ইমান হাসান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ দীর্ঘ ছয় মাস আগে থেকে নেই। এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। তাঁর সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় মাধ্যমে জানতে পারি।’
প্রতিবেশী শহিদ মিয়া (৭০) জানান, হাকিম উদ্দিন ছোটবেলা থেকে খুব চঞ্চল। অসম্ভব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘তাঁর সফলতায় এলাকার সবাই আনন্দিত, গর্বিত ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে আসতে দেখিনি। দ্বিতীয় স্ত্রীর জমজ সন্তান রয়েছে। তিনি দুটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী তালাকের পর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে গত দুই-তিন মাস আগে জমজ দুই সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে বলে শুনেছি। এখন এমন সংবাদে হাকিম সবার কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে গেলেন।’
সর্বশেষ আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাকিম উদ্দিনের সেলফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৪ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৪ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৫ ঘণ্টা আগে