নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী ওরফে মেঘলার স্বামী ইফতেখার আবেদীনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এই আদেশ দেন। তবে আদালত এই মামলার অপর দুই আসামি ইফতেখারের মা শিরিন আমিন ও পালক বাবা মোহাম্মদ আমিনের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ এই মামলায় তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামী ইফতেখারের প্ররোচনায় এলমা চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ইফতেখারের মা ও বাবাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, মামলার বাদী এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন বা চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন। আদালতে হাজির হয়ে তিনি এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করবেন বলে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩ আগস্ট নারাজির আবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে, এই মামলায় গত বছর ১৮ ডিসেম্বর ইফতেখারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাঁকে তিন দফার রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ আসামি ইফতেখারকে জামিন দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত এই জামিন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ইফতেখারের মা ও বাবাকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আবারও তাদের জামিন দেন।
তিনজনের জামিন স্থায়ী করার আবেদনসহ আজ আদালতে হাজির হন—ইফতেখার ও তাঁর মা–বাবা। শুনানি শেষে আদালত ইফতেখারের জামিন স্থায়ী করার আবেদন নামঞ্জুর করেন। আদেশ শেষে ইফতেখারকে কারাগারে নেওয়া হয়। মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কাউসার খান ও শর্মিলা শর্মা আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদনের ওপর শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মামুনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান থানা-পুলিশ গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এলমা চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে। পরে এলমা চৌধুরীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২ এপ্রিল এলমা চৌধুরীর সঙ্গে ইফতেখার আবেদীনের বিয়ে হয়। এলমা চৌধুরীকে বিয়ের পর থেকেই তাঁর পড়াশোনা বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে স্বামী ইফতেখার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পড়াশোনা বন্ধ করতে রাজি না হওয়ায় এলমা চৌধুরীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন তাঁর স্বামী। তিন মাস পর স্বামী ইফতেখার কানাডায় চলে যান। সম্প্রতি দেশে ফিরে এসে আবারও এলমা চৌধুরীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন তিনি।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এলমা চৌধুরীকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইফতেখার, তাঁর মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মোহাম্মদ আমিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এলমা চৌধুরীর নাকে কালচে দাগ, ওপরের ঠোঁট, বাম কান, থুতনি, পিঠ, পায়ের আঙুল, পায়ের হাঁটুর নিচে কাটাছেঁড়া ও আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী ওরফে মেঘলার স্বামী ইফতেখার আবেদীনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এই আদেশ দেন। তবে আদালত এই মামলার অপর দুই আসামি ইফতেখারের মা শিরিন আমিন ও পালক বাবা মোহাম্মদ আমিনের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ এই মামলায় তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামী ইফতেখারের প্ররোচনায় এলমা চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ইফতেখারের মা ও বাবাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, মামলার বাদী এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন বা চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন। আদালতে হাজির হয়ে তিনি এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করবেন বলে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩ আগস্ট নারাজির আবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে, এই মামলায় গত বছর ১৮ ডিসেম্বর ইফতেখারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাঁকে তিন দফার রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ আসামি ইফতেখারকে জামিন দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত এই জামিন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ইফতেখারের মা ও বাবাকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আবারও তাদের জামিন দেন।
তিনজনের জামিন স্থায়ী করার আবেদনসহ আজ আদালতে হাজির হন—ইফতেখার ও তাঁর মা–বাবা। শুনানি শেষে আদালত ইফতেখারের জামিন স্থায়ী করার আবেদন নামঞ্জুর করেন। আদেশ শেষে ইফতেখারকে কারাগারে নেওয়া হয়। মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কাউসার খান ও শর্মিলা শর্মা আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদনের ওপর শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মামুনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান থানা-পুলিশ গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এলমা চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে। পরে এলমা চৌধুরীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২ এপ্রিল এলমা চৌধুরীর সঙ্গে ইফতেখার আবেদীনের বিয়ে হয়। এলমা চৌধুরীকে বিয়ের পর থেকেই তাঁর পড়াশোনা বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে স্বামী ইফতেখার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পড়াশোনা বন্ধ করতে রাজি না হওয়ায় এলমা চৌধুরীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন তাঁর স্বামী। তিন মাস পর স্বামী ইফতেখার কানাডায় চলে যান। সম্প্রতি দেশে ফিরে এসে আবারও এলমা চৌধুরীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন তিনি।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এলমা চৌধুরীকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইফতেখার, তাঁর মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মোহাম্মদ আমিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এলমা চৌধুরীর নাকে কালচে দাগ, ওপরের ঠোঁট, বাম কান, থুতনি, পিঠ, পায়ের আঙুল, পায়ের হাঁটুর নিচে কাটাছেঁড়া ও আঘাতের চিহ্ন ছিল।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভের পর রাত ১০টার দিকে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজার নামাজও আদায় করা হয়
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
৫ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
৬ ঘণ্টা আগে