দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ১১: ৫১
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২১, ১২: ০২

কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন এবং ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। সে হিসেবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। ফলে রাজধানীর সড়কে বেড়েছে অফিসগামী মানুষের চলাচল। গণপরিবহন বন্ধ, সড়কে নেই পর্যাপ্ত রিকশা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা।

রোববার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল নগরীতে চলাচল করছে। একই সঙ্গে তৎপর পুলিশের চেকপোস্টগুলো। টহল দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা।

সড়কে পর্যাপ্ত রিকশা না থাকায় জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অফিসগামী যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মানুষকে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। একটা রিকশা এলেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সেটার ওপরে। রিকশা না থাকায় রাজধানীর সড়কে চলছে ভ্যান। এসব ভ্যানে যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। একটি ভ্যানে চার থেকে ছয়জন করে যাত্রী যেতে পারছেন।

বেসরকারি একটি ব্যাংকে চাকরি করেন মমিনুল হাসান। তিনি রামপুরা থেকে যাবেন মহাখালী। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'যেহেতু আজ ব্যাংক খুলেছে তাই অফিসে যেতেই হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করলেও আমাদের জন্য কোনো গাড়ির ব্যবস্থা নেই। নিজ উদ্যোগেই অফিসে যেতে হবে। ফলে সকালেই বের হয়েছি অফিসে যাওয়ার জন্য। কিন্তু রিকশা পাওয়া যাচ্ছে না। যে দু-একটা পাওয়া যাচ্ছে, অনেক টাকা ভাড়া চাচ্ছে। ফলে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।' 

এদিকে পুলিশের চেকপোস্টগুলোয় আটকানো হচ্ছে রিকশাও। অনেক সড়কেই রিকশা দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রিকশাচালকেরা। বাড্ডা এলাকায় রিকশাচালক রহিম আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'মেইন রোড দিয়ে রিকশায় যাত্রী নিয়ে বেশি দূর যাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ আটকে দিচ্ছে। অনেক জায়গায় রিকশা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন গলির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে এবং কম দূরত্বে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি।'

মালিবাগ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থাকা মো. আবদুর রহিম বলেন, 'গত দুই দিনের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই আজকে মানুষের চলাচল কিছুটা বেড়েছে। যেহেতু আজ ব্যাংকসহ কিছু প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ব্যাংকের কর্মকর্তা, চিকিৎসকসহ জরুরি সেবার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের আমরা যেতে দিচ্ছি। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু মানুষ অকারণে বাইরে এসে ঘোরাফেরা করছেন তাঁদের আমরা জরিমানা করছি।'

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত