নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতি আয়োজন শেষ হতেই দর্শনার্থীরা ছুটল চারুকলার দিকে। সেখানে মুখোশ, বাহারি প্রতিকৃতি নিয়ে অপেক্ষায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ক্রমেই চারুকলার সামনের পথ ভরে ওঠে মানুষে। বৈশাখী সাজে হাজির নারী-পুরুষের দল।
জাতীয় সংগীত গেয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা। আজ রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে যাত্রা করে। শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শাহবাগ, ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে টিএসসির মোড় ঘুরে ফের চারুকলায় এসে শেষ হয়।
ঢাকের বাদ্য, রাজা-রানি-প্যাঁচার মুখোশ নিয়ে শোভাযাত্রায় যাত্রী হন আগতরা। তাঁদের সবার বৈশাখী সাজ। এই সাজে বেরিয়ে পড়েছেন তরুণ-তরুণীরা। কারও গালে আঁকা আলপনা। কারও হাতে বেলুন।
শোভাযাত্রার মাঝে মাঝেই ছিল ঢাক বাদকের দল। তাদের বাদনের তালে তালে নাচছিলেন তরুণ-তরুণীরা। মুখে বৈশাখের গান। চারুকলার সামনের সড়কজুড়ে দেখা যায় বর্ষবরণকারীদের। তাঁদের মাঝে উদ্যাপনে যুক্ত হন কিছু বিদেশিও।
সাজিয়া আফরিন তোরা এসেছেন দুই কন্যাকে সঙ্গে করে। বললেন, ‘অনেকবারই পরিকল্পনা করেছি আসব, কিন্তু আসা আর হচ্ছিল না। এবার আর মিস করিনি। তবে এসে মনে হলো এত দিন মিসই করেছি।’
ঈদের ছুটিতে এবার লোকজন কম হয়েছে। তাই শোভাযাত্রায় শৃঙ্খলা ভালো ছিল বলে মনে করেন মমতাজ বেগম। এই স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘এবার ভিড় কম আগের তুলনায়। তাই স্বস্তি লেগেছে।’
মঙ্গল শোভাযাত্রার বেশ খানিক দূরত্বে ছিলেন র্যাবসহ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, এমনভাবে যেন নিরাপত্তা না দেওয়া হয় যাতে দেখে মনে হয় নিরাপত্তাকর্মীদের মার্চ। এরপর ছিল ঢাকঢোল বাজিয়েদের একটি দল। তারপরে উৎসবপ্রেমীরা।
শোভাযাত্রায় মূল পাঁচটি প্রতিকৃতি রাখা হয়। তা হলো—পাখি, গন্ধগোকুল, পুতুল, চাকা ও হাতি। মূলত বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এসব প্রতিকৃতি করা হয় বলে জানিয়েছে শোভাযাত্রা কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের অঞ্চলে নানা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আয়োজনে বর্ষকে বরণ করছে।
পয়লা বৈশাখে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তবে নিরাপত্তার কারণে শোভাযাত্রার ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সে বিষয়টিও দেখা হবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাবি উপাচার্য। ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকছে। এ ছাড়া উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম প্রস্তুত।
কোনো বাণিজ্যিক প্রচারণা না থাকায় এবার তেমন কোনো স্টল চোখে পড়েনি। ভুভুজেলা বাঁশির কর্কশ শব্দও কম শোনা গেছে।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান–‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে স্লোগানটি।
২০১৬ সালে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে চালু হওয়া এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা।
রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতি আয়োজন শেষ হতেই দর্শনার্থীরা ছুটল চারুকলার দিকে। সেখানে মুখোশ, বাহারি প্রতিকৃতি নিয়ে অপেক্ষায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ক্রমেই চারুকলার সামনের পথ ভরে ওঠে মানুষে। বৈশাখী সাজে হাজির নারী-পুরুষের দল।
জাতীয় সংগীত গেয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা। আজ রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে যাত্রা করে। শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শাহবাগ, ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে টিএসসির মোড় ঘুরে ফের চারুকলায় এসে শেষ হয়।
ঢাকের বাদ্য, রাজা-রানি-প্যাঁচার মুখোশ নিয়ে শোভাযাত্রায় যাত্রী হন আগতরা। তাঁদের সবার বৈশাখী সাজ। এই সাজে বেরিয়ে পড়েছেন তরুণ-তরুণীরা। কারও গালে আঁকা আলপনা। কারও হাতে বেলুন।
শোভাযাত্রার মাঝে মাঝেই ছিল ঢাক বাদকের দল। তাদের বাদনের তালে তালে নাচছিলেন তরুণ-তরুণীরা। মুখে বৈশাখের গান। চারুকলার সামনের সড়কজুড়ে দেখা যায় বর্ষবরণকারীদের। তাঁদের মাঝে উদ্যাপনে যুক্ত হন কিছু বিদেশিও।
সাজিয়া আফরিন তোরা এসেছেন দুই কন্যাকে সঙ্গে করে। বললেন, ‘অনেকবারই পরিকল্পনা করেছি আসব, কিন্তু আসা আর হচ্ছিল না। এবার আর মিস করিনি। তবে এসে মনে হলো এত দিন মিসই করেছি।’
ঈদের ছুটিতে এবার লোকজন কম হয়েছে। তাই শোভাযাত্রায় শৃঙ্খলা ভালো ছিল বলে মনে করেন মমতাজ বেগম। এই স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘এবার ভিড় কম আগের তুলনায়। তাই স্বস্তি লেগেছে।’
মঙ্গল শোভাযাত্রার বেশ খানিক দূরত্বে ছিলেন র্যাবসহ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, এমনভাবে যেন নিরাপত্তা না দেওয়া হয় যাতে দেখে মনে হয় নিরাপত্তাকর্মীদের মার্চ। এরপর ছিল ঢাকঢোল বাজিয়েদের একটি দল। তারপরে উৎসবপ্রেমীরা।
শোভাযাত্রায় মূল পাঁচটি প্রতিকৃতি রাখা হয়। তা হলো—পাখি, গন্ধগোকুল, পুতুল, চাকা ও হাতি। মূলত বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এসব প্রতিকৃতি করা হয় বলে জানিয়েছে শোভাযাত্রা কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের অঞ্চলে নানা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আয়োজনে বর্ষকে বরণ করছে।
পয়লা বৈশাখে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তবে নিরাপত্তার কারণে শোভাযাত্রার ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সে বিষয়টিও দেখা হবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাবি উপাচার্য। ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকছে। এ ছাড়া উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম প্রস্তুত।
কোনো বাণিজ্যিক প্রচারণা না থাকায় এবার তেমন কোনো স্টল চোখে পড়েনি। ভুভুজেলা বাঁশির কর্কশ শব্দও কম শোনা গেছে।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান–‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে স্লোগানটি।
২০১৬ সালে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে চালু হওয়া এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৪ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৫ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৫ ঘণ্টা আগে