Ajker Patrika

মানসিক রোগী কনস্টেবল কাওছার উধাও হন চারবার, তবুও চাকরি টিকিয়েছেন যেভাবে

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
আপডেট : ১২ জুন ২০২৪, ১২: ১৬
মানসিক রোগী কনস্টেবল কাওছার উধাও হন চারবার, তবুও চাকরি টিকিয়েছেন যেভাবে

রাজধানীর কূটনীতিকপাড়ায় কনস্টেবল মনিরুল হক হত্যায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. কাওছার আলী একাধিকবার পুলিশের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধ করেছেন। তিনি অন্তত চারবার কর্মস্থল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ টানা ১৫ দিনও অনুপস্থিত ছিলেন। এসব ঘটনায় কাওছার লঘু ও গুরু দণ্ড ভোগ করেছেন। 

কর্মস্থল থেকে উধাও হয়ে যাওয়া পুলিশ বিধানে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বড় অপরাধ হলেও কাওছারকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়ে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। কেবল একবার বেতন বৃদ্ধি অস্থায়ীভাবে বন্ধ ছিল। প্রতিবার কর্মস্থলে ফিরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে চাকরিতে বহাল থেকেছেন। 

তবে এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানবিক কারণে তাঁকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছিল। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর পুলিশে যোগ দেন কাওছার আলী। যোগদানের দুই বছর পর চাকরি স্থায়ী হয়। এ সময় তিনি রাজশাহী রেঞ্জের বগুড়া জেলায় কর্মরত ছিলেন। এই জেলায় আড়াই বছর চাকরি করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে না বলে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর ২০১৬ সালের নভেম্বরে একবার ৮ দিন, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ৫ দিন এবং ২০১৯ সালের মে মাসে অন্তত ১৫ দিন বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। 

সর্বশেষ উধাও হওয়ার সময় পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত ছিলেন কাওছার। এ ঘটনায় তাঁকে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর বেতন বৃদ্ধি অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়। 

দায়িত্বে ও কর্তব্যে অবহেলা, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আগের তিনবার কাওছারকে পুলিশের প্যারেড ডিল (পিডি) শাস্তি দেওয়া হয়। প্রতিবারই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চাকরি বাঁচিয়েছেন কাওছার। ভবিষ্যতে আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। 

তবে তাঁর সার্ভিস বুকে এসব শাস্তির বিষয় উল্লেখ থাকায় চাকরির ১৮ বছর ৫ মাস ২৭ দিনেও পদোন্নতি পাননি। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তিনি পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হননি। উল্টো তাঁর বেতন বৃদ্ধি বন্ধ ছিল দুই বছরের বেশি সময়। 

এসব ঘটনা কাওছারের পরিবারও জানত। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর। গত সোমবার রাতে কাওছারের মা মাবিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরিতে কয়েকবার ঝামেলা হয়েছিল। আমরা স্যারদের অনুরোধ করেছি। তারপর তাকে চাকরিতে বহাল করা হয়েছে।’ 

ডিএমপির সূত্রটি জানিয়েছে, কনস্টেবল কাওছার পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি ইউনিটে চাকরি করেছেন। ২০২২ সালের ২ আগস্ট কাওছার আলীকে ডিএমপির প্রোটেকশন বিভাগ থেকে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে বদলি করা হয়। এই বিভাগের সদস্য হিসেবে গত শনিবার (৮ জুন) রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কাওছার আলী ও মনিরুল হক। রাত পৌনে ১২টার দিকে সহকর্মী মনিরুলকে নিজের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করেন কাওছার। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল। 

ডিএমপির কর্মকর্তারা কাওছারের উধাও হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনার পরও চাকরিতে বহাল রাখার বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কনস্টেবল কাওছারের অতীত রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনই আমরা মন্তব্য করতে চাই না। এখন মন্তব্য করলে কংক্রিট কোনো কিছু হবে না। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে সবকিছু জানানো হবে।’ 

এদিকে কাওছার আলী ২০১০ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পাবনার একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন। সুরমা মেন্টাল ক্লিনিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে তিনি পাঁচ দিন ভর্তি থাকার পর ছাড়পত্র পান। ক্লিনিকের পরিচালক মাহমুদুল হিরক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাওছার আলী সিজোফ্রেনিয়া (ভগ্নমনস্কতা) রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার পর একটু সুস্থ হলে পরিবার নিয়ে যায়।’ 

এ ছাড়া তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ২০২২ সালে ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ২২ দিন ভর্তি ছিলেন। তখন তিনি ডিএমপির রিজার্ভ ফোর্স ব্যারাকে ছিলেন। সেখান থেকেই সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান।

কাওছারের ছোট ভাই আশিকুর রহমান, তিনিও ঢাকায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তির বিষয়টি ডিএমপির রিজার্ভ ব্যারাকের কর্মকর্তারা জানেন।’ 

তবে গত সোমবারের ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গেলে ওই ব্যারাকের কেউ মুখ খোলেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির ‘বিদ্রোহীৎ’ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম তুললেন দণ্ডিত আসামি, খুঁজে পায় না পুলিশ

 রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৪
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে ইউএনও-এসি ল্যান্ডের মাঝে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে ইউএনও-এসি ল্যান্ডের মাঝে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।

এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।

কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।

স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।

মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।

ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাপ্তাই হ্রদে কায়াক উল্টে পর্যটকের মৃত্যু

রাঙামাটি প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।

খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদ্রাসার পরিচালককে হত্যার হুমকির চিরকুট, থানায় জিডি

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 
চিরকুটে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
চিরকুটে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব‍্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।

শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঝালকাঠিতে হাদির গায়েবানা জানাজা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে গায়েবানা জানাজা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে গায়েবানা জানাজা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত