অরূপ রায়, সাভার
নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ট্রাক প্রতীকে সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট। ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে এনামুর রহমানের অবস্থান তৃতীয়। এখানে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট।
সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আলোচনায় আসেন এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্ণধার এনামুর রহমান। সেই সুবাদে তিনি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে যান। ওই বছর তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও দলটির মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু নির্বাচনী মাঠে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এনামুর রহমান অতি সহজেই বিজয় লাভ করেন।
দুবারের এই বেগহীন বিজয় এনামুর রহমানকে জনগণ থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে দেয় এবং নিজের জয়ের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁদের ধারণা, একদিকে একই দলের শক্ত দুই স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, অন্যদিকে এনামুর রহমানের জনবিচ্ছিন্নতা এবারের নির্বাচনে তাঁর পরাজয়ের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া দলীয় কোন্দল এবং ষড়যন্ত্রের কথাও বলছেন কেউ কেউ।
সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি বলেন, ‘এনামুর রহমান টানা ১০ বছর ধরে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁকে মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে। তাই মানুষের কাছে যাওয়ার তাঁর অনেক সুযোগ ছিল। কিন্তু জনগণের সঙ্গে তাঁর তেমন সম্পৃক্ততা ছিল না। এ ছাড়া দলের নেতা-কর্মীদেরও তিনি কাছে টানতে পারেননি। অনেক নেতা-কর্মী দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন। এসব কারণেই এনামুর রহমান পরাজিত হয়েছেন বলে মনে করি আমি।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগের অপর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাভারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। এখানকার আওয়ামী লীগ কয়েক ভাগে বিভক্ত। বিভক্তির কারণেই তাঁদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে দলের মনোনীত প্রার্থী এনামুর রহমান, কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আবার কেউ সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের হয়ে কাজ করেছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ ঘরানার ভোটাররাও বিভক্ত হয়ে ভোট দিয়েছেন, যার প্রভাব পড়েছে এনামুর রহমানের ভোটে।
ওই নেতা আরও বলেন, যাঁরা প্রকাশ্যে এনামুর রহমানের হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অনেকেও গোপনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামকে সমর্থন দিয়েছেন। এনামুর রহমান হেরে যেতে পারেন এমনটা ভেবে দলীয় কোন্দলের জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদকে পরাজিত করতেই তাঁরা গোপনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন। এসব কারণে এনামুর রহমান পরাজিত হয়েছেন।
এনামুর রহমানের পরাজয়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাভারের নামা গেন্ডা এলাকার ব্যবসায়ী শামসুল হক বলেন, ‘এনাম সাহেব ভালো লোক। তিনি কোনো ক্ষতি করেন না। তবে তাঁর সঙ্গে যেসব নেতা-কর্মী কাজ করেছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই সাভারের মানুষ জিম্মি। মানুষ তাঁদের পছন্দ করেন না। তাঁদের নিয়ে মানুষের অনেক ক্ষোভ রয়েছে। এই ক্ষোভ থেকেই অনেক ভোটার এনামুর রহমানকে ভোট দেননি।’
আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘এনামুর রহমান কী কারণে পরাজিত হলেন এই মুহূর্তে বলা ঠিক হবে না। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।’
এনামুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করলে না ধরায় এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ট্রাক প্রতীকে সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট। ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে এনামুর রহমানের অবস্থান তৃতীয়। এখানে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট।
সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আলোচনায় আসেন এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্ণধার এনামুর রহমান। সেই সুবাদে তিনি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে যান। ওই বছর তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও দলটির মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু নির্বাচনী মাঠে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এনামুর রহমান অতি সহজেই বিজয় লাভ করেন।
দুবারের এই বেগহীন বিজয় এনামুর রহমানকে জনগণ থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে দেয় এবং নিজের জয়ের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁদের ধারণা, একদিকে একই দলের শক্ত দুই স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, অন্যদিকে এনামুর রহমানের জনবিচ্ছিন্নতা এবারের নির্বাচনে তাঁর পরাজয়ের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া দলীয় কোন্দল এবং ষড়যন্ত্রের কথাও বলছেন কেউ কেউ।
সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি বলেন, ‘এনামুর রহমান টানা ১০ বছর ধরে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁকে মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে। তাই মানুষের কাছে যাওয়ার তাঁর অনেক সুযোগ ছিল। কিন্তু জনগণের সঙ্গে তাঁর তেমন সম্পৃক্ততা ছিল না। এ ছাড়া দলের নেতা-কর্মীদেরও তিনি কাছে টানতে পারেননি। অনেক নেতা-কর্মী দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন। এসব কারণেই এনামুর রহমান পরাজিত হয়েছেন বলে মনে করি আমি।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগের অপর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাভারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। এখানকার আওয়ামী লীগ কয়েক ভাগে বিভক্ত। বিভক্তির কারণেই তাঁদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে দলের মনোনীত প্রার্থী এনামুর রহমান, কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আবার কেউ সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের হয়ে কাজ করেছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ ঘরানার ভোটাররাও বিভক্ত হয়ে ভোট দিয়েছেন, যার প্রভাব পড়েছে এনামুর রহমানের ভোটে।
ওই নেতা আরও বলেন, যাঁরা প্রকাশ্যে এনামুর রহমানের হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অনেকেও গোপনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামকে সমর্থন দিয়েছেন। এনামুর রহমান হেরে যেতে পারেন এমনটা ভেবে দলীয় কোন্দলের জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদকে পরাজিত করতেই তাঁরা গোপনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন। এসব কারণে এনামুর রহমান পরাজিত হয়েছেন।
এনামুর রহমানের পরাজয়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাভারের নামা গেন্ডা এলাকার ব্যবসায়ী শামসুল হক বলেন, ‘এনাম সাহেব ভালো লোক। তিনি কোনো ক্ষতি করেন না। তবে তাঁর সঙ্গে যেসব নেতা-কর্মী কাজ করেছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই সাভারের মানুষ জিম্মি। মানুষ তাঁদের পছন্দ করেন না। তাঁদের নিয়ে মানুষের অনেক ক্ষোভ রয়েছে। এই ক্ষোভ থেকেই অনেক ভোটার এনামুর রহমানকে ভোট দেননি।’
আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘এনামুর রহমান কী কারণে পরাজিত হলেন এই মুহূর্তে বলা ঠিক হবে না। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।’
এনামুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করলে না ধরায় এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
২৯ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
১ ঘণ্টা আগে