Ajker Patrika

‘ইসির আগামী সভার সূচিতে নেই ইভিএম’  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ইসির আগামী সভার সূচিতে নেই ইভিএম’  

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাবিত প্রকল্প এখনো পাস করেনি সরকার। আদৌও করবে কিনা তা জানা নেই সংস্থাটির। তবে একেবারেই আশা ছাড়ছে না কমিশন। আগামী রোববার কমিশনের সভা রয়েছে। আলোচনার সূচিতে ইভিএম নেই। তবুও বিষয়টি নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। তবে ইভিএম নিয়ে ওই দিন নির্দিষ্ট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না ইসি।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

মো. আলমগীর বলেন, ‘প্রজেক্ট এখনো অনুমোদন পায়নি। তবে লেটেস্ট কী অবস্থায় আছে তা এখনো পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানায়নি। তবে আমরা কমিশন সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। যদিও এজেন্ডাভূক্ত নয়, তবু আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হলে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

এই নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচন কমিশন যে বাজেট প্রস্তাব করেছিল সেটি হতেও পারে নাও হতে পারে। এমনকি কমও হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

দুই লাখ ইভিএম কেনা প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, ‘দুই লাখ না হয়ে আরও কম হতে পারে। হয়তো এক লাখ হতে পারে। কমও তো হতে পারে।’

এর আগে সাবেক এই ইসি সচিব বলেছিলেন, ‘১৫ জানুয়ারির মধ্যে যদি বাজেট না পাওয়া যায় তাহলে দেড় শ আসনে ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে আসবে ইসি। এরই মধ্যে গত ১৭ জানুয়ারি একনেকে সভা হয়। ওই দিন আলোচ্য সূচিতে ছিল না ইভিএম। এমনকি কোনো মৌখিক আলোচনাও হয়নি সে সভায়। এতেই ইসির প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্প পাসের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়।’

অবশ্য নির্বাচন কমিশন এখনো আশা ছাড়ছে না। এ বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘১৫ তারিখ বলা মানেই তো ১৫ তারিখ নয়। দুই-এক দিন এদিক-সেদিকও হতে পারে। পরিকল্পনা কমিশন যদি এ মাসেও দেয় এতটুকু পারব, তাহলে আমরা আপনাদের চূড়ান্তভাবে বলতে পারব।’

আসন্ন ছয় সংসদীয় উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার অর্থাভাবে বন্ধ হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘অর্থটা তো বাৎসরিক ভিত্তিতে দেওয়া হয়। বর্তমান অর্থ বছরে যে টাকা দেওয়া আছে, যেসব নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি সেগুলোর ব্যয় কিন্তু বাজেটের টাকার মধ্যেই। সরকারের কাছে আমরা এক্সট্রা বাজেট চাইনি। এই আর্থিক মন্দার মধ্যে আমাদের চাওয়াও যুক্তিযুক্ত না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মরদেহ পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়: ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৬
গতকাল রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওসমান হাদি। ছবি: বিসিবি
গতকাল রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওসমান হাদি। ছবি: বিসিবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, শহিদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

পোস্টে আরও বলা হয়, ‘আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহিদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুমার নামাজের পর আরও উত্তাল শাহবাগ, বড় হচ্ছে জমায়েত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
হাদির হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল শাহবাগ চত্বর। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদির হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল শাহবাগ চত্বর। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।

জমায়েত থেকে হাদির নামে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শায়িত করার দাবিও উঠেছে জমায়েত থেকে। হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত শাহবাগ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। রাতভর বিক্ষোভ চলে।

তবে শুক্রবার দুপুরের দিকে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি বাতিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘জুম্মার নামাজের পর যেকোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকালের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই বিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।’

বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ অভিমুখে যাচ্ছে খণ্ড খণ্ড মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ অভিমুখে যাচ্ছে খণ্ড খণ্ড মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে বের হওয়া মিছিলগুলো শাহবাগ অভিমুখে রওনা হয়েছে। জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আজ বেলা ১১টা থেকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা ১১টা থেকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তা সাময়িকভাবে শেষ করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী স্লোগানে কর্মসূচিস্থল মুখর হয়ে ওঠে।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং অস্ত্র উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ কেন নেই—এর জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত বিচার নিশ্চিত ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু না হবে, ততক্ষণ আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

আরও বক্তব্য দেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা, মুখ্য সংগঠক আনিসুর রহমান সজল, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবরার নাদিম ইতু, জনি বিশ্বাস, শাহ মো. আরাফাতসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, ‘আমরা অনেকে ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা আমাদের ছাড়বে না। আমাদের আর ঘরে ফেরা যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও ভাঙা হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি

নিজম্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা।

আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় ‎সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িটির দেয়াল ভাঙছে। কেউ ইট নিচে ফেলছে, কেউ কেউ আবার স্লোগান দিচ্ছে।

এ সময়—‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আওয়ামী লীগের কেবলা, মুজিববাদের কেবলা; ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেয়।

‎‎এ সময়, বাড়িটির পাশের ছয় তলা ভবনটিও ভাঙতে দেখা যায়। ভবনটির ছয় তলা, পাঁচ তলার দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে দেওয়া যায় কয়েকজনকে। ভবনটি জাদুঘর ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হতে থাকে। এরপর ১০-১২টি হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা শুরু করে। ‎বিক্ষুব্ধরা বলেন, আওয়ামী লীগ, মুজিববাদ ও ফ্যাসিস্টদের কেবলা এই বাড়ি। সেই বাড়ি আমরা গুঁড়িয়ে দেব। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে (শরিফ ওসমান) হাদি ইনসাফের লড়াই করেছে। হাদির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

‎‎মেহেদী হাসান নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হাদি লড়াই করেছেন। তাকে যেন আমরা ভুলে না যাই। তার খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’

‎‎এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত পৌনে ১টার দিকে বিক্ষুব্ধ একদল লোকজন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত