প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ
স্বাস্থ্যবিধি আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে লকডাউনের ৮ম দিনে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে উভয়মুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। আজ শুক্রবার শিমুলিয়া ঘাটে মানুষ ও যানবাহনের যাতায়াত ছিল চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা গেছে, ফেরি কদম, ফেরি কুঞ্জলতা, ও এনায়েতপুরী আর শাহ্ পরানসহ সব কয়টি ফেরিতে ধারণ ক্ষমতার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শুধু মাত্র যাত্রী আর স্বল্প সংখ্যক ছোট যানবাহন নিয়ে ফেরি পাড় ততে দেখা যায়। সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ফেরিতে গাদাগাদি করে হাজারো যাত্রী পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।
আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলমান লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ ঘাট এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টে নানা অজুহাত দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করেই সকাল থেকে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই। এ ছাড়া ঢাকামুখী কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়ও ছিল অনেক। ঘাটের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা নানা অজুহাত দিয়ে যাতায়াত করছে। অসুস্থতা, টিকা গ্রহণ ছাড়াও নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটছে মানুষ।
মাদারীপুরের শিবচরের এক যাত্রী আকবর কবির বলেন, ঈদের আগেই কর্মস্থল থেকে ছুটি হলেও ঈদ কাটিয়েছেন ঢাকায়। তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় তিনিও বাড়ি ফিরছেন।
অন্যদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলে করে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ফিরছে রাজধানীতে। তবে পরিবহন সংকটে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঢাকামুখী এসব যাত্রীদের। এ ছাড়া দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়ে অনেককেই ফিরতে দেখা গেছে গন্তব্যে।
শিমুলিয়া ঘাট এলাকা থেকে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীকে, এসব যানবাহনে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া। ঢাকামুখী আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী, রুবেল মাতবর, কামার হোসেন, মনির মিয়া, রাকিব দেওয়ান, ও আবু নোমান সহ আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী বলেন, পরিবহন সংকটে পথে পথে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের এ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি গুনতে হয়েছে তিনগুণ বেশি ভাড়া। তাদের অভিযোগ কোথাও মানা হয়নি সরকারি বিধিনিষেধ কিংবা স্বাস্থ্যবিধি আর অধিকাংশ মানুষই মুখে পড়েনি মাস্ক, বজায় রাখেনি সামাজিক দূরত্ব। এতে দেশজুড়ে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করছেন তারা।
এ ছাড়া ঘাট এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে প্রায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক সহ প্রায় ৭ শতাধিক যানবাহনকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌরুটে বর্তমানে ৪টি রোরো,৪টি মিডিয়াম মিলিয়ে ৮টি ফেরি সচল রেখে সীমিত পরিসরে চলছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল থাকায় ফেরি পারাপারের দ্বিগুণ সময় লাগছে। সকাল থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁদের। তাই আরও দুটি ফেরি বাড়িয়ে এই বাড়তি চাপ সামাল দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে লকডাউনের ৮ম দিনে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে উভয়মুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। আজ শুক্রবার শিমুলিয়া ঘাটে মানুষ ও যানবাহনের যাতায়াত ছিল চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা গেছে, ফেরি কদম, ফেরি কুঞ্জলতা, ও এনায়েতপুরী আর শাহ্ পরানসহ সব কয়টি ফেরিতে ধারণ ক্ষমতার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শুধু মাত্র যাত্রী আর স্বল্প সংখ্যক ছোট যানবাহন নিয়ে ফেরি পাড় ততে দেখা যায়। সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ফেরিতে গাদাগাদি করে হাজারো যাত্রী পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।
আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলমান লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ ঘাট এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টে নানা অজুহাত দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করেই সকাল থেকে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই। এ ছাড়া ঢাকামুখী কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়ও ছিল অনেক। ঘাটের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা নানা অজুহাত দিয়ে যাতায়াত করছে। অসুস্থতা, টিকা গ্রহণ ছাড়াও নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটছে মানুষ।
মাদারীপুরের শিবচরের এক যাত্রী আকবর কবির বলেন, ঈদের আগেই কর্মস্থল থেকে ছুটি হলেও ঈদ কাটিয়েছেন ঢাকায়। তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় তিনিও বাড়ি ফিরছেন।
অন্যদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলে করে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ফিরছে রাজধানীতে। তবে পরিবহন সংকটে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঢাকামুখী এসব যাত্রীদের। এ ছাড়া দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়ে অনেককেই ফিরতে দেখা গেছে গন্তব্যে।
শিমুলিয়া ঘাট এলাকা থেকে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীকে, এসব যানবাহনে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া। ঢাকামুখী আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী, রুবেল মাতবর, কামার হোসেন, মনির মিয়া, রাকিব দেওয়ান, ও আবু নোমান সহ আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী বলেন, পরিবহন সংকটে পথে পথে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের এ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি গুনতে হয়েছে তিনগুণ বেশি ভাড়া। তাদের অভিযোগ কোথাও মানা হয়নি সরকারি বিধিনিষেধ কিংবা স্বাস্থ্যবিধি আর অধিকাংশ মানুষই মুখে পড়েনি মাস্ক, বজায় রাখেনি সামাজিক দূরত্ব। এতে দেশজুড়ে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করছেন তারা।
এ ছাড়া ঘাট এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে প্রায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক সহ প্রায় ৭ শতাধিক যানবাহনকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌরুটে বর্তমানে ৪টি রোরো,৪টি মিডিয়াম মিলিয়ে ৮টি ফেরি সচল রেখে সীমিত পরিসরে চলছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল থাকায় ফেরি পারাপারের দ্বিগুণ সময় লাগছে। সকাল থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁদের। তাই আরও দুটি ফেরি বাড়িয়ে এই বাড়তি চাপ সামাল দেওয়া হয়েছে।
কোটি টাকা লেনদেনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি পশুর হাট ইজারায় ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সমঝোতার অভিযোগ উঠেছে পৌর প্রশাসন ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সমঝোতার একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
১০ মিনিট আগেরাজধানীসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ ২১ দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার জনকে। কিন্তু কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী বা দাগি অপরাধী ধরা পড়েনি। আবার উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছুরি, রামদা, লাঠি, রডই বেশি; আগ্নেয়াস্ত্র মাত্র ৩৯টি। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে পুলিশের লুট হওয়া...
৪০ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নলকূপ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সরাসরি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অনুগত স্থানীয় ঠিকাদারের প্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, নৈশপ্রহরীর স্বামী, নলকূপ বিক্রেতাসহ এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে...
২ ঘণ্টা আগে