নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে প্রতিমা ভাঙচুর শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রানা দাশগুপ্ত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রুখতে সরকার ও বিরোধী দল এবং প্রশাসনের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসবের আগে সারা দেশে মূর্তি ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গেছে। যারা গণতন্ত্রের পথ রুখে দাঁড়ায়, ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করে, তাদের প্রতিহত করতে হলে সরকারি দল, বিরোধী দল ও প্রশাসনের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা দেখতে চাই। নতুবা গণতন্ত্রের বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় ইকবালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁকে বলা হলো, তিনি পাগল। ঘটনার মূল চক্রান্তকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁদের গ্রেপ্তার করা গেলে দুর্গোৎসবের আগে আতঙ্ক ও উদ্বেগ থাকত না।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্তার ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি রক্ষাসহ পাঁচ দফা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার কথা ছিল সংগঠনটির।
তবে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণ অনশন কর্মসূচির পর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে চান জানিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর একই স্থানে মহাসমাবেশের কথা জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর বিকেল ৪টায় সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলে আন্দোলন চলমান থাকবে জানিয়ে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দল মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও বাস্তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বাস্তবায়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। চলতি সংসদের শেষ অধিবেশনে বৈষম্য বিলোপ আইন, দেবোত্তর সম্পত্তি আইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে আশা করছি। তবে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের আহ্বানে আগামী শারদীয় দুর্গাপূজার সময়কালে (২০-২৪ অক্টোবর) রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রদান থেকে বিরত থাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহসভাপতি ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি বরুণ চন্দ্র সরকার, শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি রতন চন্দ্র পাল, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা স্বপ্না বিশ্বাস, অ্যাড অপূর্ব ভট্টাচার্য, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, মঞ্জু রাণী প্রামাণিক প্রমুখ।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে প্রতিমা ভাঙচুর শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রানা দাশগুপ্ত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রুখতে সরকার ও বিরোধী দল এবং প্রশাসনের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসবের আগে সারা দেশে মূর্তি ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গেছে। যারা গণতন্ত্রের পথ রুখে দাঁড়ায়, ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করে, তাদের প্রতিহত করতে হলে সরকারি দল, বিরোধী দল ও প্রশাসনের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা দেখতে চাই। নতুবা গণতন্ত্রের বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় ইকবালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁকে বলা হলো, তিনি পাগল। ঘটনার মূল চক্রান্তকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁদের গ্রেপ্তার করা গেলে দুর্গোৎসবের আগে আতঙ্ক ও উদ্বেগ থাকত না।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্তার ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি রক্ষাসহ পাঁচ দফা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার কথা ছিল সংগঠনটির।
তবে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণ অনশন কর্মসূচির পর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে চান জানিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর একই স্থানে মহাসমাবেশের কথা জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর বিকেল ৪টায় সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলে আন্দোলন চলমান থাকবে জানিয়ে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দল মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও বাস্তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বাস্তবায়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। চলতি সংসদের শেষ অধিবেশনে বৈষম্য বিলোপ আইন, দেবোত্তর সম্পত্তি আইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে আশা করছি। তবে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের আহ্বানে আগামী শারদীয় দুর্গাপূজার সময়কালে (২০-২৪ অক্টোবর) রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রদান থেকে বিরত থাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহসভাপতি ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি বরুণ চন্দ্র সরকার, শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি রতন চন্দ্র পাল, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা স্বপ্না বিশ্বাস, অ্যাড অপূর্ব ভট্টাচার্য, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, মঞ্জু রাণী প্রামাণিক প্রমুখ।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যান চালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
৮ মিনিট আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
১৩ মিনিট আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
৩০ মিনিট আগেক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বহিরাগত ছাত্রদলের হামলায় তাঁদের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহত সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।
৩৬ মিনিট আগে