Ajker Patrika

শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আবারও সড়কে বসে পড়ল তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৩৯
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হবে না, দাবির যৌক্তিকতা নেই শিক্ষা উপদেষ্টার এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আন্দোলনকারীদের একজন সাদ উল হাসান সিফাত বলেন, ‘তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়ার দাবিতে কর্মসূচি চলবে। ২৮ বছর ধরে এই আন্দোলন চলছে। বর্তমানে আন্দোলন তীব্রতর রূপ পেয়েছে।’

আন্দোলনকারীরা বলেছেন, অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে।

আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, গুলশান থেকে মহাখালীর আমতলার দুই পাশের রাস্তায় রিকশা আর মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। তিতুমীর কলেজের ঠিক গেটের দুই পাশে বাঁশ বেঁধে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। গেটে সামনে শুয়ে অনশন করছেন ৯ জন শিক্ষার্থী। শুয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের শরীরে চলছে স্যালাইন। তাঁদের দেখতে ভিড় করে আছেন ২০-২৫ শিক্ষার্থী। মাঝেমধ্যে দু-একজন শিক্ষক এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন।

সন্ধ্যার দিকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর একটি বিক্ষোভ মিছিল গুলশান-১ এলাকায় আসে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে আবার তিতুমীরে ফিরে যান।

জানা গেছে, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘আমরণ অনশন’ এবং দফায় দফায় সড়কে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিশ্ব ইজতেমার কথা বিবেচনায় এনে পূর্বঘোষিত ‘বারাসাত বেরিকেড টু ঢাকা নর্থ সিটি’ কর্মসূচি শিথিল করে আজ রোববার দিনভর মহাখালীতে কলেজের সামনের সড়কে বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘আলটিমেটাম বা সময় বেঁধে দিয়ে কখনো বিশ্ববিদ্যালয় হয় না।’

তিনি বলেছেন, ‘সরকার দাবিদাওয়া পালনের জন্য আসেনি। একটা সুশাসন ও সংস্কারের জন্য এসেছে। দাবির মুখে সরকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না।’

শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আজ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার কাজ চলছে। তাতে তিতুমীর কলেজও থাকবে। তবে কাউকে যদি বিশেষ বিবেচনা করি সেটা হবে রাজশাহী কলেজ। কারণ, রাজশাহী কলেজ অনেক পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী।’

অন্যদিকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেল আহমেদ। এর আগে তিনি কলেজের মূল ফটকের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।

তিন শিক্ষার্থী হলেন গণিত বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান, বাংলা বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের রানা আহদেম এবং অর্থনীতির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ইউসুফ।

চিকিৎসক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘অনশনরত শিক্ষার্থীদের শরীরে পানি শূন্যতার কারণে তাদের ব্লাড প্রেশার কমে যাচ্ছে। এদের মধ্যে একজনের একদম প্রস্রাব হচ্ছে না। এই চিকিৎসাটা হাসপাতালে না নিয়ে এখানে করা সম্ভব হচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত