জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ আট বছর পর উপাচার্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে ছাত্র সংসদের ৫ জন প্রতিনিধি না থাকায় সংক্ষুব্ধ হয়েছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন উপলক্ষে সিনেটের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই অধিবেশনের একমাত্র আলোচ্যসূচি তিন সদস্য বিশিষ্ট উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সম্পন্ন করা। যেখানে একজন সিনেটর গোপন ব্যালটে সর্বোচ্চ তিনটি ভোট প্রদান করবেন।
জানা যায়, অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘কে’ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ বিগত ৩০ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সিনেটে প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘শুধু ৫টি পদ না বরং সিনেটের ৯৩টি পদের মধ্যে ৬৩টি পদেই মনোনয়ন অথবা নির্বাচনের প্রয়োজন আছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর ১৯ (১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হবে। তবে বর্তমান সিনেটের বৈধ সদস্য ও প্যানেল নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ৮১ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘ই’ ধারা অনুযায়ী আচার্য কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদের মেয়াদ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘জে’ ধারা অনুসারে শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত চার বছর আগে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘আই’ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও গত বছরে শেষ হয়েছে। এতে অধ্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী সিনেটের ৬৩টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।’
তবে ৬৮ জন সদস্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের পদ শূন্য হচ্ছে না অধ্যাদেশে বর্ণিত ১৯ (২) ধারার কারণে। এতে উল্লেখ আছে, ‘সিনেটরদের দায়িত্ব ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে, যতক্ষণ না তাদের উত্তরাধিকার নির্বাচিত, মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্ত না হয়।’
ছাত্র প্রতিনিধি না থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি না থাকাটা হতাশাজনক। ৩০ বছর যাবৎ জাকসু না থাকাতে সিনেটে কোনো ছাত্রপ্রতিনিধি নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারী যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আসুক। যিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা, গবেষণা সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করে যাবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবু সাইদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সিনেটের অধিকাংশ সদস্যদের মেয়াদোত্তীর্ণ। এই ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনের কোটা ভিত্তিক ভোটার দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচনের নৈতিক ভিত্তি নেই। ছাত্র প্রতিনিধি নাই এমন নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। আমরা চাই আগে জাকসু নির্বাচন হোক এবং বৈধ ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে ভিসি প্যানেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি থেকে নির্বাচিত সিনেটর শিহাব উদ্দীন খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভিসি প্যানেল নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে আশাব্যাঞ্জক। তবে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকায় শিক্ষার্থীদের পছন্দ বা ইচ্ছা প্রকাশের সুযোগ থাকছে না, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের দাবি প্যানেল নির্বাচনের পর যিনিই ভিসি পদে নিয়োগ পান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন এবং সিনেটকে পরিপূর্ণতা দেবেন।’
শিহাব উদ্দীন খান আরও বলেন, ‘প্রত্যাশা করি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে যে সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর অনুসন্ধান ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন নতুন উপাচার্য। আশা করি একজন যোগ্য ও অভিজ্ঞ মানুষ নির্বাচনের পথ ধরে উপাচার্য মনোনীত হবেন।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ আট বছর পর উপাচার্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে ছাত্র সংসদের ৫ জন প্রতিনিধি না থাকায় সংক্ষুব্ধ হয়েছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন উপলক্ষে সিনেটের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই অধিবেশনের একমাত্র আলোচ্যসূচি তিন সদস্য বিশিষ্ট উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সম্পন্ন করা। যেখানে একজন সিনেটর গোপন ব্যালটে সর্বোচ্চ তিনটি ভোট প্রদান করবেন।
জানা যায়, অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘কে’ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ বিগত ৩০ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সিনেটে প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘শুধু ৫টি পদ না বরং সিনেটের ৯৩টি পদের মধ্যে ৬৩টি পদেই মনোনয়ন অথবা নির্বাচনের প্রয়োজন আছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর ১৯ (১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হবে। তবে বর্তমান সিনেটের বৈধ সদস্য ও প্যানেল নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ৮১ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘ই’ ধারা অনুযায়ী আচার্য কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদের মেয়াদ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘জে’ ধারা অনুসারে শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত চার বছর আগে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘আই’ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও গত বছরে শেষ হয়েছে। এতে অধ্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী সিনেটের ৬৩টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।’
তবে ৬৮ জন সদস্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের পদ শূন্য হচ্ছে না অধ্যাদেশে বর্ণিত ১৯ (২) ধারার কারণে। এতে উল্লেখ আছে, ‘সিনেটরদের দায়িত্ব ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে, যতক্ষণ না তাদের উত্তরাধিকার নির্বাচিত, মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্ত না হয়।’
ছাত্র প্রতিনিধি না থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি না থাকাটা হতাশাজনক। ৩০ বছর যাবৎ জাকসু না থাকাতে সিনেটে কোনো ছাত্রপ্রতিনিধি নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারী যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আসুক। যিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা, গবেষণা সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করে যাবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবু সাইদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সিনেটের অধিকাংশ সদস্যদের মেয়াদোত্তীর্ণ। এই ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনের কোটা ভিত্তিক ভোটার দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচনের নৈতিক ভিত্তি নেই। ছাত্র প্রতিনিধি নাই এমন নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। আমরা চাই আগে জাকসু নির্বাচন হোক এবং বৈধ ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে ভিসি প্যানেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি থেকে নির্বাচিত সিনেটর শিহাব উদ্দীন খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভিসি প্যানেল নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে আশাব্যাঞ্জক। তবে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকায় শিক্ষার্থীদের পছন্দ বা ইচ্ছা প্রকাশের সুযোগ থাকছে না, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের দাবি প্যানেল নির্বাচনের পর যিনিই ভিসি পদে নিয়োগ পান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন এবং সিনেটকে পরিপূর্ণতা দেবেন।’
শিহাব উদ্দীন খান আরও বলেন, ‘প্রত্যাশা করি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে যে সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর অনুসন্ধান ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন নতুন উপাচার্য। আশা করি একজন যোগ্য ও অভিজ্ঞ মানুষ নির্বাচনের পথ ধরে উপাচার্য মনোনীত হবেন।’
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভের পর রাত ১০টার দিকে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজার নামাজও আদায় করা হয়
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
২ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
৩ ঘণ্টা আগে