ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে বরখাস্ত জাবি শিক্ষক জনি

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০: ৩০
Thumbnail image

প্রাথমিক তদন্ত শুরুর ১৪ মাস পর শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের প্রলোভনে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে বরখাস্ত হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি। 

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগে ২০১৮ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এর আগে, ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। 

মাহমুদুর রহমান জনি ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় নিপীড়নের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়।

২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

২০২৩ সালের ৮ মার্চ অধিকতর তদন্তের জন্য স্পষ্টিকরণ কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট একই বছরের ১১ আগস্ট স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করে।

স্ট্রাকচার্ড কমিটি ৮টি বৈঠক করার পর মাহমুদুর রহমান জনিকে স্থায়ী বরখাস্তের সুপারিশ করে।

সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাহমুদুর রহমান জনিকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন বিবেচনা করে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৪ (জ) ধারা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত