গুলশান মাঠে অবৈধ স্থাপনা তৈরি না করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ২১: ০৭

রাজধানীর গুলশান শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি মাঠ ও পার্কে অবৈধ স্থাপনা তৈরি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদীরা। আজ শুক্রবার (০৩ মে) সকালে গুলশান-২ এ অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কের মূল ফটকের সামনে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় পার্ক ও মাঠ দখলমুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি পরিষদ। 

সংগঠনটির অভিযোগ, মাঠ ও পার্কে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব বেআইনিভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বৃষ্টির পানি শোষণের জন্য রাখা উন্মুক্ত স্থানটি তারা ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে ফুটবলের টার্ফ বানাচ্ছে। সবার জন্য উন্মুক্ত খেলার মাঠটি ঘেরাও করে শুধু ক্লাবের সদস্যদের জন্য সংরক্ষণ করে দিয়েছে। মাঠে শিশু, কিশোর ও সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। 

শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মাহবুবুল করিম বাচ্চু বলেন, ‘শিশুরা সবুজ মাঠে খেলাধুলা করবে, হাঁটবে, দৌড়াবে—এমনটাই প্রত্যাশা। কিন্তু প্রাকৃতিক সবুজ মাঠ নষ্ট করে এখানে তৈরি করা হচ্ছে কংক্রিটের মাঠ। আবার মাঠের চারপাশে উঁচু তারের বেড়াও দেওয়া হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, এই মাঠ কতটুকু উন্মুক্ত থাকবে। পরিবেশ নষ্ট করে কৃত্রিম মাঠ আমাদের চাই না। আমরা চাই খোলামেলা সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ।’

মাঠ নিয়ে বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা না করার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ঢাকার মধ্যে এমনিতেই সবুজ জায়গা নেই। তার ওপর এই সবুজ উজাড় করে, এইভাবে অবকাঠামো তৈরি করে, কংক্রিটের জঞ্জাল বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী, মাঠ হচ্ছে উন্মুক্ত জায়গা। এই জায়গাকে স্টেডিয়াম বানানো মানে মানুষের উপস্থিতি সীমাবদ্ধ করা। আমরা চাই মাঠটি পুরো কমিউনিটির জন্যই থাকুক। কোনো ক্লাবের দখলে না থাকুক।’ 

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, আইনজীবী সৈয়দ মাহবুবুল আলম, লেখিকা জেবুনাহার আনার কলি, মাঠের পরিকল্পনাকারী স্থপতি এম জাকিউল ইসলাম, গ্রিন ভয়েসের সহসভাপতি সুমন, পরিবেশবাদী ড. মাহবুবুর রহমান রকেটে প্রমুখ। 

তবে পার্ক ও মাঠ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে আমরা কংক্রিটের যে মাঠ তৈরি করছি এটার নাম আর্টিফিশিয়াল ফুটবল টার্ফ। এলাকার শিশুদের আবদারের কারণে এ মাঠ তৈরি করে দেই। বৃষ্টির দিনে সেখানে পানি জমে কাঁদা হয়ে থাকে বলে শিশুরা খেলতে পারে না। তাই সেখানে একটি কৃত্রিম মাঠ তৈরি করা হয়েছে। পার্ক ও মাঠ দখলের মতো কিছু হয়নি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত