ডেঙ্গুতে স্বজনহারাদের আহাজারি কেউ শুনছে না: সংসদে পীর ফজলুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩: ৫৩
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০: ১৭

ডেঙ্গুতে স্বজনের মৃত্যুতে মানুষের আহাজারি মনে হয় কেউ শুনতে পাচ্ছে না। সমন্বিত একটা ব্যবস্থা নেন। মানুষের আর্তনাদটা একটু শোনেন। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য এগিয়ে আসুন। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারের প্রতি এ অনুরোধ জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। 

বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন এমপি পীর ফজলুর রহমান। 

নিজে দুবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছয় শতাধিক। সারা দেশে মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় সরকারের কাজ। স্থানীয় সরকার পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে না। তারা বলছে, চিকিৎসার দায়িত্ব স্বাস্থ্যের।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করার আহ্বান জানান জাপার এই এমপি। 

সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে ভাই-বোনের মৃত্যুর কথা তুলে ধরে পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘সেদিন এক পরিবারের দুইটা শিশু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। দুইটা মাছুম বাচ্চা, ভাই-বোন মারা গেল। এই আহাজারি, এই কান্না আমার মনে হচ্ছে কেউ শুনতে পাচ্ছেন না। এটি ভয়াবহ।’ 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন জাপার এই সংসদ সদস্য। তিনি এই কাজে কীটতত্ত্ববিদদের যুক্ত করার দাবি জানান। 

এর আগে বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল পাসের জন্য সংসদে তোলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। 

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশি ও বিদেশি চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এই আইনের অধীনে অ্যাক্রেডিটেশন দেওয়া হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত