Ajker Patrika

মোড়কবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ২১: ১১
মোড়কবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধের সুপারিশ

বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং মোড়কবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে তামাকের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলা হয়, দেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব মানুষের ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশই (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। ২০১৮ সালে তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা; অথচ একই সময়ে তামাক খাত থেকে সম্পূরক শুল্ক ও মূসক বাবদ অর্জিত রাজস্ব আয়ের পরিমাণ মাত্র ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। 

বক্তারা বলেন, তামাকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিবছর দেশের মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই ঘটে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে, যার অন্যতম কারণ তামাক ও তামাকপণ্যের ব্যবহার ৷ এ জন্য অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে তামাক ও তামাকপণ্যের বিক্রি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। 

সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত জানান, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি তামাকপণ্য সেবন করে। এখানে তামাকপণ্যের দাম সবচেয়ে কম। তিনি বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে আছে জনসমাগমস্থলে ধূমপান করলে মাত্র ৩০০ টাকা জরিমানা হয়। আমরা খেয়াল করেছি বর্তমান আইনে কিছু ব্যত্যয় রয়েছে। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৫৩ এমপির স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়েছি। তামাকের কর বাড়ানোর সুপারিশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ৮৬ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে কাজ করার মাধ্যমে সুফলও পাচ্ছি। ইতিমধ্যে তামাকবিরোধী সকল পক্ষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অনেকগুলো সুপারিশ প্রস্তাবিত সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও এটা আইন সংশোধনের প্রথম ধাপ। তবে আমরা আশাবাদী, দ্রুতই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’ 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তামাক আইন সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ। তাঁর উপস্থাপনায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে কিছু বিষয় সংযোজন জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়। উঠে আসে বিদ্যমান আইনের কিছু ফাঁকফোকরও। বেশ কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন বন্ধ করা; ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি করা। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি-কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক রফিকুল ইসলাম, রত্নগর্ভা ফরিদা জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফরিদা জামান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত