শেখ জাবিরুল ইসলাম
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর পানিতে গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণাক্ততার মাত্রা পাওয়া গেছে। এ বছর নদীর পানিতে পাওয়া গেছে ২১০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) মাত্রার লবণাক্ততা। এ লবণাক্ততা কৃষি, মানবদেহ, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে মধুমতি নদীর তীরবর্তী জনপদে ডায়রিয়া মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার জানান, গ্রীষ্মকালে মধুমতি নদীতে সমুদ্র থেকে লবণ পানি চলে আসে। ২০১৬ সালে মধুমতি নদীর পানিতে ১২০০ পিপিএম লবণাক্ততা পাওয়া যায়। এরপর এ বছর সর্বোচ্চ মাত্রার লবণাক্ততা রেকর্ড করা হয়েছে। মানবদেহের সহনীয় মাত্রা ৬০০ পিপিএম। গোপালগঞ্জে এই মাত্রার তিন গুণেরও বেশি লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় এ বছর মধুমতি নদীর পানিতে লবণাক্ততা ধরা পড়েছে ২১০০ পিপিএম।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় মধুমতি নদীর পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করা হয়। গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সরবরাহের পানিতে লবণ চলে আসে। এতে দুই পৌরসভার অন্তত তিন লাখ মানুষ সুপেয় পানির সংকটে পড়েন। এ অবস্থার স্থায়ী সমাধানে তিনি এই দুই পৌরসভায় আরও প্ল্যান্ট স্থাপনের পরামর্শ দেন।
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রীষ্মে উজানের পানির উৎস কমে যায়। তখন মধুমতি নদীতে বঙ্গোপসাগরের পানি ঢুকে পড়ে। এতে মধুমতি নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ে। এ বছর আগেভাবে গরম পড়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাত নেই। প্রখর রোদে মধুমতি নদীতে লবণের মাত্রাও বেড়েছে। লবণাক্ত পানি মান দেহের জন্য ক্ষতিকর। লবণ ফসল ও পরিবেশেরও ক্ষতি করে। এ ছাড়া মিঠাপানির জীব বৈচিত্র্যের জন্য লবণ মারাত্মক হুমকি। এভাবে লবণের আগ্রাসন চলতে থাকলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, কৃষি ও জীববৈচিত্র্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, মধুমতিতে লবণাক্ততার কারণে গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লবণাক্ত পানি পান করলে ডায়রিয়া, আমাশয়, ক্ষুধামান্দ্য, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এসব জটিলতা অবসানে তিনি লবণাক্ত পানি পান না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, পুকুর ও গভীর নলকূপের পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।
মধুমতী নদীতে লবণাক্ততা প্রায় চার মাস স্থায়ী হয়। এর কারণে ফসলের ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের পুকুর, শ্যালো অথবা গভীর নলকূপের পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক ড. অরবিন্দু কামার রায়।
তবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কৃষক রবিন চৌধুরী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া, একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তরুণ বিশ্বাস বলেন, শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই প্রতিবছর মধুমতির পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। বছর বছর লবণাক্ততা বাড়ছেই। এ পানি জমিতে ব্যবহার করলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুকুরেরও যথেষ্ট পানি থাকে না। ভূগর্ভস্থ পানি তুলতে গিয়ে ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর পানিতে গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণাক্ততার মাত্রা পাওয়া গেছে। এ বছর নদীর পানিতে পাওয়া গেছে ২১০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) মাত্রার লবণাক্ততা। এ লবণাক্ততা কৃষি, মানবদেহ, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে মধুমতি নদীর তীরবর্তী জনপদে ডায়রিয়া মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার জানান, গ্রীষ্মকালে মধুমতি নদীতে সমুদ্র থেকে লবণ পানি চলে আসে। ২০১৬ সালে মধুমতি নদীর পানিতে ১২০০ পিপিএম লবণাক্ততা পাওয়া যায়। এরপর এ বছর সর্বোচ্চ মাত্রার লবণাক্ততা রেকর্ড করা হয়েছে। মানবদেহের সহনীয় মাত্রা ৬০০ পিপিএম। গোপালগঞ্জে এই মাত্রার তিন গুণেরও বেশি লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় এ বছর মধুমতি নদীর পানিতে লবণাক্ততা ধরা পড়েছে ২১০০ পিপিএম।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় মধুমতি নদীর পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করা হয়। গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সরবরাহের পানিতে লবণ চলে আসে। এতে দুই পৌরসভার অন্তত তিন লাখ মানুষ সুপেয় পানির সংকটে পড়েন। এ অবস্থার স্থায়ী সমাধানে তিনি এই দুই পৌরসভায় আরও প্ল্যান্ট স্থাপনের পরামর্শ দেন।
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রীষ্মে উজানের পানির উৎস কমে যায়। তখন মধুমতি নদীতে বঙ্গোপসাগরের পানি ঢুকে পড়ে। এতে মধুমতি নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ে। এ বছর আগেভাবে গরম পড়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাত নেই। প্রখর রোদে মধুমতি নদীতে লবণের মাত্রাও বেড়েছে। লবণাক্ত পানি মান দেহের জন্য ক্ষতিকর। লবণ ফসল ও পরিবেশেরও ক্ষতি করে। এ ছাড়া মিঠাপানির জীব বৈচিত্র্যের জন্য লবণ মারাত্মক হুমকি। এভাবে লবণের আগ্রাসন চলতে থাকলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, কৃষি ও জীববৈচিত্র্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, মধুমতিতে লবণাক্ততার কারণে গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লবণাক্ত পানি পান করলে ডায়রিয়া, আমাশয়, ক্ষুধামান্দ্য, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এসব জটিলতা অবসানে তিনি লবণাক্ত পানি পান না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, পুকুর ও গভীর নলকূপের পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।
মধুমতী নদীতে লবণাক্ততা প্রায় চার মাস স্থায়ী হয়। এর কারণে ফসলের ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের পুকুর, শ্যালো অথবা গভীর নলকূপের পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক ড. অরবিন্দু কামার রায়।
তবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কৃষক রবিন চৌধুরী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া, একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তরুণ বিশ্বাস বলেন, শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই প্রতিবছর মধুমতির পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। বছর বছর লবণাক্ততা বাড়ছেই। এ পানি জমিতে ব্যবহার করলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুকুরেরও যথেষ্ট পানি থাকে না। ভূগর্ভস্থ পানি তুলতে গিয়ে ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
রাত ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে কপালে টিপ পরে, ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় পোশাক ও হাঁটা দেখে আশপাশের শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে যান...
৭ মিনিট আগেবরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
১৭ মিনিট আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৮ ঘণ্টা আগে