Ajker Patrika

‘আঁখির মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও চিকিৎসকেরা’

রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
‘আঁখির মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও চিকিৎসকেরা’

চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যু দায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল এড়াতে পারে না বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ বিএমডিসির নিবন্ধন নবায়ন না থাকার পরেও প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে চিকিৎসকদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। হাসপাতালের পাশাপাশি তিনজন চিকিৎসক এবং আঁখির স্বামী ইয়াকুবকেও মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে। 

গত ২ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালের অবকাঠামো, জনবল, যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো অসামঞ্জস্য রয়েছে কি না তা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন। এমনকি প্রতিবেদন গণমাধ্যমের হাতে আসায় বিষ্ময় প্রকাশ করেন। 

এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম আরেকটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রাজধানীর গ্রীন রোডের সেন্ট্রাল হাসপতাল এবং ডা. সংযুক্তা সাহার বিরুদ্ধে মাহবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসায় আবহেলা জনিত অভিযোগ এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে হাসপাতালের অবকাঠামো, জনবল, যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো অসামঞ্জস্যও রয়েছে কিনা তা যথাযথভাবে যাচাই করতে বলা হয়েছে। 

উক্ত মৃত্যুর ঘটনায় গত ২১ জুন তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (আইন অনুবিভাগ) আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ৪ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে প্রয়াত মাহাবুবা রহমান আঁখির স্বামী, স্বামীর ভাই ও অভিযুক্ত চিকিৎসকগণ এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তিদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। 

ঘটনার দিন ০৯.০৬. ২০২৩ তারিখ উল্লিখিত রোগী (আঁখি) সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসবেন এবং তার স্বামীর সঙ্গে ডা. সংযুক্তা সাহার ড্রাইভার কাম ম্যানেজার জমিরের কথা হয়। এ বিষয়ে অভিযোগে তার স্বামীর সঙ্গে সংযুক্তা সাহারও কথা হয়েছিল। ডা. সংযুক্তা সাহা রোগীনিকে নিয়ে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু তখন কেউই ডা. সংযুক্ত সাহা ওই দিন বিদেশে যাবেন এটা বলেননি অর্থাৎ তথ্যটি গোপন করেন। 

তদন্ত কমিটি তাদের মতামতে উল্লেখ করেছেন, প্রয়াত মাহাবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসাজনিত ত্রুটির ক্ষেত্রে ডা. সংযুক্তা সাহার অনৈতিক কর্মকাণ্ড দায়ী। তিনি সংশ্লিষ্ট রোগী ও তার অভিভাবককে স্বাভাবিক প্রসবের পক্ষে অতিরঞ্জিত সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রচারণামূলক ভিডিওর মাধ্যমে আকৃষ্ট করেছেন। 

ঘটনার দিন (৯ জুন ২০২৩) আঁখির স্বামী স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতালে আনার বিষয়ে ডা. সংযুক্তা এবং ড্রাইভার কান ম্যানেজার জমিরের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ওই দিন ডা. সংযুক্তার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি গোপন করেন। এমনকি তার অবর্তমানে এই রোগীর চিকিৎসা ডা. শাহাজাদীকে করতে নির্দেশ দিয়ে যান। ডা. সংযুক্তা নিয়মিতই তার অনুপস্থিতিতে তার নামে চিকিৎসা দিতে অন্যদের নির্দেশ দিয়ে যেতেন। 

সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. সংযুক্তা সাহার এবং বিএমডিসি নিবন্ধন নবায়ন না থাকার পরেও চিকিৎসা প্রদানের অনুমতি দিয়ে অনৈতিক কাজ করেছে। সেন্ট্রাল হাসপাতালে নির্ধারিত দিনে সংযুক্তা সাহার উপস্থিত না থাকার বিষয়টি গোপন করেছে। নিয়মিতভাবে ডা. সংযুক্তা সাহা অনুপস্থিত থাকলেও তার নামে রোগী ভর্তি করে অন্য ডাক্তারদের দ্বারা চিকিৎসা করিয়েছে। এমনকি ডা. সংযুক্তা বেআইনি ভাবে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে চিকিৎসা বিষয়ক প্রচারণা করে জেনেও তাকে নিষেধ না করে চিকিৎসার সুযোগ দিয়ে এসেছে। 

তদন্ত কমিটি মনে করে আঁখির মৃত্যুর জন্য তার স্বামী ইয়াকুব আলীও দায়ী। তিনি সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত দেখাতেন না। রোগীর দেরিতে প্রসবের কারণে সিজার লাগতে পারে, তিতাস উপজেলার নিবন্ধিত স্বাস্থ্য কর্মীর এ পরামর্শ অগ্রাহ্য করেছেন এবং জটিলতা জেনেও স্বাভাবিক প্রসব করাতে দৃঢ় থেকেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দীর্ঘায়িত প্রসূতি রোগীকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াই দীর্ঘ পথ সাধারণ গাড়িতে নিয়ে আসেন। 

ঘটনার দিন ডা. শাহাজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ডা. সংযুক্তা সাহার অনুপস্থিতির বিষয়টি গোপন করেছেন। ডা. সংযুক্তা সাহা উপস্থিত আছেন এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রোগীর চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। রোগীকে প্রথমবার দেখে পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত করতে হাসপাতালকে অনুরোধ করেননি। 

রোগী এবং স্বজনদের স্বাভাবিক প্রসবের প্রতি আগ্রহে প্রভাবিত হয়ে রোগীর প্রকৃত অবস্থা বুঝতে না পারা এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া ডা. মুনা সাহাও সংযুক্তা সাহার অনুপস্থিতির তথ্য গোপন করেছেন। ডা. সংযুক্তা সাহা উপস্থিত আছেন এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রোগীর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন। 

তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন) হোসেন আলী খোন্দকার মন্তব্য প্রদানে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আমি প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি। এর বাইরে কিছু বলার এখতিয়ার আমার নেই। কমিটির আরও তিনজন সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও একই ধরনের মন্তব্য করেন। তবে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন সদস্য বলেন, এই প্রতিবেদন আরও সুস্পষ্ট করার সুযোগ ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত