সাইফুল মাসুম, ঢাকা
চলতি পথে রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষের প্রয়োজন মেটাতে বর্তমানে শতাধিক পাবলিক টয়লেট রয়েছে। নতুন করে আরও অর্ধশত টয়লেট তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এটা সুখবরই বটে। তবে বিপত্তি হচ্ছে, টয়লেট ইজারা দিয়ে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় যেভাবে বাড়ছে, ঠিক সেভাবে বাড়ছে না সেবার মান। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে টয়লেটের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে নগরবাসীর।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় মোট পাবলিক টয়লেট রয়েছে ১০১টি। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে ৪৩টি ও ডিএসসিসিতে ৫৮টি। সম্প্রতি ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় ৫০টি নতুন টয়লেট করা হবে। কিছুর কাজ চলছে, তবে জায়গার অভাবে প্রায় ২৭টি পাবলিক টয়লেটের কাজ ঝুলে আছে।
মহাখালী মোড়ে দাঁড়ালে চারপাশের উৎকট গন্ধই বলে দেবে এখানে একটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। গত বুধবার সকালে সেখানে নাক চেপে দাঁড়িয়ে থাকা রাজিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর বয়স্ক মা টয়লেটের ভেতরে আছেন। বাইরে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। রাজিয়া বলেন, ‘টয়লেটগুলির এত খারাপ অবস্থা, যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তবু কিছু করার নেই। মা যেতে চাইল। বাসায় যেতে তো দেরি হবে।’
বেসরকারি সংস্থা ওয়াটারএইড ২০১১ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ‘শহরের ৫৫ লাখ পথচারীর প্রতিদিন চলাচলের সময় টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। প্রয়োজন অনুসারে মানসম্মত টয়লেট না থাকায় অনেকে পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হয়।’ ১০ বছর পার হলেও পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
পাবলিক টয়লেটগুলোর মানোন্নয়নে দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে ৩২টি পাবলিক টয়লেট পরিচালিত হচ্ছে। ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘রাজধানীতে আরও ২০০ টয়লেট নির্মাণ করলেও তা জনসংখ্যার তুলনায় যথেষ্ট হবে না। টয়লেটগুলোর পরিবেশও ভালো নয়। সিটি করপোরেশন লাভের আশায় এগুলো ইজারা দিয়ে দেয়। তখন আর এগুলো সেবামূলক থাকে না, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হয়ে পড়ে।’
ডিএনসিসির ২০-২১ অর্থবছরে টয়লেট ও ঘাট ইজারা বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছিল ৬০ লাখ টাকা। ২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। অন্যদিকে ডিএসসিসির ২০-২১ অর্থবছরে টয়লেট, পার্কিং, কাঁচাবাজার ও ভাগাড় থেকে ইজারা বাবদ আয় হয়েছিল ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। '২১-২২ বাজেটে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
গত বুধবার দুই সিটির মহাখালী, নাবিস্কো, ফার্মগেট, পান্থকুঞ্জ, আজিমপুর ও শ্মশানঘাটের টয়লেট ঘুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখা যায়। শ্মশানঘাটে পাবলিক টয়লেটের অস্তিত্বই নেই। টিনের তৈরি একটি খুপরিঘর চোখে পড়েছে। স্থানীয় দোকানি বেলায়েত হোসেন জানান, দেড় বছর আগেও এখানে টয়লেট ছিল। খেলার মাঠের উন্নয়ন করতে গিয়ে তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এসব নিয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘অনেক পাবলিক টয়লেট আমি নিজে ঘুরে দেখেছি। ব্যবস্থাপনা খুব ভালো।’
আজিমপুর টয়লেটে বসে থাকা দায়িত্বশীল চুন্নু মিয়া জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়ে টয়লেটটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২০০ মানুষ টয়লেটে আসেন। যাঁদের বেশির ভাগই শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রস্রাব করলে ৫ টাকা, পায়খানা ১০ টাকা, গোসল করলে ১০ টাকা দিতে হয়।
ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। পুরোনোগুলোকেও আপডেট (উন্নত) করা হবে।’
স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘রাজধানীতে রাস্তায় প্রতি আধা কিলোমিটারে একটি টয়লেট দরকার। সে হিসেবে ঢাকার দুই সিটিতে অন্তত ৭০০ পাবলিক টয়লেট করা প্রয়োজন। সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিচালনা করা দরকার।’
চলতি পথে রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষের প্রয়োজন মেটাতে বর্তমানে শতাধিক পাবলিক টয়লেট রয়েছে। নতুন করে আরও অর্ধশত টয়লেট তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এটা সুখবরই বটে। তবে বিপত্তি হচ্ছে, টয়লেট ইজারা দিয়ে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় যেভাবে বাড়ছে, ঠিক সেভাবে বাড়ছে না সেবার মান। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে টয়লেটের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে নগরবাসীর।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় মোট পাবলিক টয়লেট রয়েছে ১০১টি। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে ৪৩টি ও ডিএসসিসিতে ৫৮টি। সম্প্রতি ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় ৫০টি নতুন টয়লেট করা হবে। কিছুর কাজ চলছে, তবে জায়গার অভাবে প্রায় ২৭টি পাবলিক টয়লেটের কাজ ঝুলে আছে।
মহাখালী মোড়ে দাঁড়ালে চারপাশের উৎকট গন্ধই বলে দেবে এখানে একটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। গত বুধবার সকালে সেখানে নাক চেপে দাঁড়িয়ে থাকা রাজিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর বয়স্ক মা টয়লেটের ভেতরে আছেন। বাইরে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। রাজিয়া বলেন, ‘টয়লেটগুলির এত খারাপ অবস্থা, যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তবু কিছু করার নেই। মা যেতে চাইল। বাসায় যেতে তো দেরি হবে।’
বেসরকারি সংস্থা ওয়াটারএইড ২০১১ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ‘শহরের ৫৫ লাখ পথচারীর প্রতিদিন চলাচলের সময় টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। প্রয়োজন অনুসারে মানসম্মত টয়লেট না থাকায় অনেকে পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হয়।’ ১০ বছর পার হলেও পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
পাবলিক টয়লেটগুলোর মানোন্নয়নে দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে ৩২টি পাবলিক টয়লেট পরিচালিত হচ্ছে। ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘রাজধানীতে আরও ২০০ টয়লেট নির্মাণ করলেও তা জনসংখ্যার তুলনায় যথেষ্ট হবে না। টয়লেটগুলোর পরিবেশও ভালো নয়। সিটি করপোরেশন লাভের আশায় এগুলো ইজারা দিয়ে দেয়। তখন আর এগুলো সেবামূলক থাকে না, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হয়ে পড়ে।’
ডিএনসিসির ২০-২১ অর্থবছরে টয়লেট ও ঘাট ইজারা বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছিল ৬০ লাখ টাকা। ২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। অন্যদিকে ডিএসসিসির ২০-২১ অর্থবছরে টয়লেট, পার্কিং, কাঁচাবাজার ও ভাগাড় থেকে ইজারা বাবদ আয় হয়েছিল ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। '২১-২২ বাজেটে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
গত বুধবার দুই সিটির মহাখালী, নাবিস্কো, ফার্মগেট, পান্থকুঞ্জ, আজিমপুর ও শ্মশানঘাটের টয়লেট ঘুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখা যায়। শ্মশানঘাটে পাবলিক টয়লেটের অস্তিত্বই নেই। টিনের তৈরি একটি খুপরিঘর চোখে পড়েছে। স্থানীয় দোকানি বেলায়েত হোসেন জানান, দেড় বছর আগেও এখানে টয়লেট ছিল। খেলার মাঠের উন্নয়ন করতে গিয়ে তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এসব নিয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘অনেক পাবলিক টয়লেট আমি নিজে ঘুরে দেখেছি। ব্যবস্থাপনা খুব ভালো।’
আজিমপুর টয়লেটে বসে থাকা দায়িত্বশীল চুন্নু মিয়া জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়ে টয়লেটটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২০০ মানুষ টয়লেটে আসেন। যাঁদের বেশির ভাগই শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রস্রাব করলে ৫ টাকা, পায়খানা ১০ টাকা, গোসল করলে ১০ টাকা দিতে হয়।
ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। পুরোনোগুলোকেও আপডেট (উন্নত) করা হবে।’
স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘রাজধানীতে রাস্তায় প্রতি আধা কিলোমিটারে একটি টয়লেট দরকার। সে হিসেবে ঢাকার দুই সিটিতে অন্তত ৭০০ পাবলিক টয়লেট করা প্রয়োজন। সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিচালনা করা দরকার।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১১ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো আপসের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আপস করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে। দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
১৮ মিনিট আগেকমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রিকশাচালকদের অবরোধে জুরাইন রেল স্টেশনে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার আটকে যায় ৷ খুলনাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন আটকে আছে কমলাপুরের শহরতলি স্টেশনে ৷
২৫ মিনিট আগে