তেলাপোকা মারার বিষে দুই শিশুর মৃত্যু: পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ২২: ৫১
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ০০: ২৪

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তেলাপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা হয়েছে। দুই শিশুর বাবা মোবারক হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, দ্য পেস্ট কন্ট্রোল নামে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। 

আজ সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান। 

ওসি বলেন, ‘তেলাপোকা মারার স্প্রের বিষক্রিয়া দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের বাবা বাদী হয়ে আজ বিকেলে দ্য পেস্ট কন্ট্রোল নামে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেন। আমরা এরই মধ্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছি, তাঁদের গ্রেপ্তারের আমাদের অভিযান চলছে।’ 

ওসি আরও বলেন, ‘নিহত দুই শিশুর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই শিশুর বাবা-মাও বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা আজ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন।’ 

গতকাল রোববারে তেলাপোকা মারার স্প্রের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। পরে দুই শিশুকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে শাহিল মোবারত জায়ান (৯) নামে শিশুটি মারা যায়। এদিন রাত ১০টায় শাহিলের বড় ভাই শায়েন মোবারত জাহিনও (১৫) মারা যায়। দুই শিশুর মা শারমিন জাহান লিমা ও বাবা মোবারক হোসেনও বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

পুলিশ ও শিশু দুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বসুন্ধরা আই ব্লকের নতুন বাসায় স্প্রে পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা এসে স্প্রে করে যান। এর দুই দিন পর পরিবারের সদস্যরা বাসায় প্রবেশ করলে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিলে রোববার ভোরে শাহিল মোবারত জায়ান মারা যায়। আর রাত ১০টায় মারা যায় বড় ছেলে শায়েন মোবারত জাহিন। 

এভার কেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘রোববার ভোরে শাহিলকে মৃত অবস্থায় ও শায়েনকে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। পরে রাত ১০টায় আইসিইউতে শায়েন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে পুলিশ এসে দুজনের মরদেহ নিয়ে যায়।’ 

শিশু দুটির খালা ডা. রওনক জাহান রোজি অভিযোগ করে বলেন, ‘পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের অদক্ষ কর্মীদের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সঠিক উত্তর পাইনি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত