রাজনীতি বাদ দিয়ে বেশি দিন চললে সার্বভৌমত্ব থাকবে না: বাংলা একাডেমির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ৪৬
Thumbnail image
আলোচনা সভায় উপস্থিত বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকসহ অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজনীতি বাদ দিয়ে বেশি দিন চললে আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সমাজ চিন্তক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে সমাজ সন্দর্শন কেন্দ্র।

আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কিছু পরিকল্পনা করেছে, সেগুলো সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করলে আমাদের জাতির জন্য ভালো হবে। কিন্তু রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাদ দিয়ে বেশি দিন চললে আমাদের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব থাকবে না। কারণ যে বড় বড় শক্তি আছে, তারা রাজনৈতিক ছাড়া রাজনীতি পরিচালনা করতে পারবে না। জনগণের যদি সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে সরকারের শক্তি বাড়বে।’

এই সমাজ চিন্তক বলেন, ‘আমরা এখন ভীষণ দুর্যোগের মধ্যে পড়ে আছি। এই দুর্যোগ আগে থেকে হয়ে আসছে। শেখ হাসিনার আমলে এটা একটা ক্লাইম্যাক্সে (চূড়ান্তভাবে) পৌঁছেছে। একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে আবার একটা নির্বাচনের নামে প্রহসন করে বিজয় হয়েছে।

‘এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েই, বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপর সীমাহীন অত্যাচার চালিয়েছে। হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টকে মর্যাদাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। একেবারে শেখ হাসিনার সঙ্গে যাঁদের যাঁদের পরিচয় আছে, তাঁদের বিচারপতি করেছেন। রাজনৈতিক অনেক বিষয়ে শেখ হাসিনা যা চেয়েছে, বিচারপতি তেমন রায় দিয়েছেন।’

শেখ হাসিনা শাসনকে হিটলার ও মুসোলিনি শাসনের সঙ্গে তুলনা করে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, শেখ হাসিনার শাসনকে সবাই ফ্যাসিবাদী বলছেন। ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা মুসোলিনি। ফ্যাসিবাদের মুসোলিনি ধারণা পরে হিটলার গ্রহণ করেছে। মুসোলিনি যেই অবস্থা হয়েছে। হিটলারেও একই অবস্থা হয়েছে। মুসোলিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন, অসাধারণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু পৃথিবীব্যাপী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ইতালির জনগণের হাতে করুণভাবে মরতে হয়েছে।

পরে জার্মানে হিটলার একই মতবাদ গ্রহণ করেছেন। সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রচার দিয়ে তাঁরা জনপ্রিয় হয়েছেন। একনায়কতন্ত্রের কারণে মুসোলিনি ও হিটলারের বিরুদ্ধে বেশি জনমত তৈরি হয়েছিল। শেখ হাসিনা হিটলার ও মুসোলিনি তুলনায় সামান্য ব্যাপ্তি, অসামান্য কিছু না। তারপরও শেখ হাসিনা নিজের বাবার কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে নিজের অবস্থানকে স্থায়ী করার চেষ্টা করেছেন।

সভায় আরও আলোচনায় অংশ নেন সমাজ সন্দর্শন কেন্দ্রের সভাপতি মুস্তাফা মজিদ, অধ্যাপক ড. রাহমান চৌধুরী, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত