মানিকগঞ্জ (ঘিওর) প্রতিনিধি
নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে মানিকগঞ্জ জেলার সাতটি থানায় বিএনপির ১৪৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় আজ শুক্রবার পর্যন্ত জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোতালেব হোসেনসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে মামলার আসামি করা হয়েছে, যার ফলে ওই সব ইউনিয়নে সাধারণ মানুষ নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আতঙ্কে এলাকাছাড়া কয়েক শ নেতা-কর্মী।
জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার জনসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেছে। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে মানিকগঞ্জ সদরের ১৫ জন, শিবালয়ের ২০ জন, ঘিওরের ২৯ জন, সিংগাইরের ১৩ জন, সাটুরিয়ার ২৮ জন, হরিরামপুরের ১৭ জন ও দৌলতপুরের ২২ জনসহ মোট ১৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মামলায় ককটেল বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নাশকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরতাজ আলম বাহার বলেন, ‘আমাদের জেলা থেকে কম করে হলেও ৩০ হাজার দলীয় নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন। কিন্তু জনস্রোত ঠেকাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে সারা দেশের মতো আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেছে। সরকারের মদদে গেল কয়েক দিনে জেলার সাতটি উপজেলার প্রতিটি থানায় ২৫ থেকে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে কয়েক শ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাসহ ২১ জন কর্মী-সমর্থককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’
ঘিওর থানায় মামলার বাদী উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী সুমন। তিনি জানান, ‘শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলনের প্রচার কার্যক্রম শেষে ফেরার পথে আসামিরা আমাদের হত্যা ও নাশকতার জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলা ও আক্রমণে আমরা মারাত্মক জখম হলেও প্রাণে বেঁচে যাই।’
মামলায় আসামি হওয়া প্রসঙ্গে বানিয়াজুরী ইউপি চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়নবাসীর সেবাকাজেই ব্যস্ত থাকি। আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে।’
এ পর্যন্ত সাতটি থানায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. মোতালেব হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ, যুবদলের কর্মী জসিম উদ্দিন, বিএনপির নেতা মফিজুর রহমান, ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাদের, বালিয়াখোড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু বকর ছিদ্দিক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রমজান আলী, সিংগাইর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, বিএনপির কর্মী আবু সালাম ও আব্দুস সামাদ, সাটুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান খান স্বপন, রেজাউল করিম, হরিরামপুর বিএনপির নেতা ডা. মো. নুরুল ইসলাম, রোমান, আলম, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, যুবদলের কর্মী সাহাদত হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, উথুলি ইউনিয়ন যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন ও হরগজ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামকে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন বলেন, ‘মানিকগঞ্জ থেকে আমরা বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী শান্তিপূর্ণভাবেই আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে যোগ দেব। হামলা, ভয়ভীতি ও গ্রেপ্তার করে আমাদের ঢাকার সমাবেশে যাওয়া থেকে সরকার বাধা দিতে পারবে না।’
নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে মানিকগঞ্জ জেলার সাতটি থানায় বিএনপির ১৪৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় আজ শুক্রবার পর্যন্ত জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোতালেব হোসেনসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে মামলার আসামি করা হয়েছে, যার ফলে ওই সব ইউনিয়নে সাধারণ মানুষ নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আতঙ্কে এলাকাছাড়া কয়েক শ নেতা-কর্মী।
জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার জনসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেছে। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে মানিকগঞ্জ সদরের ১৫ জন, শিবালয়ের ২০ জন, ঘিওরের ২৯ জন, সিংগাইরের ১৩ জন, সাটুরিয়ার ২৮ জন, হরিরামপুরের ১৭ জন ও দৌলতপুরের ২২ জনসহ মোট ১৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মামলায় ককটেল বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নাশকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরতাজ আলম বাহার বলেন, ‘আমাদের জেলা থেকে কম করে হলেও ৩০ হাজার দলীয় নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন। কিন্তু জনস্রোত ঠেকাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে সারা দেশের মতো আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেছে। সরকারের মদদে গেল কয়েক দিনে জেলার সাতটি উপজেলার প্রতিটি থানায় ২৫ থেকে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে কয়েক শ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাসহ ২১ জন কর্মী-সমর্থককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’
ঘিওর থানায় মামলার বাদী উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী সুমন। তিনি জানান, ‘শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলনের প্রচার কার্যক্রম শেষে ফেরার পথে আসামিরা আমাদের হত্যা ও নাশকতার জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলা ও আক্রমণে আমরা মারাত্মক জখম হলেও প্রাণে বেঁচে যাই।’
মামলায় আসামি হওয়া প্রসঙ্গে বানিয়াজুরী ইউপি চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়নবাসীর সেবাকাজেই ব্যস্ত থাকি। আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে।’
এ পর্যন্ত সাতটি থানায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. মোতালেব হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ, যুবদলের কর্মী জসিম উদ্দিন, বিএনপির নেতা মফিজুর রহমান, ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাদের, বালিয়াখোড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু বকর ছিদ্দিক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রমজান আলী, সিংগাইর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, বিএনপির কর্মী আবু সালাম ও আব্দুস সামাদ, সাটুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান খান স্বপন, রেজাউল করিম, হরিরামপুর বিএনপির নেতা ডা. মো. নুরুল ইসলাম, রোমান, আলম, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, যুবদলের কর্মী সাহাদত হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, উথুলি ইউনিয়ন যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন ও হরগজ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামকে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন বলেন, ‘মানিকগঞ্জ থেকে আমরা বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী শান্তিপূর্ণভাবেই আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে যোগ দেব। হামলা, ভয়ভীতি ও গ্রেপ্তার করে আমাদের ঢাকার সমাবেশে যাওয়া থেকে সরকার বাধা দিতে পারবে না।’
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন।
৩১ মিনিট আগেতৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন এক দশক আগে। এই পদে চাকরি করে আক্ষরিক অর্থে ‘পাহাড়সম’ সম্পদ হয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নাজমুল আলমের।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচজন আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনাটোর–পাবনা মহাসড়কের কদিমচিলান এলাকায় বনপাড়া থেকে রাজাপুরগামী ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানটিকে খুলনা থেকে নাটোরগামী ট্রাকে চাপা দেয়। এরপর ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
২ ঘণ্টা আগে