‘লাভজনক প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত হয়েছে বিআরটিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ৫১
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ৪৫

লোকসান কাটিয়ে বিআরটিসি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। আজ শনিবার ঢাকার বিআরটিসি ভবনে ‘বদলে যাচ্ছে বিআরটিসি’ শীর্ষক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আমজাদ হোসেন। 

উপসচিব মো. আমজাদ হোসেন জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১০ মাসে ৩৬ কোটি টাকার বেশি লাভ হয়েছে বাস সার্ভিসের মধ্যে। এর আগের অর্থবছরে এই বাস সার্ভিস থেকে ৩৫ কোটি টাকার বেশি লাভ হয়েছে। এ ছাড়া বিআরটিসির ট্রাক সার্ভিসও লাভ করছে। 

আমজাদ হোসেন আরও জানান, গত এক বছরে ৭০০ নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চালকদের জন্য সমন্বিত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৭০০ বাস ও ৫০০ ট্রাকে ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ফলে কোনো ড্রাইভার হার্ড ব্রেক করলে বা তাঁর ঘুম চলে এলে সে তথ্যও এখন মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ বলেন, ‘বিআরটিসি ভালো করছে, আমরা চাই আরও এগিয়ে যাক। চালকদের জন্য চোখ, ব্লাডপ্রেশার ও ডায়াবেটিস পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, যাতে দুর্ঘটনা কম হয়।’ 

মূল প্রবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে আমিন উল্লাহ আরও বলেন, ‘বিআরটিসির সামনে আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শূন্য পদে নিয়োগ করা, দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা এবং যাত্রীসেবার মান বাড়ানো। এসব ক্ষেত্রেও উন্নতি করতে হবে।’ 

আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের অতিরিক্ত সচিব মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাসচালকদের বাস চালানোর সময় দৈনিক আট ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছে বিআরটিসি। এ জন্য সম্প্রতি ১০০ চালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাকচালকদের ক্ষেত্রে এখনো দৈনিক ৮ ঘণ্টার সময়সীমা মানা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন চালক নিয়োগ দিয়ে এটি মানার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’ 

বুয়েটের এআরআই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুন নেওয়াজ জানান, গত এক বছরে আসলেই বিআরটিসি অনেকটা বদলে গেছে। আয় বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনের নীতিটি ভালো। আধুনিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ চলমান রাখার পরামর্শ দেন তিনি। 

সাইফুন নেওয়াজ আরও বলেন, নতুন বাস বাড়েনি, কিন্তু পুরোনো বাস সংস্কার করেই লাভ করা সম্ভব হয়েছে এটিও ভালো দিক। ই–নথি ব্যবহারের কারণে স্বচ্ছতা তৈরি হয়েছে, চালকদের যে খাবার দেওয়া হয় তার মানও ভালো। এ সময় ভিটিএস প্রযুক্তির ব্যবহার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

এই আলোচনায় অংশ নিয়ে অনেক বক্তা বিআরটিসির যানবাহনে আরও আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি নারী চালক নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শও দেন বক্তারা। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত