সাভারে শিক্ষক হত্যা: জিতুর কথিত প্রেমিকাও স্কুল থেকে বহিষ্কৃত

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২২, ১৫: ৪২
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২২, ১৭: ২৮

সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জিতুর পর এবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে তার কথিত প্রেমিকাও। হত্যাকাণ্ডে উসকানিদাতা হিসেবে প্রেমিকাও থাকতে পারে—এমন তথ্যের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। 

আজ শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল হাসান। 

অধ্যক্ষ মো. সাইফুল হাসান বলেন, ‘জিতু একজন শিক্ষককে হত্যা করেছে, প্রতিষ্ঠানের সবাই সচক্ষে বিষয়টি দেখেছে। শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করায় ছেলেটাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তার জবানবন্দিতে সে এও উল্লেখ করেছে যে, মেয়েটার উসকানিতে সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং ছাত্রছাত্রীদের মুখে বর্তমানে এটাই প্রচলিত। ওটাই সত্য বলে সবাই মনে করছে। অনেকগুলো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এই মুহূর্তে মেয়েটি ক্লাসে এলে তার নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দেবে এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা অসহিষ্ণুতা তৈরি হতে পারে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, সেহেতু যদি তার নাম পাওয়া যায় তাহলে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। আর যদি সত্যি সত্যি দেখা যায় সে নির্দোষ তাহলে তার বহিষ্কার আদেশ আমরা তুলে নেব। পরে সে আবার ক্লাস করতে পারবে।’ 

জানা যায়, মেয়েটি ওই প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এর আগে বখাটে জিতুর সঙ্গে মেলামেশা করায় মেয়েটির পরিবারকে এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষক উৎপল কুমার। এ বিষয়ে জিতুকেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী কলেজের মাঠে প্রকাশ্যে শিক্ষক উৎপলকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আঘাত করে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিতু। পরে শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান তিনি। সেদিন থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করলে ২৮ জুন রাতে কুষ্টিয়া থেকে জিতুর বাবা উজ্জ্বল হাজিকে ও ২৯ জুন গাজীপুর থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত