ফিলিস্তিন ও রোজিনার পক্ষে প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২১, ১৫: ৩৭

ঢাকা: ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সমাবেশ থেকে সাংবাদিক রোজিনাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান সংগঠনটি।

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করতে চাইছে। ইসরায়েল একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা স্পষ্টই যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন। ইসরায়েলকে এই হামলা বন্ধ করতে হবে।

রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, অফিশিয়াল সিক্রেসি আইন বাতিলের দাবিতে আমরা অনেক আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি। রোজিনার কণ্ঠরোধ মানে পুরো বাংলাদেশের কণ্ঠরোধ। একটা স্বাধীন দেশে কারো কণ্ঠরোধ করা যাবে না। এখানে রাজতন্ত্র চলে না, এটা প্রজাতন্ত্রের দেশ। গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমাদের যুদ্ধের সময় যে কয়েকটা আরব দেশ পাশে ছিল ফিলিস্তিন তার মধ্যে অন্যতম। তাই ইসরায়েলের এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের সময় ফিলিস্তিনের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে যেভাবে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে তাও অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম, মহাসচিব জিয়াউদ্দীন বাবলুসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মীরা।

প্রেসক্লাবে আরো যারা মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রেসক্লাবে আরো সমাবেশ করেছে গণতন্ত্রী পার্টি, এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা ও ইসলামি ঐক্যজোট।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও হেনস্তাকারীদের যথাযথ বিচার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় নারী, শ্রমিক, কৃষক, যুব জোট। টাস্কফোর্স গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান তাঁরা।

প্রেসক্লাবের ভেতরে রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। মানববন্ধনে আরো যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ সাংবাদিক জোট, ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম, লালমনিরহাট সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ ধর্মীয় লেখক ও সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য সংগঠন।

প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রোজিনাকে আটকের পর আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি কিন্তু কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোজিনাকে আটকে রেখে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে কোন সভ্য দেশে এমন হতে পারে না। যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে সেটা আমরা মানি না। কমিটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেউ থাকতে পারবে না, আমাদের প্রতিনিধি রাখতে হবে। যে আইনে রোজিনাকে আটক করা হয়েছে সে আইনে কোন মামলাই হতে পারে না। এই আইনটি বাতিল হওয়া উচিত। এক শ বছর আগের অকার্যকর আইন দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ চলতে পারে না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত