Ajker Patrika

দেশে প্রতিবছর তামাকে ১ লাখ ৬১ হাজার প্রাণহানি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৪, ২২: ০২
দেশে প্রতিবছর তামাকে ১ লাখ ৬১ হাজার প্রাণহানি 

প্রতিবছর বাংলাদেশে তামাকের কারণে ১ লাখ ৬১ হাজার লোক মারা যায় বলে জানিয়েছেন তামাকবিরোধী সংগঠনের নেতারা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা); বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের উদ্যোগে ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান তাঁরা। 

বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসির প্রজেক্ট ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম হিল্লোল বলেন, প্রতিবছর তামাকের কারণে বিশ্বে ৮০ লাখ মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে প্রতিবছর বাংলাদেশেই মারা যায় ১ লাখ ৬১ হাজার। তাই তামাকের নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো দাম বাড়িয়ে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা বলছে, তামাকের দাম ১০ শতাংশ বাড়ালে এর ব্যবহার ৪ থেকে ৮ শতাংশ কমে আসে। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫ দফা সুপারিশ করেন তিনি। 

এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, বাজেট প্রস্তাব সংশোধন করে বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ ও করারোপ করা, এমআরপিতে বিক্রির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা, যেকোনো ধরনের মূল্য কারসাজির ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যে রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং ও বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা চালু করা, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপ একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে আনতে একটি শক্তিশালী জাতীয় তামাক করনীতি প্রণয়ন করা। 

হামিদুল ইসলাম হিল্লোল আরও বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ’-এর কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত রাজস্ব আদায় ও তামাক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক। কারণ সিগারেটের প্যাকেটে লেখা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রির মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়। 

আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি সভাপতি ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ‘তামাক কোম্পানিগুলোর অবৈধ লবিংয়ের বিরুদ্ধে ৩০টি তামাকবিরোধী সংগঠন যৌথভাবে এবং আলাদাভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এরই মধ্যে ১৫৩ জন সদস্য তামাকের বিরুদ্ধে তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে আমাদের অনুষ্ঠান ও কর্মসূচিতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের উপদেষ্টা ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খানসহ অন্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত