নিজস্ব প্রতিবেদক
‘টানা কয়েক দিন বন্ধ থাকনের পর আইজগা আবার ঝড়, আমগো আর বাঁচনের উপায় থাকল না।’ শুক্রবার দুপুরে ঝড়ের ওপর রাগ ঝেড়ে জিনিসপত্র গোটাতে গোটাতে এসব বলছিলেন রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের বিক্রেতা ঝুনু মিয়া। তাঁর আশঙ্কা ছিল, ঝড়ের কারণে ক্রেতাসমাগম কমে যাবে। শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের আতঙ্ক, তার ওপর ঝড়—ঝুনু মিয়ার আশঙ্কা সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উল্টোটা।
শুক্রবার নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তিন দিনের সংঘর্ষের ক্ষত এবং ঝড়-বৃষ্টি সত্ত্বেও বিপণিবিতানগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। এদিন সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য পুরো এলাকা। দুপুরের পর ঘণ্টাখানেকের জন্য ঝড়ের কারণে ফুটপাতের কেনাকাটায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে বিপণিবিতানগুলোতে এর তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। দুই দিন আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল গোটা এলাকা, ক্রেতাসমাগম দেখে সেটাও বোঝার উপায় নেই।
নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, চন্দ্রিমা, নুরজাহান, প্রিয়াঙ্গনসহ এই এলাকার সব বিপণিবিতান খুলে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সঙ্গে খুশি ক্রেতারাও।
রায়েরবাজার থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা জান্নাতুল অহনা বলেন, ‘বসুন্ধরা, টোকিও স্কয়ার থেকে কেনাকাটা করা হয়। কিন্তু নিউমার্কেটে আসতে না পারলে মনে হয়, কী যেন বাকি রয়ে গেল।’
ক্রেতাদের অনেকেই জানান, ঈদে ঢাকার বাইরে যাবেন, তাই এই সপ্তাহান্তে সব কেনাকাটা শেষ করতে চান। এ জন্য ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন তাঁরা।
মিরপুর থেকে আসা অনামিকা পারভিন বলেন, ‘আগেই পরিকল্পনা করা ছিল, আজ নিউমার্কেটে আসব। ঈদে বাড়িতে যাব। তাই ঝড়-বৃষ্টি থাকলেও আজই সব কেনাকাটা শেষ করতে হবে।’
অন্যদিকে বিক্রেতাদের আফসোস, ঈদের ভরা মৌসুমে দুটো দিন বেচাকেনা করতে না পারা। নিউমার্কেটে সংঘর্ষের কারণে রাজধানীর অন্যান্য এলাকার বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাসমাগম বেড়েছে বলে জানান তাঁরা।
ধানমন্ডি হকার্সের বিক্রেতা মোতালেব মিয়া বললেন, ‘নিউমার্কেট জ্বইলছে, অন্যগের আঙুল ফুইলছে।’ পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ব্যবসায়ী জানান, সংঘর্ষের পর থেকে মৌচাক, মোহাম্মদপুরের বিপণিবিতানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনের কথাতেও এর সত্যতা পাওয়া গেল। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের জানাচ্ছেন, নিউমার্কেটে সংঘর্ষের পর অন্যান্য এলাকার দোকানপাটে ক্রেতাসমাগম স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের ধারণা, এই অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। নিউমার্কেট সংঘর্ষের ক্ষত এবং ক্ষতি—কোনোটিই যে সহসা দূর হওয়ার নয়, তা বোঝা গেল এই এলাকার কিছু ক্রেতা-বিক্রেতার কথোপকথনে। জুতার দামদর করা এক ক্রেতাকে বিক্রয়কর্মী বলছিলেন, ‘আপু, বিশ্বাস করেন, এইটা দেড় শ টাকায় দিতে পারুম না। এর বেশি কিছু কইলে তো লোক ডাইকা আইনা মাইর খাওয়াইবেন। কইবেন খারাপ ব্যবহার করছি। গরিব অশিক্ষিত বইলা আমগোই তো সব দোষ।’
তরুণ এই বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর দোকানের ছবি তুলতে চাইলে চোখে-মুখে আতঙ্ক নিয়ে বললেন, ‘আমগো বিপদ আর বাড়াইয়েন না। কোন ছবি নিয়া কোথায় দেবেন, হেইডা নিয়া যদি আবার ঝামেলা বাধে! আমরা আছি বিপদে।’
‘টানা কয়েক দিন বন্ধ থাকনের পর আইজগা আবার ঝড়, আমগো আর বাঁচনের উপায় থাকল না।’ শুক্রবার দুপুরে ঝড়ের ওপর রাগ ঝেড়ে জিনিসপত্র গোটাতে গোটাতে এসব বলছিলেন রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের বিক্রেতা ঝুনু মিয়া। তাঁর আশঙ্কা ছিল, ঝড়ের কারণে ক্রেতাসমাগম কমে যাবে। শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের আতঙ্ক, তার ওপর ঝড়—ঝুনু মিয়ার আশঙ্কা সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উল্টোটা।
শুক্রবার নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তিন দিনের সংঘর্ষের ক্ষত এবং ঝড়-বৃষ্টি সত্ত্বেও বিপণিবিতানগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। এদিন সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য পুরো এলাকা। দুপুরের পর ঘণ্টাখানেকের জন্য ঝড়ের কারণে ফুটপাতের কেনাকাটায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে বিপণিবিতানগুলোতে এর তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। দুই দিন আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল গোটা এলাকা, ক্রেতাসমাগম দেখে সেটাও বোঝার উপায় নেই।
নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, চন্দ্রিমা, নুরজাহান, প্রিয়াঙ্গনসহ এই এলাকার সব বিপণিবিতান খুলে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সঙ্গে খুশি ক্রেতারাও।
রায়েরবাজার থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা জান্নাতুল অহনা বলেন, ‘বসুন্ধরা, টোকিও স্কয়ার থেকে কেনাকাটা করা হয়। কিন্তু নিউমার্কেটে আসতে না পারলে মনে হয়, কী যেন বাকি রয়ে গেল।’
ক্রেতাদের অনেকেই জানান, ঈদে ঢাকার বাইরে যাবেন, তাই এই সপ্তাহান্তে সব কেনাকাটা শেষ করতে চান। এ জন্য ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন তাঁরা।
মিরপুর থেকে আসা অনামিকা পারভিন বলেন, ‘আগেই পরিকল্পনা করা ছিল, আজ নিউমার্কেটে আসব। ঈদে বাড়িতে যাব। তাই ঝড়-বৃষ্টি থাকলেও আজই সব কেনাকাটা শেষ করতে হবে।’
অন্যদিকে বিক্রেতাদের আফসোস, ঈদের ভরা মৌসুমে দুটো দিন বেচাকেনা করতে না পারা। নিউমার্কেটে সংঘর্ষের কারণে রাজধানীর অন্যান্য এলাকার বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাসমাগম বেড়েছে বলে জানান তাঁরা।
ধানমন্ডি হকার্সের বিক্রেতা মোতালেব মিয়া বললেন, ‘নিউমার্কেট জ্বইলছে, অন্যগের আঙুল ফুইলছে।’ পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ব্যবসায়ী জানান, সংঘর্ষের পর থেকে মৌচাক, মোহাম্মদপুরের বিপণিবিতানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনের কথাতেও এর সত্যতা পাওয়া গেল। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের জানাচ্ছেন, নিউমার্কেটে সংঘর্ষের পর অন্যান্য এলাকার দোকানপাটে ক্রেতাসমাগম স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের ধারণা, এই অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। নিউমার্কেট সংঘর্ষের ক্ষত এবং ক্ষতি—কোনোটিই যে সহসা দূর হওয়ার নয়, তা বোঝা গেল এই এলাকার কিছু ক্রেতা-বিক্রেতার কথোপকথনে। জুতার দামদর করা এক ক্রেতাকে বিক্রয়কর্মী বলছিলেন, ‘আপু, বিশ্বাস করেন, এইটা দেড় শ টাকায় দিতে পারুম না। এর বেশি কিছু কইলে তো লোক ডাইকা আইনা মাইর খাওয়াইবেন। কইবেন খারাপ ব্যবহার করছি। গরিব অশিক্ষিত বইলা আমগোই তো সব দোষ।’
তরুণ এই বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর দোকানের ছবি তুলতে চাইলে চোখে-মুখে আতঙ্ক নিয়ে বললেন, ‘আমগো বিপদ আর বাড়াইয়েন না। কোন ছবি নিয়া কোথায় দেবেন, হেইডা নিয়া যদি আবার ঝামেলা বাধে! আমরা আছি বিপদে।’
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ও গ্রাম পুলিশের সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধনে দেরি হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরই আইনি সহায়তাপ্রত্যাশী নারীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখনো অনেক নারী সহিংসতার শিকার হলেও মামলা করছেন না। সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে সহিংসতার শিকার নারীদের বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ও বিচারকসহ সবার সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত এক আ
২ ঘণ্টা আগেঢাকার শাহবাগ থানা কিছুটা সরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। থানা সরিয়ে এর প্রবেশ মুখ উত্তর দিকে করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আ
৩ ঘণ্টা আগেইসকন নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর।
৩ ঘণ্টা আগে