সবুজবাগে দুই শিশুর সামনে মাকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ১৬: ০৮
Thumbnail image

রাজধানীর সবুজবাগে দুই শিশুসন্তানের সামনে গৃহবধূ তানিয়া আফরোজ মুক্তাকে (২৮) হত্যার ঘটনায় রিফাত হাসান বাপ্পী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরিশালের ঝালকাঠিতে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কী কারণে এমন খুন, তাও নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত দল। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন থানায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ। 

তদন্ত দলের পক্ষ থেকে জানা গেছে, গত শনিবার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) ঠিক থাকার পরেও সার্ভিসিংয়ের কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে বাপ্পী ও তাঁর সহযোগীরা। বাসায় ঢুকেই আলমারিতে থাকা টাকা-পয়সা লুট করতে হামলা চালায় তারা। আর এতে বাধা দেন গৃহবধূ মুক্তা। ঘরে থাকা দুই শিশুসন্তান ৩ বছরের মায়মুন ও ১০ মাসের তানভিরুল ইসলামকে স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে রেখে তাদের সামনেই মাকে গলা কেটে হত্যা করে ঘাতকেরা। 

সবুজবাগের দক্ষিণগাঁওয়ের বটতলা এলাকায় দুই শিশুসন্তানসহ গৃহবধূ তানিয়া আফরোজ মুক্তা (২৮) থাকতেন। আর পেশাগত কারণে ফরিদপুরে থাকতেন তাঁর স্বামী মাইনুল ইসলাম। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ান। 

ঘটনার পরে মালিক ফাহিম আহমেদ জানান, আগেও দোতলায় একাধিকবার এসি সার্ভিসিং করতে মানুষ এসেছিল। সেই সুবাদে শনিবার বিকেলেও এসি সার্ভিসিংয়ে দুজন লোক এসেছিল। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় দ্বিতীয় তলার পাশের বাসায় ধাক্কা দেয় তিন বছরের মায়মুন। আম্মুকে মারছে বলে জানায় সে। দৌড়ে ওই বাসায় গিয়ে দেখি ১০ মাসের তানভিরুলকে স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো। আর মুক্তা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ আসে। 

ওই বাসার সামনের দোকানি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমার দোকান রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সন্ধ্যায় পুলিশ এলে জানতে পারি এখানে খুন হয়েছে। কেমনে কী হয়েছে কিছুই বুঝলাম না।’ 

স্ত্রী মুক্তার মৃত্যুর কথা শুনে ফরিদপুর থেকে আসেন মাইনুল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার সন্দেহ, ওই ব্যক্তিরা মুক্তাকে ভুল বুঝিয়ে বাসায় ঢুকে এসি সার্ভিসিং করছিল। কারণ বাসায় এসির কাভার খোলা অবস্থায় দেখতে পান তিনি। তারা এসির কাজ করার সময় হয়তো আলমারি খুলে সেখানে হাতাহাতি করছিল। তখন তানিয়া দেখে ফেলায় তারা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আলমারিতে জামা-কাপড়ও ছড়ানো-ছিটানো ছিল।’ 

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় মামলা করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল বাশার আজকের পত্রিকাকে জানান, এক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত