নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা চালু, নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন রাখাসহ আট দফা দাবিতে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাখাল রাহা। লিখিত বক্তব্যে তিনি নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, নম্বরভিত্তিক দুটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা চালু, বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখা, গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি, ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন, তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করা, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বহাল রাখার দাবি জানান।
একই সঙ্গে সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রীপরিষদ ও সংসদে উত্থাপনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক পরিচয় দেওয়া একাধিক ব্যক্তি বক্তব্য রাখেন। তাঁদের অধিকাংশই কোচিং ও নোট-গাইড বই চালুর পক্ষে বক্তব্য দেন।
মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক পরিচয় দেওয়া মুসফিকা ইসলাম বলেন, ‘কোচিং ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী থাকবেই সারা জীবন। কোচিংয়ে না পড়লে বাচ্চারা শিখবে কীভাবে? অবশ্যই আমাকে কোচিংয়ে যেতে হবে, গাইডও পড়তে হবে। কোচিংয়ে গেলে তো বাচ্চারা পড়ত, সে জন্য আমরা টাকা দিতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি। কেন লটারি পদ্ধতিতে সুযোগ পাবে? আমার বাচ্চা প্রতিযোগিতা করে সুযোগ পাবে। লটারি হযবরল হয়ে যাচ্ছে। এতে স্কুলের মান কমে যাচ্ছে।’
সাভারের মর্নিং গ্লোরি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডা. আফরোজ নাসরিন বলেন, ‘হেসেখেলে তো পড়াশোনা হয় না। বলা হয়, এই কারিকুলামের হলে কোচিং ব্যবসা বন্ধ হবে। আমরা কি বলেছি কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে? কোচিং ব্যবসা বিশ্বের কোনো দেশে নাই?’
সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে কোচিং ব্যবসার পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেন রাখাল রাহা। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা কি স্কুলে যায়? তারা তো সারা বছর কোচিং করে ও লেভেল এবং এ লেভেল দেয়। তারা শুধু কোচিং করে, আর কিছু করে না।’
তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ কারিকুলাম চালু করতে হবে। এই শিক্ষক দিয়ে কোনো কারিকুলামই বাস্তবায়ন করা যাবে না। শিক্ষকদের অধিকাংশই ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোচিং ও নোট-গাইড বইয়ের পক্ষে সাফাই করা হচ্ছে কেন—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে কয়েক ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসেন। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি শান্ত হলে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করতে চাইলে একাধিক ব্যক্তি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে আবারও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের পেছনে কোচিং ও নোট-গাইড ব্যবসায়ীরা রয়েছেন কি না, জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেন সংবাদ সম্মেলনের সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কবির।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আগামী ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অভিভাবক সমাবেশ করা হবে। এর আগে প্রতিদিন নিজ নিজ সন্তানের স্কুলের সামনে সমাবেশ এবং ১৪ নভেম্বর ডিসিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ১৫ ভুল তথ্যের ব্যাখ্যা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে। আমরা দেখছি, যারা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেসব আইডি থেকে এই প্রচারণা শুরু করেছেন এবং বিষয়টিকে এখন একটি আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা মূলত কোচিং ব্যবসায়ী। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নোট ও গাইড বই ব্যবসায়ীরা। কারণ, তাঁরা মনে করছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে ব্যবসায় মার খাবেন। সে কারণে তাঁরা নামছেন।’
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা চালু, নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন রাখাসহ আট দফা দাবিতে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাখাল রাহা। লিখিত বক্তব্যে তিনি নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, নম্বরভিত্তিক দুটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা চালু, বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখা, গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি, ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন, তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করা, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বহাল রাখার দাবি জানান।
একই সঙ্গে সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রীপরিষদ ও সংসদে উত্থাপনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক পরিচয় দেওয়া একাধিক ব্যক্তি বক্তব্য রাখেন। তাঁদের অধিকাংশই কোচিং ও নোট-গাইড বই চালুর পক্ষে বক্তব্য দেন।
মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক পরিচয় দেওয়া মুসফিকা ইসলাম বলেন, ‘কোচিং ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী থাকবেই সারা জীবন। কোচিংয়ে না পড়লে বাচ্চারা শিখবে কীভাবে? অবশ্যই আমাকে কোচিংয়ে যেতে হবে, গাইডও পড়তে হবে। কোচিংয়ে গেলে তো বাচ্চারা পড়ত, সে জন্য আমরা টাকা দিতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি। কেন লটারি পদ্ধতিতে সুযোগ পাবে? আমার বাচ্চা প্রতিযোগিতা করে সুযোগ পাবে। লটারি হযবরল হয়ে যাচ্ছে। এতে স্কুলের মান কমে যাচ্ছে।’
সাভারের মর্নিং গ্লোরি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডা. আফরোজ নাসরিন বলেন, ‘হেসেখেলে তো পড়াশোনা হয় না। বলা হয়, এই কারিকুলামের হলে কোচিং ব্যবসা বন্ধ হবে। আমরা কি বলেছি কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে? কোচিং ব্যবসা বিশ্বের কোনো দেশে নাই?’
সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে কোচিং ব্যবসার পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেন রাখাল রাহা। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা কি স্কুলে যায়? তারা তো সারা বছর কোচিং করে ও লেভেল এবং এ লেভেল দেয়। তারা শুধু কোচিং করে, আর কিছু করে না।’
তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ কারিকুলাম চালু করতে হবে। এই শিক্ষক দিয়ে কোনো কারিকুলামই বাস্তবায়ন করা যাবে না। শিক্ষকদের অধিকাংশই ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোচিং ও নোট-গাইড বইয়ের পক্ষে সাফাই করা হচ্ছে কেন—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে কয়েক ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসেন। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি শান্ত হলে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করতে চাইলে একাধিক ব্যক্তি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে আবারও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের পেছনে কোচিং ও নোট-গাইড ব্যবসায়ীরা রয়েছেন কি না, জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেন সংবাদ সম্মেলনের সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কবির।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আগামী ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অভিভাবক সমাবেশ করা হবে। এর আগে প্রতিদিন নিজ নিজ সন্তানের স্কুলের সামনে সমাবেশ এবং ১৪ নভেম্বর ডিসিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ১৫ ভুল তথ্যের ব্যাখ্যা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে। আমরা দেখছি, যারা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেসব আইডি থেকে এই প্রচারণা শুরু করেছেন এবং বিষয়টিকে এখন একটি আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা মূলত কোচিং ব্যবসায়ী। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নোট ও গাইড বই ব্যবসায়ীরা। কারণ, তাঁরা মনে করছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে ব্যবসায় মার খাবেন। সে কারণে তাঁরা নামছেন।’
বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
২৮ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
৩৭ মিনিট আগেবাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১ ঘণ্টা আগে