ঢাবি প্রতিনিধি
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে ফের উত্তাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আজ শুক্রবার ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। মূলত গতকাল ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনকে কেন্দ্র করে তাঁরা নতুন করে এই আন্দোলনে নামেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যাইনি, ওদিকে আসার পথে দেখা হয়েছে। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের যে সংবেদনশীলতা রয়েছে, একটি স্প্রিড নিয়ে আন্দোলন করছে—শিক্ষার্থীদের এ অবস্থানকে স্বাগত জানাই। ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতির জন্য তাঁরা (বুয়েট শিক্ষার্থীরা) একটি বার্তা দিচ্ছে। বুয়েটের ছাত্ররাজনীতির কাঠামো কেমন হবে, তা বুয়েটের শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে। একজন শিক্ষার্থীর যেমন রাজনীতি না করার অধিকার রয়েছে, তেমনি রাজনীতি করারও অধিকার রয়েছে। ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করে।’
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নেতিবাচক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যে অবস্থান-মূল্যবোধ, এর প্রতি বুয়েট প্রশাসনের শ্রদ্ধা জানানো উচিত। একই সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং জাতির পিতার আদর্শের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে মানসিক নিপীড়নের শিকার হন, সে ক্ষেত্রে তাঁকেও নিরাপত্তা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক দায়িত্ব। এর ব্যত্য়য় ঘটলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নেব, আমরা মনে করি—তাঁদের প্রশাসনের থাকার কোনো নৈতিক অবস্থান নেই।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ নিয়ে মিটিংয়ে বসেছি। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।’
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবিদাওয়ায় উপনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে।
তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল করতে হবে; ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার করতে হবে; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল—এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহি বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; ১নং এবং ২নং দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত; এর প্রতিবাদ হিসেবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না—এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে সমাদৃত এবং শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। এখন আবার যদি রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাহলে অনিরাপদ ক্যাম্পাসে পরিণত হবে বুয়েট।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা—‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না; আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; পলিটিকসে যুক্ত যারা, হল থেকে করব ছাড়া’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে ফের উত্তাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আজ শুক্রবার ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। মূলত গতকাল ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনকে কেন্দ্র করে তাঁরা নতুন করে এই আন্দোলনে নামেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যাইনি, ওদিকে আসার পথে দেখা হয়েছে। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের যে সংবেদনশীলতা রয়েছে, একটি স্প্রিড নিয়ে আন্দোলন করছে—শিক্ষার্থীদের এ অবস্থানকে স্বাগত জানাই। ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতির জন্য তাঁরা (বুয়েট শিক্ষার্থীরা) একটি বার্তা দিচ্ছে। বুয়েটের ছাত্ররাজনীতির কাঠামো কেমন হবে, তা বুয়েটের শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে। একজন শিক্ষার্থীর যেমন রাজনীতি না করার অধিকার রয়েছে, তেমনি রাজনীতি করারও অধিকার রয়েছে। ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করে।’
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নেতিবাচক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যে অবস্থান-মূল্যবোধ, এর প্রতি বুয়েট প্রশাসনের শ্রদ্ধা জানানো উচিত। একই সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং জাতির পিতার আদর্শের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে মানসিক নিপীড়নের শিকার হন, সে ক্ষেত্রে তাঁকেও নিরাপত্তা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক দায়িত্ব। এর ব্যত্য়য় ঘটলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নেব, আমরা মনে করি—তাঁদের প্রশাসনের থাকার কোনো নৈতিক অবস্থান নেই।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ নিয়ে মিটিংয়ে বসেছি। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।’
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবিদাওয়ায় উপনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে।
তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল করতে হবে; ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার করতে হবে; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল—এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহি বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; ১নং এবং ২নং দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত; এর প্রতিবাদ হিসেবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না—এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে সমাদৃত এবং শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। এখন আবার যদি রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাহলে অনিরাপদ ক্যাম্পাসে পরিণত হবে বুয়েট।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা—‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না; আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; পলিটিকসে যুক্ত যারা, হল থেকে করব ছাড়া’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৬ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৭ ঘণ্টা আগে