তুহিন কান্তি দাস, ঢাকা
পছন্দ অনুযায়ী মানুষ নানা ধরনের পোশাক পরে। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থাভেদে এই পছন্দের তারতম্য দেখা যায়। কারও পছন্দ চোখধাঁধানো ঝকঝকে রঙিন পোশাক, আবার কারও পছন্দ সাদামাটা আরামদায়ক পোশাক।
সম্প্রতি নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে এক তরুণীর হেনস্তার ঘটনা গড়াল আদালত পর্যন্ত। এরপর আদালতের মন্তব্য উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে নারীর পোশাক নির্বাচন বিষয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ালেন একদল শিক্ষার্থী। দেশীয় মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির বদলে বিদেশি ছোট কাপড়ের পোশাকে পুরুষকে প্রলুব্ধ করার (সিডিউস) তথাকথিত আধুনিকতাকে সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসী (কালচারাল টেররিস্ট) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ওই কর্মসূচিতে। আর এই অবস্থানের পাল্টা হিসেবে কয়েক দিনের মাথায় রাজু ভাস্কর্যেই আবার জড়ো হন আরেক দল ঢাবি শিক্ষার্থী, যাঁরা সব ধরনের পোশাক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরই বহমানতা চান। নারী স্বাধীনতার প্রশ্নে দ্বিতীয় দলভুক্ত শিক্ষার্থীরা ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ শিরোনামে পোশাকের বৈচিত্র্যকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন রকম পোশাকে সমবেত হয়েছিলেন সেদিন।
এ দুই ঘটনাতেই সমালোচনা হয় ব্যাপকভাবে। তবে প্রথম ঘটনায় সমালোচনা হলেও তা সীমাবদ্ধ ছিল মূলত সোশ্যাল মিডিয়াতেই। কিন্তু দ্বিতীয় ঘটনায় এই সমালোচনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সামাজিক-পারিবারিক পরিসরে হেনস্তায় রূপ নিয়েছে। আবার কারও ক্ষেত্রে মৃত্যুর হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে এমনই কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সেদিনের প্রতিবাদে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থীর বর্ণনায় উঠে এসেছে তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আর সেই আতঙ্কের বিবরণ।
তাবাসসুম নুসরাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের বক্তব্যকে না বুঝেই বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে আক্রমণ করছে। আমার বাবা শিক্ষক। সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা যারা আমার বাবার ছাত্র, তারা বাবার কাছে গিয়ে বিচার দিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী থেকে জুনিয়র-সিনিয়র শিক্ষার্থীদের ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন গ্রুপে গালাগালি থেকে পিঞ্চ বুলিং, কিছুই বাকি নাই। এমনকি যে মেয়ে শিক্ষার্থীরা, যারা নিজেরা বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরে থাকে, তাঁরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য বুলিং করছে। যে মেয়েটা ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পরে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল, সে তো সবাইকে এভাবে শাড়ি পরার কথা বলে নাই। সে বলতে চেয়েছে, এই রকম পছন্দমতো পোশাকের জন্য যেন কাউকে লাঞ্ছনা করা না হয়।
ফারিয়া ইসলাম, শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন স্টাডি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমি ফেসবুক বন্ধ রেখেছি। কারও কমেন্ট-মেসেজের রিপ্লাই দিচ্ছি না। বাসায় খুব চাপ দিচ্ছে মানসিকভাবে। একটা ওয়াজে আমার ছবি ব্যবহার করে বাজে প্রচার হয়েছে। যে ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে, এইটার জন্য খুব বাজে অবস্থা বাসায়। পারিবারিকভাবে যাঁরা মানসিকভাবে সমর্থন দিতেন, তাঁরাও এখন গায়ে হাত তুলতে এগিয়ে আসছে। ফেসবুকে লেখালেখি করে এই রকম এক মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রত্যয়, এসএসসি শিক্ষার্থী
আমি লাইফ রিস্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো সময় আমার ওপর আঘাত আসতে পারে। এলাকার লোকজন আমাকে খুঁজছে। বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন সবাই বুঝতে পারছে যে, আমার জীবন ঝুঁকিতে আছে। সেদিন আমি আপুদের দেখে আরেকটা ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে যাই। একজন সাংবাদিক এসে প্রশ্ন করতে শুরু করল। কী যে উদ্ভট উদ্ভট সব প্রশ্ন, কী বলব! আর সেই বক্তব্যগুলো থেকে কেটে সাংবাদিক ভাইয়েরা কোনো অনুমতি না নিয়ে বিকৃতভাবে ব্যবহার করে ভিডিও ছাইড়া দিসেন। আর ছাড়ার সাথে সাথে সারা বাংলাদেশে ছড়াইয়া গেল, আর আমার এখন জীবন নিয়ে সংশয়। পরিবার আমার সাথে আছে, এটুকুই ভরসা।
অন্তরা শারমিন, সংগঠক, ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ ফেসবুক ইভেন্ট
আমার মেসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত থ্রেট আসছে। আমাকে নাস্তিক বলে গালাগালি করছে। আমার মনে হয় সমস্যাটা আসলে কে ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরছে, কে সালোয়ার-কামিজ পরছে—ওইখানে না। সমস্যাটা আসলে যে মেয়েটা শাড়ি পরে, টিপ পরে, চোখে কাজল দেয়—সেই সব মেয়েই সব সময় এক্সক্লুসিভ টার্গেটে থাকে। দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিসচেতন নারীরা সব সময়ই পুরুষদের আক্রমণের শিকার এখানে।
তাসনিম হালিম মীম, সংগঠক, ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ ফেসবুক ইভেন্ট
আমরা শুধু বলেছি, এইখানে যে মেয়েটা জিনস-টপস পরে আসবে, সে-ও হেনস্তা (বুলিড) হতে পারবে না, যে হিজাব পরে আসবে সে-ও হেনস্তার শিকার হতে পারবে না। মেসেজটা কিন্তু খুব পরিষ্কার। আমাদের এই প্রতিবাদটা কিন্তু প্রতিক্রিয়ামূলক। প্রথমে যারা দাঁড়াল তারা বলল—যারা পশ্চিমা সংস্কৃতি নিয়ে আসতে চায়, তারা কালচারাল সন্ত্রাসী। তারা দেশীয় মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পোশাক চাইছে। কিন্তু আমরা যখন দেশীয় সংস্কৃতির পোশাক নিয়ে এলাম, তখন তারা সেখানে হামলে পড়ল।
হুমায়ুন আজম রেওয়াজ, সংস্কৃতিকর্মী
এত জঘন্য লেভেলে যাবে, ভাবি নাই। ধরে ধরে পরিবারের কাছে অভিযোগ যাচ্ছে বিকৃতভাবে। এমনিতে ট্রল হবে, সমালোচনা হবে—সে তো জানতাম। কিন্তু এতটা রেপিস্ট ভাবাপন্ন এবং নোংরা আক্রমণের শিকার হব—কল্পনাই করি নাই। ব্যক্তিগতভাবে গালাগালি তো আছেই, অফিস পর্যন্ত বুলিং পৌঁছেছে। সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে খুবই হতাশ, নেওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ নিজেদের নিউজের কাটতির জন্য বিকৃতভাবে সংবাদ প্রচার করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।
ফাইজা ফাইরুজ রিমঝিম, শিক্ষার্থী
প্রস্তুত ছিলাম যে, বাজে একটা আক্রমণ আসবে। কিন্তু যেভাবে ছবির সঙ্গে ভিডিওর সঙ্গে অশ্লীল ক্লিপ জুড়ে দিয়ে পরিবার, আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠানো হচ্ছে, এত বিচ্ছিরিভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে যে, ব্যাপারটা খুব ভয়ংকর হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় চা খাচ্ছিলাম একটা দোকানে, সেখান থেকে চেহারা মিলিয়ে কী যে বাজে বাজে কথা বলছিল! আর ইনবক্সে ধর্ষণ ও হত্যার থ্রেট তো আছেই।
পোশাকের বৈচিত্র্যকে স্বাগত জানিয়ে সেদিন উপস্থিত সবার এক কথা, তাঁদের বক্তব্য বিকৃতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পোশাকি বিতর্ক যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সীমানা ছাড়িয়ে জীবনের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন ভাবতে হয়—কে কী পোশাক পরবে তা কে নির্ধারণ করবে—সমাজ, কর্তৃপক্ষ নাকি ব্যক্তি নিজে?
আরও পড়ুন:
পছন্দ অনুযায়ী মানুষ নানা ধরনের পোশাক পরে। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থাভেদে এই পছন্দের তারতম্য দেখা যায়। কারও পছন্দ চোখধাঁধানো ঝকঝকে রঙিন পোশাক, আবার কারও পছন্দ সাদামাটা আরামদায়ক পোশাক।
সম্প্রতি নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে এক তরুণীর হেনস্তার ঘটনা গড়াল আদালত পর্যন্ত। এরপর আদালতের মন্তব্য উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে নারীর পোশাক নির্বাচন বিষয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ালেন একদল শিক্ষার্থী। দেশীয় মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির বদলে বিদেশি ছোট কাপড়ের পোশাকে পুরুষকে প্রলুব্ধ করার (সিডিউস) তথাকথিত আধুনিকতাকে সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসী (কালচারাল টেররিস্ট) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ওই কর্মসূচিতে। আর এই অবস্থানের পাল্টা হিসেবে কয়েক দিনের মাথায় রাজু ভাস্কর্যেই আবার জড়ো হন আরেক দল ঢাবি শিক্ষার্থী, যাঁরা সব ধরনের পোশাক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরই বহমানতা চান। নারী স্বাধীনতার প্রশ্নে দ্বিতীয় দলভুক্ত শিক্ষার্থীরা ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ শিরোনামে পোশাকের বৈচিত্র্যকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন রকম পোশাকে সমবেত হয়েছিলেন সেদিন।
এ দুই ঘটনাতেই সমালোচনা হয় ব্যাপকভাবে। তবে প্রথম ঘটনায় সমালোচনা হলেও তা সীমাবদ্ধ ছিল মূলত সোশ্যাল মিডিয়াতেই। কিন্তু দ্বিতীয় ঘটনায় এই সমালোচনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সামাজিক-পারিবারিক পরিসরে হেনস্তায় রূপ নিয়েছে। আবার কারও ক্ষেত্রে মৃত্যুর হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে এমনই কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সেদিনের প্রতিবাদে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থীর বর্ণনায় উঠে এসেছে তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আর সেই আতঙ্কের বিবরণ।
তাবাসসুম নুসরাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের বক্তব্যকে না বুঝেই বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে আক্রমণ করছে। আমার বাবা শিক্ষক। সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা যারা আমার বাবার ছাত্র, তারা বাবার কাছে গিয়ে বিচার দিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী থেকে জুনিয়র-সিনিয়র শিক্ষার্থীদের ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন গ্রুপে গালাগালি থেকে পিঞ্চ বুলিং, কিছুই বাকি নাই। এমনকি যে মেয়ে শিক্ষার্থীরা, যারা নিজেরা বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরে থাকে, তাঁরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য বুলিং করছে। যে মেয়েটা ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পরে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল, সে তো সবাইকে এভাবে শাড়ি পরার কথা বলে নাই। সে বলতে চেয়েছে, এই রকম পছন্দমতো পোশাকের জন্য যেন কাউকে লাঞ্ছনা করা না হয়।
ফারিয়া ইসলাম, শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন স্টাডি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমি ফেসবুক বন্ধ রেখেছি। কারও কমেন্ট-মেসেজের রিপ্লাই দিচ্ছি না। বাসায় খুব চাপ দিচ্ছে মানসিকভাবে। একটা ওয়াজে আমার ছবি ব্যবহার করে বাজে প্রচার হয়েছে। যে ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে, এইটার জন্য খুব বাজে অবস্থা বাসায়। পারিবারিকভাবে যাঁরা মানসিকভাবে সমর্থন দিতেন, তাঁরাও এখন গায়ে হাত তুলতে এগিয়ে আসছে। ফেসবুকে লেখালেখি করে এই রকম এক মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রত্যয়, এসএসসি শিক্ষার্থী
আমি লাইফ রিস্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো সময় আমার ওপর আঘাত আসতে পারে। এলাকার লোকজন আমাকে খুঁজছে। বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন সবাই বুঝতে পারছে যে, আমার জীবন ঝুঁকিতে আছে। সেদিন আমি আপুদের দেখে আরেকটা ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে যাই। একজন সাংবাদিক এসে প্রশ্ন করতে শুরু করল। কী যে উদ্ভট উদ্ভট সব প্রশ্ন, কী বলব! আর সেই বক্তব্যগুলো থেকে কেটে সাংবাদিক ভাইয়েরা কোনো অনুমতি না নিয়ে বিকৃতভাবে ব্যবহার করে ভিডিও ছাইড়া দিসেন। আর ছাড়ার সাথে সাথে সারা বাংলাদেশে ছড়াইয়া গেল, আর আমার এখন জীবন নিয়ে সংশয়। পরিবার আমার সাথে আছে, এটুকুই ভরসা।
অন্তরা শারমিন, সংগঠক, ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ ফেসবুক ইভেন্ট
আমার মেসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত থ্রেট আসছে। আমাকে নাস্তিক বলে গালাগালি করছে। আমার মনে হয় সমস্যাটা আসলে কে ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরছে, কে সালোয়ার-কামিজ পরছে—ওইখানে না। সমস্যাটা আসলে যে মেয়েটা শাড়ি পরে, টিপ পরে, চোখে কাজল দেয়—সেই সব মেয়েই সব সময় এক্সক্লুসিভ টার্গেটে থাকে। দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিসচেতন নারীরা সব সময়ই পুরুষদের আক্রমণের শিকার এখানে।
তাসনিম হালিম মীম, সংগঠক, ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ ফেসবুক ইভেন্ট
আমরা শুধু বলেছি, এইখানে যে মেয়েটা জিনস-টপস পরে আসবে, সে-ও হেনস্তা (বুলিড) হতে পারবে না, যে হিজাব পরে আসবে সে-ও হেনস্তার শিকার হতে পারবে না। মেসেজটা কিন্তু খুব পরিষ্কার। আমাদের এই প্রতিবাদটা কিন্তু প্রতিক্রিয়ামূলক। প্রথমে যারা দাঁড়াল তারা বলল—যারা পশ্চিমা সংস্কৃতি নিয়ে আসতে চায়, তারা কালচারাল সন্ত্রাসী। তারা দেশীয় মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পোশাক চাইছে। কিন্তু আমরা যখন দেশীয় সংস্কৃতির পোশাক নিয়ে এলাম, তখন তারা সেখানে হামলে পড়ল।
হুমায়ুন আজম রেওয়াজ, সংস্কৃতিকর্মী
এত জঘন্য লেভেলে যাবে, ভাবি নাই। ধরে ধরে পরিবারের কাছে অভিযোগ যাচ্ছে বিকৃতভাবে। এমনিতে ট্রল হবে, সমালোচনা হবে—সে তো জানতাম। কিন্তু এতটা রেপিস্ট ভাবাপন্ন এবং নোংরা আক্রমণের শিকার হব—কল্পনাই করি নাই। ব্যক্তিগতভাবে গালাগালি তো আছেই, অফিস পর্যন্ত বুলিং পৌঁছেছে। সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে খুবই হতাশ, নেওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ নিজেদের নিউজের কাটতির জন্য বিকৃতভাবে সংবাদ প্রচার করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।
ফাইজা ফাইরুজ রিমঝিম, শিক্ষার্থী
প্রস্তুত ছিলাম যে, বাজে একটা আক্রমণ আসবে। কিন্তু যেভাবে ছবির সঙ্গে ভিডিওর সঙ্গে অশ্লীল ক্লিপ জুড়ে দিয়ে পরিবার, আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠানো হচ্ছে, এত বিচ্ছিরিভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে যে, ব্যাপারটা খুব ভয়ংকর হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় চা খাচ্ছিলাম একটা দোকানে, সেখান থেকে চেহারা মিলিয়ে কী যে বাজে বাজে কথা বলছিল! আর ইনবক্সে ধর্ষণ ও হত্যার থ্রেট তো আছেই।
পোশাকের বৈচিত্র্যকে স্বাগত জানিয়ে সেদিন উপস্থিত সবার এক কথা, তাঁদের বক্তব্য বিকৃতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পোশাকি বিতর্ক যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সীমানা ছাড়িয়ে জীবনের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন ভাবতে হয়—কে কী পোশাক পরবে তা কে নির্ধারণ করবে—সমাজ, কর্তৃপক্ষ নাকি ব্যক্তি নিজে?
আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১৩ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
২১ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
২৩ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
৪৩ মিনিট আগে