শ্রীপুরে মিলল বিচিত্র এক মাছ, গবেষণার জন্য পাঠানো হলো বাকৃবিতে

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ২০: ২৭

গাজীপুরের শ্রীপুরে মৎস্য খামারে মিলল পৌনে দুই কেজি ওজনের একটি চিত্রিত মাছ। মাছটি ধরার পরপরই উৎসুক জনতা মৎস্য খামারের পাশে ভিড় করেন। এরই মধ্যে গবেষণার জন্য মাছটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্য ও বিজ্ঞান অনুষদে পাঠিয়েছে গাজীপুর মৎস্য অধিদপ্তর।

গতকাল রোববার সকালে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট গ্রামের স্থানীয় মো. আবু তালেব নামের মৎস্য খামারির জালে ধরা পড়েছে বিচিত্র এই মাছ। মাছটি সংগ্রহের পর রাতেই বাকৃবির মৎস্য ও বিজ্ঞান অনুষদে পাঠানো হয়।

গবেষণার জন্য মাছটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্য ও বিজ্ঞান অনুষদে পাঠিয়েছে গাজীপুর মৎস্য অধিদপ্তরস্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট বাজারের দক্ষিণ পাশে বড় মাছের খামার থেকে পানি সেচে সেটি খননের কাজ চলছিল। এরপর খামার থেকে এই বিচিত্র মাছটি ধরা হয়। মাছটির বিশাল আকারের মুখ, শরীরের রং দেখতে কিছুটা কালচে। ঢোঁড়া সাপের মতো গায়েহলুদ রঙের ছোপ ছোপ দাগ রয়েছে সমস্ত দেহে। মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত গায়ের রং একই ধরনের। বুকের পাশে রং কিছুটা সাদাটে। চোখের পেছনেই এক জোড়া ছোট আকৃতির পাখনা। পুরো মুখ জুড়েই ধারালো ছোট ছোট দাঁতের সারি। শরীর অপেক্ষাকৃত নরম। খুবই শান্ত প্রকৃতির মাছটির ওজন পৌনে দুই কেজি।

খামারটির মালিক আবু তালেব। তিনি দুই যুগ ধরে মাছের খামারের ব্যবসায় জড়িত। আবু তালেব বলেন, খামার খনন করার জন্য পানি সেচে ফেলা হয়েছে। অল্প পানিতে সব মাছ ধরতে জাল ফেলা হয়। জাল টেনে পাড়ে তুলতেই অন্যান্য মাছের সঙ্গে উঠে আসে অদ্ভুত এই মাছটি।

উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট গ্রামের স্থানীয় মো. আবু তালেবের জালে ধরা পড়েছে বিচিত্র এই মাছতিনি বলেন, ‘এমন মাছ আমি আর কখনো দেখিনি। বিচিত্র এই মাছটি গ্রামের বয়স্করাও চিনতে পারছে না। আমি মাছটি যত্ন সহকারে জিইয়ে রেখেছি।’

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাছটি আমি দেখেছি। এ সম্পর্কে হঠাৎ করে বিস্তারিত বলা যাবে না। দেখে মনে হচ্ছে এটি গবি মাছ। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বেশ কিছু দেশে এ মাছ পাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘বিচিত্র এই মাছটি খামারির কাছ থেকে সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য গাজীপুর মৎস্য অধিদপ্তরে সংরক্ষণ করা হয়। পরে মাছটি গবেষণার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও বিজ্ঞান অনুষদে পাঠানো হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত