অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)
খুব ছোট বয়সে হারান বাবাকে। মায়ের হাত ধরে ১৯৫৪ সালে এক বছর বয়সী সামি আহম্মেদ খান এসেছিলেন বাংলাদেশে। সালটা ১৯৭১। তখন তিনি ১৮ বছরের তরুণ। এ সময় বাংলাদেশে চলে মহান মুক্তিযুদ্ধ। তিনি বাঙালি নন, তবু মুক্তিকামী মানুষের পাশে থেকে যুদ্ধ চলাকালে করেছেন সাহায্য। তারপরও পাননি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।
সামি আহম্মেদ কখনো ছুটেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আটক যুবকদের উদ্ধারে; কখনোবা পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে সরকারি স্থাপনা রক্ষা করতে। কখনো আবার বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে ছুটেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। স্থানীয় হিন্দু বাড়িগুলো রক্ষা করতে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।
শেষ বয়সে নিজের জন্য নয়, সন্তানেরা যেন সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে—এ জন্য চান স্বীকৃতি। এরই মধ্যে তাঁর চোখে দেখা এবং তাঁর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার গল্প মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে R-৩৮২৩৮ নম্বরে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
অশ্রুসিক্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের কথা স্মরণ করে সামি আহম্মেদ বলেন, ‘দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে ভালো আছি। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বড় ছেলে গিয়াস উদ্দিন খান একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে মাগুরা জেলায় কাজ করে। ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী। সে বাড়ি দেখাশোনা করে।’
সামি আহম্মেদের বড় ছেলে গিয়াস উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের লোকসমাজে নিজেদের পরিচয় দিতে খারাপ লাগে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিহারিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ‘দালালি’ করেছে। তাদের ওই সকল কর্মকাণ্ডে বাঙালিরা ঘৃণাভরে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। অনেকে যাঁরা আমার বাবার মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা জানেন না, তাঁরাও আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। তখন খারাপ লাগে। আমরা যেভাবে চলছি, যাতে আমাদের সন্তানদের একই অভিশাপ নিয়ে চলতে না হয়। সে জন্য আমার বাবার অবদানের স্বীকৃতি চাই। তা ছাড়া আমাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা চাই না।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্য অশোক লাহিড়ীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘সামি আহম্মেদ বিহারি হলেও স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। আমাদের এই এলাকা হিন্দু-অধ্যুষিত, তিনি এই এলাকায় বসবাস করেন যুদ্ধের আগে থেকে। আমাদের এলাকায় যাতে কোনো বিহারি ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আসতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করছেন। তাঁর ভালো কাজে জন্য এই এলাকার মুক্তিযুদ্ধের পরিবার আত্মীয়তা করেছেন।’
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকমল হোসেন জানান, সামি আহম্মেদ মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সামি আহম্মেদ খান বিহারি; তবে যুদ্ধকালীন মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। শুধু তিনি নন, তাঁর মা-ও আমাদের জন্য কাজ করেছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গাড়ি এলে তাঁর মা তাদের ভুল বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিতেন। সামি অনেক সময় আমাদের সাথে থেকেছে। কখনো আমাদের তথ্য পাচার করেনি। তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তথ্য আমাদের দিতেন। তিনি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না করলেও তিনি মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।’
খুব ছোট বয়সে হারান বাবাকে। মায়ের হাত ধরে ১৯৫৪ সালে এক বছর বয়সী সামি আহম্মেদ খান এসেছিলেন বাংলাদেশে। সালটা ১৯৭১। তখন তিনি ১৮ বছরের তরুণ। এ সময় বাংলাদেশে চলে মহান মুক্তিযুদ্ধ। তিনি বাঙালি নন, তবু মুক্তিকামী মানুষের পাশে থেকে যুদ্ধ চলাকালে করেছেন সাহায্য। তারপরও পাননি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।
সামি আহম্মেদ কখনো ছুটেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আটক যুবকদের উদ্ধারে; কখনোবা পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে সরকারি স্থাপনা রক্ষা করতে। কখনো আবার বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে ছুটেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। স্থানীয় হিন্দু বাড়িগুলো রক্ষা করতে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।
শেষ বয়সে নিজের জন্য নয়, সন্তানেরা যেন সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে—এ জন্য চান স্বীকৃতি। এরই মধ্যে তাঁর চোখে দেখা এবং তাঁর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার গল্প মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে R-৩৮২৩৮ নম্বরে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
অশ্রুসিক্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের কথা স্মরণ করে সামি আহম্মেদ বলেন, ‘দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে ভালো আছি। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বড় ছেলে গিয়াস উদ্দিন খান একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে মাগুরা জেলায় কাজ করে। ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী। সে বাড়ি দেখাশোনা করে।’
সামি আহম্মেদের বড় ছেলে গিয়াস উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের লোকসমাজে নিজেদের পরিচয় দিতে খারাপ লাগে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিহারিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ‘দালালি’ করেছে। তাদের ওই সকল কর্মকাণ্ডে বাঙালিরা ঘৃণাভরে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। অনেকে যাঁরা আমার বাবার মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা জানেন না, তাঁরাও আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। তখন খারাপ লাগে। আমরা যেভাবে চলছি, যাতে আমাদের সন্তানদের একই অভিশাপ নিয়ে চলতে না হয়। সে জন্য আমার বাবার অবদানের স্বীকৃতি চাই। তা ছাড়া আমাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা চাই না।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্য অশোক লাহিড়ীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘সামি আহম্মেদ বিহারি হলেও স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। আমাদের এই এলাকা হিন্দু-অধ্যুষিত, তিনি এই এলাকায় বসবাস করেন যুদ্ধের আগে থেকে। আমাদের এলাকায় যাতে কোনো বিহারি ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আসতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করছেন। তাঁর ভালো কাজে জন্য এই এলাকার মুক্তিযুদ্ধের পরিবার আত্মীয়তা করেছেন।’
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকমল হোসেন জানান, সামি আহম্মেদ মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সামি আহম্মেদ খান বিহারি; তবে যুদ্ধকালীন মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। শুধু তিনি নন, তাঁর মা-ও আমাদের জন্য কাজ করেছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গাড়ি এলে তাঁর মা তাদের ভুল বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিতেন। সামি অনেক সময় আমাদের সাথে থেকেছে। কখনো আমাদের তথ্য পাচার করেনি। তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তথ্য আমাদের দিতেন। তিনি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না করলেও তিনি মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।’
জামালপুরের মাদারগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে চার শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চর পাকেরদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে একজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৮ মিনিট আগেএকদল সংঘবদ্ধ ডাকাত স্পিডবোটে এসে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে নৌযানে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দেয়। তখন ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে বাল্কহেডের শ্রমিক পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মাসুম মিয়া (৩০) ও পিরোজপুরের কালিকাঠীর আলামিন ফকির (১৯) গুলিবিদ্ধ হন...
১ ঘণ্টা আগেখুলনার রূপসায় চাপাতির আঘাতে আরিফ (২৩) নামের এক মাংস ব্যবসায়ী (কসাই) নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার সেনের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মাংস বিক্রির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে আরেক কসাইয়ের চাপাতির আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নানা উন্নয়নকাজ একটি সংঘবদ্ধ চক্র (সিন্ডিকেট) দখল করে নিচ্ছে। পদ না থাকলেও বিএনপি নামধারী কয়েক নেতা করপোরেশনের লাখ লাখ টাকার কাজগুলো করেছে বলে অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবারও দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে