শিক্ষার্থী নাদিয়া নিহত: ভিক্টর বাসের চালক-হেলপারের দায় স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

রাজধানীর নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রী নাদিয়াকে বাস চাপা দিয়ে হত্যা করার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক মো. লিটন ও হেলপার মো. আবুল খায়ের। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন তারা।

দুই দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ভাটারা থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুজনের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম ও মোহাম্মদ রশিদুল আলম তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

একটি সূত্রে জানা গেছে, দুজনই আদালতকে বলেছেন তাদের অসাবধানতা এবং বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর ফলে বাসটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা মারে। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা মেয়েটি মোটরসাইকেল থেকে নিচে পড়ে গেলে তার ওপর দিয়ে তাদের বাসটি চলে যায়। এতে ঘটনা স্থলেই মেয়েটি মারা যান। পরে বাস ফেলে রেখে তারা দুজনই পালিয়ে যান।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দুজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই দিন সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় সার্জেন্ট টাওয়ারের পেছন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন নাদিয়া। রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তায় ওই মোটরসাইকেলকে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস আঘাত করে। নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গেলে তার ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে যায় বাসের চালক। চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান নাদিয়া। এ ঘটনায় তাঁর বন্ধু অক্ষত রয়েছেন। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে নর্দান ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হন নাদিয়া।

ঘটনার দিন রাতে ভাটারা থানায় বাসের অজ্ঞাতপরিচয় চালক ও হেলপারকে আসামি করে মামলা করেন নাদিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত