শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে মধ্যরাতে মোটরসাইকেল বহরসহ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তার প্রশিকা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটায়।
এ সময় ওই সড়কে চলাচলকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মাওনা-ফুলবাড়িয়া সড়কে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির মোড়ল শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম মোড়লের ছেলে।
সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গেছে, লাল গেঞ্জি পরা সিহাব (জেলা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী) একজনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এলোপাতাড়ি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর রাস্তার পাশে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। গাড়ির একপাশে বসে পড়েন যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান জন। এর পরপরই লাল গেঞ্জি পরা সিহাব হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে গাড়িতে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।
মো. আজিজুর রহমান জন শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মাহবুবর রহমানের ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাওনা মাহবুব কার সেন্টারের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, রাত পৌনে ১২টার দিকে শোরুম বন্ধ করে বাসায় রওনা হই। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল কয়েকজন নেতা-কর্মীসহ এসে বলেন, ‘আজিজুর রহমান জন ভাই নাকি তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এ জন্য তিনি হুমকি দিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতে কার সেন্টারের কেয়ারটেকার আল আমিন ও মঈনুল ব্যাপারী আহত হয়। পরে জন ভাইকে লক্ষ করে অন্তত ১৫টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এ সময় জন ভাই গাড়ির নিচে বসে পড়ে প্রাণে রক্ষা পান। এ সময় অস্ত্রধারীরা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে।’
ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান জন বলেন, ‘রাত পৌনে ১২টার দিকে আমার গাড়ির শোরুমের পাশে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল এসে আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি নাকি তার গাড়ি ভাঙচুর করেছি। ১০ মিনিট পর নাসির মোড়লের কর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় আমি গাড়ির একপাশে নুইয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচে যাই। তারা আমার তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। মাদক কারবারিদের বাধা দেওয়ায় তারা আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে নাছির মোড়লের গাড়িও ভাঙচুর করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজুর রহমান জন বলেন, ‘আমার গাড়ি ভাঙচুর করে যাওয়ার পর নাছির নিজেই তার গাড়ি ভেঙে নাটক সাজিয়েছে।’
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির মোড়ল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘যুবলীগ নেতা জন ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। তাঁর লোকজন আমার গাড়ি ভাঙচুর করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর আমি চলে আসি। আজিজুর রহমান একজন মাদকাসক্ত, তাঁকে এ বিষয়ে বাধা দিলে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর লোকজন দিয়ে আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। কে বা কারা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছে আমি বলতে পারব না। ঘটনার পর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান জন লাইভে এসে ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জবাবে নাসির মোড়ল বলেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম আজকের পত্রিকাকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। গোলাগুলির সঙ্গে কারা জড়িত, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে মধ্যরাতে মোটরসাইকেল বহরসহ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তার প্রশিকা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটায়।
এ সময় ওই সড়কে চলাচলকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মাওনা-ফুলবাড়িয়া সড়কে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির মোড়ল শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম মোড়লের ছেলে।
সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গেছে, লাল গেঞ্জি পরা সিহাব (জেলা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী) একজনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এলোপাতাড়ি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর রাস্তার পাশে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। গাড়ির একপাশে বসে পড়েন যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান জন। এর পরপরই লাল গেঞ্জি পরা সিহাব হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে গাড়িতে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।
মো. আজিজুর রহমান জন শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মাহবুবর রহমানের ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাওনা মাহবুব কার সেন্টারের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, রাত পৌনে ১২টার দিকে শোরুম বন্ধ করে বাসায় রওনা হই। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল কয়েকজন নেতা-কর্মীসহ এসে বলেন, ‘আজিজুর রহমান জন ভাই নাকি তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এ জন্য তিনি হুমকি দিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতে কার সেন্টারের কেয়ারটেকার আল আমিন ও মঈনুল ব্যাপারী আহত হয়। পরে জন ভাইকে লক্ষ করে অন্তত ১৫টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এ সময় জন ভাই গাড়ির নিচে বসে পড়ে প্রাণে রক্ষা পান। এ সময় অস্ত্রধারীরা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে।’
ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান জন বলেন, ‘রাত পৌনে ১২টার দিকে আমার গাড়ির শোরুমের পাশে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল এসে আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি নাকি তার গাড়ি ভাঙচুর করেছি। ১০ মিনিট পর নাসির মোড়লের কর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় আমি গাড়ির একপাশে নুইয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচে যাই। তারা আমার তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। মাদক কারবারিদের বাধা দেওয়ায় তারা আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে নাছির মোড়লের গাড়িও ভাঙচুর করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজুর রহমান জন বলেন, ‘আমার গাড়ি ভাঙচুর করে যাওয়ার পর নাছির নিজেই তার গাড়ি ভেঙে নাটক সাজিয়েছে।’
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির মোড়ল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘যুবলীগ নেতা জন ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। তাঁর লোকজন আমার গাড়ি ভাঙচুর করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর আমি চলে আসি। আজিজুর রহমান একজন মাদকাসক্ত, তাঁকে এ বিষয়ে বাধা দিলে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর লোকজন দিয়ে আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। কে বা কারা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছে আমি বলতে পারব না। ঘটনার পর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান জন লাইভে এসে ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জবাবে নাসির মোড়ল বলেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম আজকের পত্রিকাকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। গোলাগুলির সঙ্গে কারা জড়িত, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বরিশাল আইএইচটিতে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত, আটজন বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
৬ মিনিট আগেজেলার খবর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সুবর্ণচর, গৃহবধূ, লাশ উদ্ধার, স্বজন, অভিযোগ, পিটিয়ে হত্যা
৯ মিনিট আগেবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর কোণঠাসা করে রাখতে নিজের মাকে জামায়াতের রুকন বলে প্রচার করেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তুরিন একসময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০ মিনিট আগে