ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলে করোনাকালে অস্বাভাবিকহারে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ, অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা, মাদকাসক্ত, প্রেমে ব্যর্থতা, ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়া, পরীক্ষায় অকৃতকার্য, ইভটিজিং ও দুরারোগ্য ব্যাধিসহ আরও অনেক বিষয়ে আবেগতাড়িত হয়ে অনেকেই আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হিসেবে নির্যাতন, যৌতুক, সম্ভ্রমহানি, অবমাননা, আর্থিক অক্ষমতা ও আর্থসামাজিক অবস্থার অবক্ষয়কে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩০টি আত্মহত্যা প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে করোনাকালে ঋণের বোঝা, অর্থনৈতিক সংকট, পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহের কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে থানায় দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলা সূত্রে পাওয়া তথ্যের বাইরেও এ রকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। যা মামলা না হওয়ায় এবং নথিভুক্ত না থাকার কারণে পাওয়া যায়নি।
ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ১০ মাস ২৩ দিনে মোট ৩০ জন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন গলায় ফাঁসি দিয়ে এবং বিষপানে ছয়জনসহ অন্যান্য পন্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন, এদের অধিকাংশই নারী ও তরুণ বয়সের। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ২২ জন, ৪০ থেকে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে আট জন। এতে বয়স্কদের চেয়ে তরুণ ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এসব ঘটনায় বেশির ভাগই মারা গেছেন।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফ ইসলাম বলেন, ‘গত দশ মাসে ফুলবাড়ী থানায় ৩০টি আত্মহত্যাজনিত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। এর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের মৃত্যুর খবর অনেক মৃতের স্বজনরা পুলিশকে জানাতে চায় না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন আইনি জটিলতার ভয়ে ও মর্গে মরদেহ কাটাছেঁড়ার বিড়ম্বনা এড়াতে অনেকে এই খবর পুলিশকে জানাতে চায় না। ফলে আত্মহত্যার অনেক তথ্য রেকর্ড করাও সম্ভব হয় না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূর ই-আলম খুশরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন, কিন্তু আমরা সেটাকে আত্মহত্যা বলতে পারি না, অনেক সময় রোগীর অবস্থার বেগতিক দেখে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করার পর মারা যান, সে তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের কেউ মারা গেলে, তাদের তথ্যসূত্রে পুলিশ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। তাই আমাদের কাছে তেমন তথ্য থাকে না।’
ফুলবাড়ী মাদিলা হাট কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ তৌহিদুল আলম বলেন, ‘বিষণ্নতা ও চিন্তাগ্রস্ত মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। নিজের ও অন্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিতিবাচক চিন্তার কারণে এদের কারও কারও মধ্যে দেখা দেয় প্রবল হতাশা। এ অবস্থায় মুক্তির পথ খুঁজতে গিয়ে কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার প্রয়াস চালাতে গিয়ে সাধারণত কীটনাশক, অতিমাত্রায় নেশাজাতীয় দ্রব্য বা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন ও গলায় ফাঁস নেওয়ার মতো পন্থাগুলো বেছে নিতে দেখা যায় আত্মহননকারীদের।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের রোগীদের মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই অনেকের মৃত্যু ঘটে। তবে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারলে অনেক সময় এদের কারও কারও প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।’
ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘করোনাকালে এ ধরনের ঘটনা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। পারিবারিক অশান্তি, দারিদ্র্য, মানসিক বিকার গ্রস্থতা থেকে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধি ও এনজিও কর্মীরা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করে এ ধরনের ব্যক্তিদের হতাশা দূরীকরণ ভূমিকা নিতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগিয়ে জীবনের মূল্যবোধ বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার মাধ্যমে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা যেতে পারে।’
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলে করোনাকালে অস্বাভাবিকহারে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ, অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা, মাদকাসক্ত, প্রেমে ব্যর্থতা, ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়া, পরীক্ষায় অকৃতকার্য, ইভটিজিং ও দুরারোগ্য ব্যাধিসহ আরও অনেক বিষয়ে আবেগতাড়িত হয়ে অনেকেই আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হিসেবে নির্যাতন, যৌতুক, সম্ভ্রমহানি, অবমাননা, আর্থিক অক্ষমতা ও আর্থসামাজিক অবস্থার অবক্ষয়কে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩০টি আত্মহত্যা প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে করোনাকালে ঋণের বোঝা, অর্থনৈতিক সংকট, পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহের কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে থানায় দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলা সূত্রে পাওয়া তথ্যের বাইরেও এ রকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। যা মামলা না হওয়ায় এবং নথিভুক্ত না থাকার কারণে পাওয়া যায়নি।
ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ১০ মাস ২৩ দিনে মোট ৩০ জন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন গলায় ফাঁসি দিয়ে এবং বিষপানে ছয়জনসহ অন্যান্য পন্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন, এদের অধিকাংশই নারী ও তরুণ বয়সের। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ২২ জন, ৪০ থেকে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে আট জন। এতে বয়স্কদের চেয়ে তরুণ ও নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এসব ঘটনায় বেশির ভাগই মারা গেছেন।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফ ইসলাম বলেন, ‘গত দশ মাসে ফুলবাড়ী থানায় ৩০টি আত্মহত্যাজনিত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। এর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের মৃত্যুর খবর অনেক মৃতের স্বজনরা পুলিশকে জানাতে চায় না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন আইনি জটিলতার ভয়ে ও মর্গে মরদেহ কাটাছেঁড়ার বিড়ম্বনা এড়াতে অনেকে এই খবর পুলিশকে জানাতে চায় না। ফলে আত্মহত্যার অনেক তথ্য রেকর্ড করাও সম্ভব হয় না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূর ই-আলম খুশরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন, কিন্তু আমরা সেটাকে আত্মহত্যা বলতে পারি না, অনেক সময় রোগীর অবস্থার বেগতিক দেখে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করার পর মারা যান, সে তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের কেউ মারা গেলে, তাদের তথ্যসূত্রে পুলিশ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। তাই আমাদের কাছে তেমন তথ্য থাকে না।’
ফুলবাড়ী মাদিলা হাট কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ তৌহিদুল আলম বলেন, ‘বিষণ্নতা ও চিন্তাগ্রস্ত মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। নিজের ও অন্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিতিবাচক চিন্তার কারণে এদের কারও কারও মধ্যে দেখা দেয় প্রবল হতাশা। এ অবস্থায় মুক্তির পথ খুঁজতে গিয়ে কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার প্রয়াস চালাতে গিয়ে সাধারণত কীটনাশক, অতিমাত্রায় নেশাজাতীয় দ্রব্য বা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন ও গলায় ফাঁস নেওয়ার মতো পন্থাগুলো বেছে নিতে দেখা যায় আত্মহননকারীদের।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের রোগীদের মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই অনেকের মৃত্যু ঘটে। তবে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারলে অনেক সময় এদের কারও কারও প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।’
ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘করোনাকালে এ ধরনের ঘটনা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। পারিবারিক অশান্তি, দারিদ্র্য, মানসিক বিকার গ্রস্থতা থেকে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধি ও এনজিও কর্মীরা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করে এ ধরনের ব্যক্তিদের হতাশা দূরীকরণ ভূমিকা নিতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগিয়ে জীবনের মূল্যবোধ বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার মাধ্যমে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা যেতে পারে।’
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত। এই সিদ্ধান্তে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা। আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন...
৭ মিনিট আগেরাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই হামলা, লুটপাটের ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
১ ঘণ্টা আগেছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্যপদ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ হারানো মতিউর রহমান বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে রিট করেছিলেন। তবে রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেরোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে