বেইলি রোডের ভবনে আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজধানীর রেস্তোরাঁগুলোর অগ্নি নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে চলমান অভিযানে রেস্তোরাঁয় ঠাসা খিলগাঁওয়ের এক ভবন সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

আজ মঙ্গলবার সকালে তালতলার শহীদ বাকি সড়কে নাইটিং স্কাই ভিউ নামের ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় ভবনটির সব রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়।

• চুমুক রেস্তোরাঁয় ৪-৫ দিন আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছিল, ‘কাউকে জানানো হয়নি’

ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই ভবনের একটি ফ্লোর বাদে সবগুলোতেই রেস্তোরাঁ আছে। এতে মাত্র একটি সিঁড়ি, সেটাও অনেক সংকীর্ণ। অভিযানের সময় তারা সেগুলো বন্ধ করে পালিয়ে গেছে৷ এ ছাড়া ‘শর্মা কিং’ রেস্তোরাঁ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল। জবাদিহির মধ্যে আনতে ভবনটি আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, খুবই অল্প পরিসর নিয়ে ‘শর্মা কিং’ রেস্তোরাঁর রান্নাঘর, কাজ করছিল কয়েকজন। রেস্তোরাঁটিতে দায়িত্বশীল কেউ না থাকায় জরিমানা বা সতর্ক করা ছাড়াই চলে যান ম্যাজিস্ট্রেট। 

• রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট–রেস্তোরাঁর শুধু তালিকাই হয়, ব্যবস্থা গ্রহণ নয়

পরে ‘ভবনটি অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে সতর্কতা সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়। শর্মা কিংয়ে যখন অভিযান চলছিল, তখন ভবনের অন্য রেস্তোরাঁগুলোকে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দিতে দেখা যায়। ফলে ভবনের আর কোনো রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে পারেননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই ভবনের অন্য রেস্তোরাঁগুলো হলো—লেভেল টু ক্যাফে ইপানিমা, লেভেল থ্রিতে থ্রি ডোরস, লেভেল ফোরে ক্যাফে সুইট অ্যান্ড সাভারি, টপ ফ্লোরে পাস্তা ক্লাব। 

সরেজমিনে দেখা যায়, নাইটিং স্কাই ভিউ ভবনে একটাই সিঁড়ি ছিল, যার প্রস্থ তিন ফুটের মতো। ফায়ার এক্সিটের জন্য স্বাভাবিকের তুলনায় খুবই কম। 

• সিলিন্ডার বদলাতে গিয়েই আগুনের সূত্রপাত বেইলি রোডে

পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়ে সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। সেখানে একটি নোটিশে লেখা, ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়নকাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ, আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।’