বিট কয়েন ব্যবসার মূলহোতাসহ কারাগারে ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অবৈধ বিট কয়েন ব্যবসার মূলহোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার এ আদেশ দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন রাকিবুল হাসান, আরমান পিয়াস, আবুল বাশার রুবেল, রায়হান আলম সিদ্দিকি, মো. জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, মেহেদী হাসান, রাকিবুল ইসলাম, সোলাইমান ইসলাম, মো. জাকারিয়া ও আরাফাত হোসেন।
তিন দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল শনিবার দুপুরে কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম সবার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২ মে রাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দেশে অবৈধ বিট কয়েন ব্যবসার মূলহোতা ও অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১ এর একটি দল।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট ফোন ও বিবিধ নথিপত্র জব্দ করা হয়। এরপর ৪ মে তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, চক্রের মূলহোতা কয়েন সুমন কয়েক বছর আগে ছোট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। ওই দোকানেই কম্পিউটার বসিয়ে সেখান থেকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামের প্রতিষ্ঠান। আউটসোর্সিং মার্কেটিংয়ের এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই চলছিল সুমনের অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসা।
ভার্চুয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে অবৈধ ও প্রতারণামূলক ব্যবসা বিট কয়েনের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন সুমন। তার ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট, প্লট ও সুপার শপের ব্যবসা ছাড়াও রয়েছে একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট। গত এক বছরে তিনি বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেছেন।
পুলিশ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুমন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ই-মার্কেটিং সাইটে আকর্ষণীয় মূল্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতেন। তার প্রতারণার কৌশল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত