Ajker Patrika

পল্টনে মোড়ে মোড়ে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭: ৩৭
পল্টনে মোড়ে মোড়ে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা 

রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত মহাসড়কগুলোতে চলছে না গণপরিবহন। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। যারা বের হচ্ছে তাদের ভরসা রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। এমন ফাঁকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেল টানিয়ে চেয়ার বসিয়ে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।

নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপির রাজপথ দখলের ঘোষণায় অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়। 

আজ শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ও বায়তুল মোকাররম এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীতে ফাঁকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেল টানিয়ে চেয়ার বসিয়ে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরাএসব এলাকায় সকাল ৮টা থেকেই অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান নেতা-কর্মীরা। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে রয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি রাস্তায় টহল দিচ্ছেন র‍্যাব ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা। 

সমাবেশ ঘিরে গণপরিবহনের পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। গুটি কয়েক দোকান খোলা থাকলেও সেখানে অনেকটাই অলস সময় কাটাচ্ছেন দোকানিরা। 

সেগুনবাগিচা বাজারের একটি সেলুনের দোকানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই দলের ঠেলাঠেলিতে আমগোর মতো সাধারণ মানুষের জীবন শ্যাষ। সপ্তাহে শুক্র-শনি একটু ব্যবসা হয়। সামনে যে আরও কী অবস্থা হয়, কে জানে!’ 

রাজধানীতে ফাঁকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেল টানিয়ে চেয়ার বসিয়ে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরাপল্টন এলাকার বাসিন্দা শিশির সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের অবস্থা, মানুষের অবস্থা ভালো না। অবস্থা ভালো করার দায়িত্ব না নিয়ে মানুষের কষ্ট আরও বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। অস্থিতিশীল অবস্থা কেউ চায় না।’ 

পল্টন ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ও তাঁর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের। বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। এ সময় লাঠি ও রড হাতে নেতা-কর্মীদের মহড়া দিতে দেখা গেছে। ‘হই হই রই রই, বিএনপি গেল কই’, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানে চলে যা’ স্লোগান দেন তাঁরা। 

রাজধানীতে ফাঁকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেল টানিয়ে চেয়ার বসিয়ে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরাপল্টন থানা ছাত্রলীগের নেতা সুমন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলেছে, ১০ ডিসেম্বরের পরে দেশ খালেদা জিয়ার কথায় চলবে, নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে। কিন্তু নয়াপল্টনসহ সারা দেশ এখন শেখ হাসিনার দখলে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত না করে ঘরে ফিরব না।’ 

এদিকে দুটি বড় রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নয়াপল্টন মোড় এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে নাশকতা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। আশঙ্কা আছে বলেই রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ মনে হলে খুলে দেওয়া হবে। সমাবেশ করে বিএনপির সবাই চলে না যাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দেবে।’

বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত