নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে গত ৭ নভেম্বর থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পিতা আমির হোসেনসহ পরিবারের প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান। ফাহিমার দাদা, দাদি নিয়ে আসেন কবিরাজ। এ ছাড়াও অনেকে জ্বীনের সহায়তা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তাদের। কিন্তু কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু ফাহিমাকে। অবশেষে এক সপ্তাহ পর একটি কালভার্টের ডোবার নিচে গরুর খাবারের বস্তার ভেতর পাওয়া যায় শিশুটিকে। জানা যায়, পরকীয়ার জেরে বাবা আমির হোসেনই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন নিজের একমাত্র মেয়ে ফাহিমাকে।
আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শিশুটির বাবা আমির হোসেনসহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে কুমিল্লার দেবীদ্বার ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলেন, মো. রবিউল আউয়াল (১৯), মো. রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মো. সোহেল রানা (২৭) ও মোছা লাইলি আক্তার (৩০)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, আমির হোসেনের সঙ্গে লাইলি আক্তারের প্রায় এক বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। তিনি বলেন, ‘গত ৫ তারিখে নিজ বাসায় লাইলি আক্তারের সঙ্গে আমির হোসেনকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে শিশুটি। তখন ফাহিমা বলে, আমি মাকে বলে দেব।’ এই চারটি শব্দই কেড়ে নেয় ফাহিমার জীবন।
ফাহিমার এমন কথায় গভীর চিন্তায় পড়ে যায় লাইলি আর আমির হোসেন। এ সময় লাইলী আমির হোসেনকে বলেন, ‘ফাহিমা সব বলে দিলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’ সেই ক্ষতির চেয়ে ফাহিমার জীবনের মূল্য তাদের কাছে কম মনে হওয়ায় পরদিন রেজাউলের ফার্নিচারের দোকানে বসে ফাহিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। হত্যার বিনিময়ে আমির হোসেনের শ্বশুরবাড়ি থেকে সদ্য পাওয়া এক লাখ টাকা দাবি করে রেজাউল, রবিউল ও সোহেল।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ গত ৭ নভেম্বর বিকেলে রেজাউল ও রবিউল চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ফাহিমাকে বাসা থেকে লাইলির বাসার সামনে নিয়ে আসে। সেখান থেকে আমির হোসেন ফাহিমাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সবাই মিলে হোটেলের সিএনজিতে করে রওনা হয়। এর মধ্যেই দুটি ছুড়ি কিনে তাঁরা। এরপর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে আটটার সময় দেবীদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণ দিকের নদীর একটি নির্জন জায়গায় ফাহিমাকে নিয়ে হত্যা করে তাঁরা। সেখানে নিয়ে আমির হোসেনই প্রথমে ফাহিমার মুখ চেপে ধরে এবং নিজের একমাত্র কন্যার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারপর রেজা উল, রবিউল এবং সোহেল ফাহিমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে বাবা আমির হোসেন ফাহিমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ফাহিমার মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে পথে কোথাও সুবিধাজনক জায়গা না পেয়ে রেজাউলের গরুর খামারের একটি ড্রামে লুকিয়ে রাখে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পরে সেখান থেকে এসে একই সিএনজিতে করে ফাহিমাকে খুঁজে পেতে মাইকিং করে সোহেল। রবিউল ফেসবুকে ‘ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’ মর্মে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ করে। আমির হোসেন পাগল হয়ে যাওয়ার ভান করেন, যেখানে শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল সেখানেই।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হত্যার দুদিন পর বস্তাটি একটি কালভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে আসে তাঁরা।’ মঈন বলেন, ‘মেয়েকে হত্যার পর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে অথবা হত্যা করে লাইলিকে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল আমিরের।’
এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন প্রসঙ্গে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ফাহিমাকে হত্যার পর তাঁর মরদেহ যে বস্তাটিতে ভরে ফেলে দেওয়ায় হয়েছিল সেটি গরুর খাবারের একটি ২৫ কেজির বস্তা ছিল। হত্যাকারী সবার বাসা কাছাকাছি ছিল। ওই এলাকায় দুটি পরিবারের গরুর খামার ছিল। এর মধ্যে রেজাউল অন্যতম। এই বস্তাটিকে ক্লু ধরেই তদন্ত শুরু হয়। রেজাউলের বাবার সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সোহেল বেশ কয়েক দিন ধরে রেজাউলের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করতে আসছে এবং কিছু বলার চেষ্টা করছে। এতেই আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হই।’

পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে গত ৭ নভেম্বর থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পিতা আমির হোসেনসহ পরিবারের প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান। ফাহিমার দাদা, দাদি নিয়ে আসেন কবিরাজ। এ ছাড়াও অনেকে জ্বীনের সহায়তা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তাদের। কিন্তু কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু ফাহিমাকে। অবশেষে এক সপ্তাহ পর একটি কালভার্টের ডোবার নিচে গরুর খাবারের বস্তার ভেতর পাওয়া যায় শিশুটিকে। জানা যায়, পরকীয়ার জেরে বাবা আমির হোসেনই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন নিজের একমাত্র মেয়ে ফাহিমাকে।
আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শিশুটির বাবা আমির হোসেনসহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে কুমিল্লার দেবীদ্বার ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলেন, মো. রবিউল আউয়াল (১৯), মো. রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মো. সোহেল রানা (২৭) ও মোছা লাইলি আক্তার (৩০)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, আমির হোসেনের সঙ্গে লাইলি আক্তারের প্রায় এক বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। তিনি বলেন, ‘গত ৫ তারিখে নিজ বাসায় লাইলি আক্তারের সঙ্গে আমির হোসেনকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে শিশুটি। তখন ফাহিমা বলে, আমি মাকে বলে দেব।’ এই চারটি শব্দই কেড়ে নেয় ফাহিমার জীবন।
ফাহিমার এমন কথায় গভীর চিন্তায় পড়ে যায় লাইলি আর আমির হোসেন। এ সময় লাইলী আমির হোসেনকে বলেন, ‘ফাহিমা সব বলে দিলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’ সেই ক্ষতির চেয়ে ফাহিমার জীবনের মূল্য তাদের কাছে কম মনে হওয়ায় পরদিন রেজাউলের ফার্নিচারের দোকানে বসে ফাহিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। হত্যার বিনিময়ে আমির হোসেনের শ্বশুরবাড়ি থেকে সদ্য পাওয়া এক লাখ টাকা দাবি করে রেজাউল, রবিউল ও সোহেল।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ গত ৭ নভেম্বর বিকেলে রেজাউল ও রবিউল চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ফাহিমাকে বাসা থেকে লাইলির বাসার সামনে নিয়ে আসে। সেখান থেকে আমির হোসেন ফাহিমাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সবাই মিলে হোটেলের সিএনজিতে করে রওনা হয়। এর মধ্যেই দুটি ছুড়ি কিনে তাঁরা। এরপর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে আটটার সময় দেবীদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণ দিকের নদীর একটি নির্জন জায়গায় ফাহিমাকে নিয়ে হত্যা করে তাঁরা। সেখানে নিয়ে আমির হোসেনই প্রথমে ফাহিমার মুখ চেপে ধরে এবং নিজের একমাত্র কন্যার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারপর রেজা উল, রবিউল এবং সোহেল ফাহিমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে বাবা আমির হোসেন ফাহিমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ফাহিমার মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে পথে কোথাও সুবিধাজনক জায়গা না পেয়ে রেজাউলের গরুর খামারের একটি ড্রামে লুকিয়ে রাখে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পরে সেখান থেকে এসে একই সিএনজিতে করে ফাহিমাকে খুঁজে পেতে মাইকিং করে সোহেল। রবিউল ফেসবুকে ‘ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’ মর্মে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ করে। আমির হোসেন পাগল হয়ে যাওয়ার ভান করেন, যেখানে শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল সেখানেই।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হত্যার দুদিন পর বস্তাটি একটি কালভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে আসে তাঁরা।’ মঈন বলেন, ‘মেয়েকে হত্যার পর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে অথবা হত্যা করে লাইলিকে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল আমিরের।’
এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন প্রসঙ্গে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ফাহিমাকে হত্যার পর তাঁর মরদেহ যে বস্তাটিতে ভরে ফেলে দেওয়ায় হয়েছিল সেটি গরুর খাবারের একটি ২৫ কেজির বস্তা ছিল। হত্যাকারী সবার বাসা কাছাকাছি ছিল। ওই এলাকায় দুটি পরিবারের গরুর খামার ছিল। এর মধ্যে রেজাউল অন্যতম। এই বস্তাটিকে ক্লু ধরেই তদন্ত শুরু হয়। রেজাউলের বাবার সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সোহেল বেশ কয়েক দিন ধরে রেজাউলের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করতে আসছে এবং কিছু বলার চেষ্টা করছে। এতেই আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হই।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে গত ৭ নভেম্বর থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পিতা আমির হোসেনসহ পরিবারের প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান। ফাহিমার দাদা, দাদি নিয়ে আসেন কবিরাজ। এ ছাড়াও অনেকে জ্বীনের সহায়তা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তাদের। কিন্তু কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু ফাহিমাকে। অবশেষে এক সপ্তাহ পর একটি কালভার্টের ডোবার নিচে গরুর খাবারের বস্তার ভেতর পাওয়া যায় শিশুটিকে। জানা যায়, পরকীয়ার জেরে বাবা আমির হোসেনই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন নিজের একমাত্র মেয়ে ফাহিমাকে।
আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শিশুটির বাবা আমির হোসেনসহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে কুমিল্লার দেবীদ্বার ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলেন, মো. রবিউল আউয়াল (১৯), মো. রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মো. সোহেল রানা (২৭) ও মোছা লাইলি আক্তার (৩০)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, আমির হোসেনের সঙ্গে লাইলি আক্তারের প্রায় এক বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। তিনি বলেন, ‘গত ৫ তারিখে নিজ বাসায় লাইলি আক্তারের সঙ্গে আমির হোসেনকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে শিশুটি। তখন ফাহিমা বলে, আমি মাকে বলে দেব।’ এই চারটি শব্দই কেড়ে নেয় ফাহিমার জীবন।
ফাহিমার এমন কথায় গভীর চিন্তায় পড়ে যায় লাইলি আর আমির হোসেন। এ সময় লাইলী আমির হোসেনকে বলেন, ‘ফাহিমা সব বলে দিলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’ সেই ক্ষতির চেয়ে ফাহিমার জীবনের মূল্য তাদের কাছে কম মনে হওয়ায় পরদিন রেজাউলের ফার্নিচারের দোকানে বসে ফাহিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। হত্যার বিনিময়ে আমির হোসেনের শ্বশুরবাড়ি থেকে সদ্য পাওয়া এক লাখ টাকা দাবি করে রেজাউল, রবিউল ও সোহেল।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ গত ৭ নভেম্বর বিকেলে রেজাউল ও রবিউল চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ফাহিমাকে বাসা থেকে লাইলির বাসার সামনে নিয়ে আসে। সেখান থেকে আমির হোসেন ফাহিমাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সবাই মিলে হোটেলের সিএনজিতে করে রওনা হয়। এর মধ্যেই দুটি ছুড়ি কিনে তাঁরা। এরপর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে আটটার সময় দেবীদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণ দিকের নদীর একটি নির্জন জায়গায় ফাহিমাকে নিয়ে হত্যা করে তাঁরা। সেখানে নিয়ে আমির হোসেনই প্রথমে ফাহিমার মুখ চেপে ধরে এবং নিজের একমাত্র কন্যার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারপর রেজা উল, রবিউল এবং সোহেল ফাহিমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে বাবা আমির হোসেন ফাহিমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ফাহিমার মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে পথে কোথাও সুবিধাজনক জায়গা না পেয়ে রেজাউলের গরুর খামারের একটি ড্রামে লুকিয়ে রাখে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পরে সেখান থেকে এসে একই সিএনজিতে করে ফাহিমাকে খুঁজে পেতে মাইকিং করে সোহেল। রবিউল ফেসবুকে ‘ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’ মর্মে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ করে। আমির হোসেন পাগল হয়ে যাওয়ার ভান করেন, যেখানে শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল সেখানেই।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হত্যার দুদিন পর বস্তাটি একটি কালভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে আসে তাঁরা।’ মঈন বলেন, ‘মেয়েকে হত্যার পর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে অথবা হত্যা করে লাইলিকে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল আমিরের।’
এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন প্রসঙ্গে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ফাহিমাকে হত্যার পর তাঁর মরদেহ যে বস্তাটিতে ভরে ফেলে দেওয়ায় হয়েছিল সেটি গরুর খাবারের একটি ২৫ কেজির বস্তা ছিল। হত্যাকারী সবার বাসা কাছাকাছি ছিল। ওই এলাকায় দুটি পরিবারের গরুর খামার ছিল। এর মধ্যে রেজাউল অন্যতম। এই বস্তাটিকে ক্লু ধরেই তদন্ত শুরু হয়। রেজাউলের বাবার সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সোহেল বেশ কয়েক দিন ধরে রেজাউলের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করতে আসছে এবং কিছু বলার চেষ্টা করছে। এতেই আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হই।’

পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে গত ৭ নভেম্বর থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পিতা আমির হোসেনসহ পরিবারের প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান। ফাহিমার দাদা, দাদি নিয়ে আসেন কবিরাজ। এ ছাড়াও অনেকে জ্বীনের সহায়তা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তাদের। কিন্তু কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু ফাহিমাকে। অবশেষে এক সপ্তাহ পর একটি কালভার্টের ডোবার নিচে গরুর খাবারের বস্তার ভেতর পাওয়া যায় শিশুটিকে। জানা যায়, পরকীয়ার জেরে বাবা আমির হোসেনই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন নিজের একমাত্র মেয়ে ফাহিমাকে।
আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শিশুটির বাবা আমির হোসেনসহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে কুমিল্লার দেবীদ্বার ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলেন, মো. রবিউল আউয়াল (১৯), মো. রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মো. সোহেল রানা (২৭) ও মোছা লাইলি আক্তার (৩০)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, আমির হোসেনের সঙ্গে লাইলি আক্তারের প্রায় এক বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। তিনি বলেন, ‘গত ৫ তারিখে নিজ বাসায় লাইলি আক্তারের সঙ্গে আমির হোসেনকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে শিশুটি। তখন ফাহিমা বলে, আমি মাকে বলে দেব।’ এই চারটি শব্দই কেড়ে নেয় ফাহিমার জীবন।
ফাহিমার এমন কথায় গভীর চিন্তায় পড়ে যায় লাইলি আর আমির হোসেন। এ সময় লাইলী আমির হোসেনকে বলেন, ‘ফাহিমা সব বলে দিলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’ সেই ক্ষতির চেয়ে ফাহিমার জীবনের মূল্য তাদের কাছে কম মনে হওয়ায় পরদিন রেজাউলের ফার্নিচারের দোকানে বসে ফাহিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। হত্যার বিনিময়ে আমির হোসেনের শ্বশুরবাড়ি থেকে সদ্য পাওয়া এক লাখ টাকা দাবি করে রেজাউল, রবিউল ও সোহেল।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ গত ৭ নভেম্বর বিকেলে রেজাউল ও রবিউল চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ফাহিমাকে বাসা থেকে লাইলির বাসার সামনে নিয়ে আসে। সেখান থেকে আমির হোসেন ফাহিমাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সবাই মিলে হোটেলের সিএনজিতে করে রওনা হয়। এর মধ্যেই দুটি ছুড়ি কিনে তাঁরা। এরপর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে আটটার সময় দেবীদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণ দিকের নদীর একটি নির্জন জায়গায় ফাহিমাকে নিয়ে হত্যা করে তাঁরা। সেখানে নিয়ে আমির হোসেনই প্রথমে ফাহিমার মুখ চেপে ধরে এবং নিজের একমাত্র কন্যার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারপর রেজা উল, রবিউল এবং সোহেল ফাহিমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে বাবা আমির হোসেন ফাহিমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ফাহিমার মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে পথে কোথাও সুবিধাজনক জায়গা না পেয়ে রেজাউলের গরুর খামারের একটি ড্রামে লুকিয়ে রাখে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পরে সেখান থেকে এসে একই সিএনজিতে করে ফাহিমাকে খুঁজে পেতে মাইকিং করে সোহেল। রবিউল ফেসবুকে ‘ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’ মর্মে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ করে। আমির হোসেন পাগল হয়ে যাওয়ার ভান করেন, যেখানে শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল সেখানেই।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হত্যার দুদিন পর বস্তাটি একটি কালভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে আসে তাঁরা।’ মঈন বলেন, ‘মেয়েকে হত্যার পর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে অথবা হত্যা করে লাইলিকে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল আমিরের।’
এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন প্রসঙ্গে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ফাহিমাকে হত্যার পর তাঁর মরদেহ যে বস্তাটিতে ভরে ফেলে দেওয়ায় হয়েছিল সেটি গরুর খাবারের একটি ২৫ কেজির বস্তা ছিল। হত্যাকারী সবার বাসা কাছাকাছি ছিল। ওই এলাকায় দুটি পরিবারের গরুর খামার ছিল। এর মধ্যে রেজাউল অন্যতম। এই বস্তাটিকে ক্লু ধরেই তদন্ত শুরু হয়। রেজাউলের বাবার সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সোহেল বেশ কয়েক দিন ধরে রেজাউলের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করতে আসছে এবং কিছু বলার চেষ্টা করছে। এতেই আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হই।’

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৫ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

৭ নভেম্বর, পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। শিশুটির পিতা আমির হোসেন সহ প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করে। আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান।
১৭ নভেম্বর ২০২১
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৫ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

৭ নভেম্বর, পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। শিশুটির পিতা আমির হোসেন সহ প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করে। আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান।
১৭ নভেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

৭ নভেম্বর, পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। শিশুটির পিতা আমির হোসেন সহ প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করে। আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান।
১৭ নভেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

৭ নভেম্বর, পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। শিশুটির পিতা আমির হোসেন সহ প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করে। আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান।
১৭ নভেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে