নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্র্য, দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি প্রভৃতির কারণে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ বা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে লিডার্স, নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন।
২০২১ সালের একটি গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে লিডার্স জানিয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাতক্ষীরা ও খুলনার উপকূলীয় এলাকায় প্রতিবছর পরিবার প্রতি ১ লাখ ২ হাজার ৪৮৯ টাকার ক্ষতি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত ১৬ বছরে পরিবারপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার ২০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে লিডার্সের সম্পাদক মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বঙ্গোপসাগর ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে। ১৯৫৫-৭৫ পর্যন্ত সময়ের চেয়ে ২০০০-২০২০ সালের ২০ বছরে এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে ১০ গুণ।
মোহন কুমার জানান, বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত তালিকায় ঝড়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল সব সময়ই প্রকৃতির বিরূপ আচরণের প্রথম ও প্রত্যক্ষ শিকার। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সামুদ্রিক দুর্যোগের ৭০ ভাগ বয়ে যায় সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের গবেষণামতে, বাংলাদেশের উপকূলের ১৪টি শহর জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই তালিকায় অগ্রভাগে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার অনেক শহর।
মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ম্যাপলক্রাফট বিশ্বের ১৭০টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে ১৬টি দেশকে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর যেভাবে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে, তাতে যদি উপকূলীয় এলাকাকে সুরক্ষিত না করা যায়, তাহলে সরকার প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা হারাবে।
চিকিৎসাবিদদের মতে, লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীরা উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, লবণাক্ততার কারণে উপকূলের নারীদের আশঙ্কাজনকভাবে জরায়ুতে সংক্রমণ বেড়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দুর্যোগকালীন আশ্রয় গ্রহণের জন্য সরকার ৩টি বিভাগে ১৬টি দুর্যোগপ্রবণ জেলার ৮৬টি উপজেলায় মোট ২ হাজার ৪৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে, যার মোট ধারণক্ষমতা ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ জন। যেখানে উক্ত এলাকার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ আশ্রয় নিতে পারে।
সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন নারী ও শিশুরা। আমাদের সরকার নারী ও শিশুদের জন্য অনেক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো নারী ও শিশুদের আলাদা করে রাখা হয় না। তারা সবার সঙ্গে এক ঘরেই থাকে। এটা অনেক সময়ই তাদের জন্য অনিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়।
ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্র্য, দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি প্রভৃতির কারণে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ বা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে লিডার্স, নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন।
২০২১ সালের একটি গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে লিডার্স জানিয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাতক্ষীরা ও খুলনার উপকূলীয় এলাকায় প্রতিবছর পরিবার প্রতি ১ লাখ ২ হাজার ৪৮৯ টাকার ক্ষতি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত ১৬ বছরে পরিবারপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার ২০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে লিডার্সের সম্পাদক মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বঙ্গোপসাগর ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে। ১৯৫৫-৭৫ পর্যন্ত সময়ের চেয়ে ২০০০-২০২০ সালের ২০ বছরে এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে ১০ গুণ।
মোহন কুমার জানান, বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত তালিকায় ঝড়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল সব সময়ই প্রকৃতির বিরূপ আচরণের প্রথম ও প্রত্যক্ষ শিকার। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সামুদ্রিক দুর্যোগের ৭০ ভাগ বয়ে যায় সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের গবেষণামতে, বাংলাদেশের উপকূলের ১৪টি শহর জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই তালিকায় অগ্রভাগে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার অনেক শহর।
মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ম্যাপলক্রাফট বিশ্বের ১৭০টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে ১৬টি দেশকে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর যেভাবে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে, তাতে যদি উপকূলীয় এলাকাকে সুরক্ষিত না করা যায়, তাহলে সরকার প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা হারাবে।
চিকিৎসাবিদদের মতে, লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীরা উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, লবণাক্ততার কারণে উপকূলের নারীদের আশঙ্কাজনকভাবে জরায়ুতে সংক্রমণ বেড়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দুর্যোগকালীন আশ্রয় গ্রহণের জন্য সরকার ৩টি বিভাগে ১৬টি দুর্যোগপ্রবণ জেলার ৮৬টি উপজেলায় মোট ২ হাজার ৪৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে, যার মোট ধারণক্ষমতা ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ জন। যেখানে উক্ত এলাকার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ আশ্রয় নিতে পারে।
সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন নারী ও শিশুরা। আমাদের সরকার নারী ও শিশুদের জন্য অনেক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো নারী ও শিশুদের আলাদা করে রাখা হয় না। তারা সবার সঙ্গে এক ঘরেই থাকে। এটা অনেক সময়ই তাদের জন্য অনিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে