নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম ভাঙিয়ে তিন বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা মনসুর আহমেদ এবং তাঁর অন্যতম সহযোগী মো. মহসিনকে রাজধানীর পল্টন থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের যৌথ অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার সকালে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁরা টাকা হাতিয়ে নিতেন। গত তিন বছরে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অন্তত ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তারকৃত মনসুর আহমেদ (৩৩) ও মো. মহসিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দলিল ও ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রে পাঁচ থেকে সাতজন সদস্য রয়েছে। চক্রের মূল হোতা মনসুর। চক্রটি বিগত প্রায় তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতারিত করে আসছে। তারা প্রতারণার জন্য নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করত। প্রথমত, তারা নতুন নতুন সিম কিনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে সেভ করত। নিজেরা ওই ব্যক্তি সেজে নিজেদের প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ্যাটিং করত। চক্রের সদস্যদের বিভিন্ন মোবাইল নম্বর চক্রের মূল হোতা ও সহযোগীর মোবাইলে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম ও ছবি দিয়ে সেভ করে। পরে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চ্যাটিং করত। এই চ্যাটিং কনটেন্ট তারা এমনভাবে তৈরি করে, যাতে যেকোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনে করে তারা ইতিপূর্বে অনেক কাজ অর্থের বিনিময়ে পাইয়ে দিয়েছে এবং তাদের বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খুবই সুসম্পর্ক রয়েছে।
প্রতারণার মাধ্যমে আয় করা টাকা চক্রটি হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাইফুল নামে একজনের কাছে পাচার করত জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, এই চক্রের আরেক সদস্য সাইফুল নিজেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি পরিচয় দিত। সেখানে বসে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিত বলে মনসুর ও মহসিন জানিয়েছেন। চক্রটি নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের ছবি ওই সব আগ্রহী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেখাত। নিজেদের কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য তারা হাজার হাজার কেটি টাকার ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দেখাত।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, মূল হোতা মনসুর প্রথমে স্থানীয় এলাকায় জমির দালালি করতেন। পরে তিনি ঢাকায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। সেখানে কর্মরত থাকাকালীন এভাবে প্রতারণার বিষয়টি তাঁর মাথায় আসে। পরে ওই এজেন্সির এক কর্মচারীর মাধ্যমে সাইফুলের সঙ্গে পরিচয় হলে তিনি প্রতারণার জন্য এই চক্র গড়ে তোলেন।
গ্রেপ্তারকৃত মহসিন প্রথমে ঢাকার মালীবাগে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ব্যবসা করতেন। পরে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তাঁর ফ্যাক্টরি বিক্রি করে দেন। মতিঝিলে মনসুরের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মনসুর ও মহসিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম ভাঙিয়ে তিন বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা মনসুর আহমেদ এবং তাঁর অন্যতম সহযোগী মো. মহসিনকে রাজধানীর পল্টন থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের যৌথ অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার সকালে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁরা টাকা হাতিয়ে নিতেন। গত তিন বছরে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অন্তত ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তারকৃত মনসুর আহমেদ (৩৩) ও মো. মহসিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দলিল ও ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রে পাঁচ থেকে সাতজন সদস্য রয়েছে। চক্রের মূল হোতা মনসুর। চক্রটি বিগত প্রায় তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতারিত করে আসছে। তারা প্রতারণার জন্য নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করত। প্রথমত, তারা নতুন নতুন সিম কিনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে সেভ করত। নিজেরা ওই ব্যক্তি সেজে নিজেদের প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ্যাটিং করত। চক্রের সদস্যদের বিভিন্ন মোবাইল নম্বর চক্রের মূল হোতা ও সহযোগীর মোবাইলে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম ও ছবি দিয়ে সেভ করে। পরে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চ্যাটিং করত। এই চ্যাটিং কনটেন্ট তারা এমনভাবে তৈরি করে, যাতে যেকোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনে করে তারা ইতিপূর্বে অনেক কাজ অর্থের বিনিময়ে পাইয়ে দিয়েছে এবং তাদের বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খুবই সুসম্পর্ক রয়েছে।
প্রতারণার মাধ্যমে আয় করা টাকা চক্রটি হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাইফুল নামে একজনের কাছে পাচার করত জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, এই চক্রের আরেক সদস্য সাইফুল নিজেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি পরিচয় দিত। সেখানে বসে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিত বলে মনসুর ও মহসিন জানিয়েছেন। চক্রটি নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের ছবি ওই সব আগ্রহী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেখাত। নিজেদের কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য তারা হাজার হাজার কেটি টাকার ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দেখাত।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, মূল হোতা মনসুর প্রথমে স্থানীয় এলাকায় জমির দালালি করতেন। পরে তিনি ঢাকায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। সেখানে কর্মরত থাকাকালীন এভাবে প্রতারণার বিষয়টি তাঁর মাথায় আসে। পরে ওই এজেন্সির এক কর্মচারীর মাধ্যমে সাইফুলের সঙ্গে পরিচয় হলে তিনি প্রতারণার জন্য এই চক্র গড়ে তোলেন।
গ্রেপ্তারকৃত মহসিন প্রথমে ঢাকার মালীবাগে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ব্যবসা করতেন। পরে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তাঁর ফ্যাক্টরি বিক্রি করে দেন। মতিঝিলে মনসুরের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মনসুর ও মহসিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি তেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী।
২৪ মিনিট আগেরাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে