নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেছে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঘাতজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মাথায় ও বুকের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও শেখ ফরহাদ এই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেন।
সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমান বলেন, ‘ফারদিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর বুকের দুপাশে দুই-তিনটি ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি তাঁর মাথায় চার-পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
এর আগে গত ৮ নভেম্বর দুপুরে ফারদিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন ফারদিন। ৫ নভেম্বর এ ঘটনায় তাঁর বাবা নুর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ নভেম্বর তাঁর বাবা রামপুরা থানায় বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে।
ফারদিন হত্যা নিয়ে সবশেষ আজ বৃহস্পতিবার ডিবি জানায়, ফারদিন হত্যাকাণ্ডে এক লেগুনার চালক ও সহকারীকে তাঁরা খুঁজছেন। ঘটনার দিন লেগুনাতে তোলা হয়েছিল ফারদিনকে। পরে লেগুনাটি যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জের তারাবের দিকে চলে যায়।
নতুন পাওয়া এক সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডিবি জানায়, ফারদিন ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর লেগুনা স্ট্যান্ডে ছিলেন। তাঁকে সাদা গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তি ডেকে লেগুনায় তোলেন, লেগুনায় আরও চারজন ছিলেন। পরে লেগুনাটি নারায়ণগঞ্জের তারাবের দিকে চলে যায়।
ডিবির প্রশ্ন, যে ব্যক্তি রাত সোয়া ২টার সময় যাত্রাবাড়ী লেগুনা স্ট্যান্ডে ছিলেন, তিনি কী করে রাত আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে যান? এর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ফারদিনকে চনপাড়া বস্তিতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে রায়হান নামে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী জড়িত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সাদা গেঞ্জি পরা এক লোক ফারদিনের সঙ্গে যাত্রাবাড়ী লেগুনা স্ট্যান্ডে কথা বলেন। এরপর তিনি লেগুনায় উঠে বসেন। লেগুনায় আরও তিন-চারজন ছিল। ফারদিনকে লেগুনায় উঠিয়ে বিশ্বরোডের দিকে যাওয়া হয়, এরপর সেটি সুলতানা কামাল সেতু পার হয়ে নারায়ণগঞ্জের তারাবের দিকে চলে যায়। যাঁরা ধরে নিয়ে গেছেন, তাঁরা আমাদের নজরদারিতে আছেন। লেগুনার চালক ও সহকারীকে খোঁজা হচ্ছে।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তারাব থেকে চনপাড়া যেতেই ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা। লেগুনার চালক নজরদারিতে। তবে আমরা এখনই কংক্রিট তথ্যে আসছি না। তারাবের ঘটনা কি না, হত্যা কি না, সবকিছু তদন্ত করছি।’ ফারদিনের যাতায়াতের সব তথ্য নজরে এসেছে। তদন্ত শেষ না হলে বলা যাবে না বলেও জানান তিনি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেছে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঘাতজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মাথায় ও বুকের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও শেখ ফরহাদ এই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেন।
সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমান বলেন, ‘ফারদিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর বুকের দুপাশে দুই-তিনটি ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি তাঁর মাথায় চার-পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
এর আগে গত ৮ নভেম্বর দুপুরে ফারদিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন ফারদিন। ৫ নভেম্বর এ ঘটনায় তাঁর বাবা নুর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ নভেম্বর তাঁর বাবা রামপুরা থানায় বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে।
ফারদিন হত্যা নিয়ে সবশেষ আজ বৃহস্পতিবার ডিবি জানায়, ফারদিন হত্যাকাণ্ডে এক লেগুনার চালক ও সহকারীকে তাঁরা খুঁজছেন। ঘটনার দিন লেগুনাতে তোলা হয়েছিল ফারদিনকে। পরে লেগুনাটি যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জের তারাবের দিকে চলে যায়।
নতুন পাওয়া এক সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডিবি জানায়, ফারদিন ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর লেগুনা স্ট্যান্ডে ছিলেন। তাঁকে সাদা গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তি ডেকে লেগুনায় তোলেন, লেগুনায় আরও চারজন ছিলেন। পরে লেগুনাটি নারায়ণগঞ্জের তারাবের দিকে চলে যায়।
ডিবির প্রশ্ন, যে ব্যক্তি রাত সোয়া ২টার সময় যাত্রাবাড়ী লেগুনা স্ট্যান্ডে ছিলেন, তিনি কী করে রাত আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে যান? এর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ফারদিনকে চনপাড়া বস্তিতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে রায়হান নামে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী জড়িত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সাদা গেঞ্জি পরা এক লোক ফারদিনের সঙ্গে যাত্রাবাড়ী লেগুনা স্ট্যান্ডে কথা বলেন। এরপর তিনি লেগুনায় উঠে বসেন। লেগুনায় আরও তিন-চারজন ছিল। ফারদিনকে লেগুনায় উঠিয়ে বিশ্বরোডের দিকে যাওয়া হয়, এরপর সেটি সুলতানা কামাল সেতু পার হয়ে নারায়ণগঞ্জের তারাবের দিকে চলে যায়। যাঁরা ধরে নিয়ে গেছেন, তাঁরা আমাদের নজরদারিতে আছেন। লেগুনার চালক ও সহকারীকে খোঁজা হচ্ছে।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তারাব থেকে চনপাড়া যেতেই ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা। লেগুনার চালক নজরদারিতে। তবে আমরা এখনই কংক্রিট তথ্যে আসছি না। তারাবের ঘটনা কি না, হত্যা কি না, সবকিছু তদন্ত করছি।’ ফারদিনের যাতায়াতের সব তথ্য নজরে এসেছে। তদন্ত শেষ না হলে বলা যাবে না বলেও জানান তিনি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ভোলাহাট উপজেলার ছোট জামবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২ মিনিট আগেনির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি আবাসনপ্রতিষ্ঠান কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস ছয় দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ না করায় বিপাকে পড়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)।
১০ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি তেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী।
৩৪ মিনিট আগেরাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগে