আন্দোলনকারী পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে অবরোধকারীরা থাকতে পারে: পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

টানা চতুর্থ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে আন্দোলনে নামেন পোশাকশ্রমিকেরা। তবে টিয়ারশেল ছুড়ে ও লাঠিপেটায় তাদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এই সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক। আগে হামলা চালানোয় পুলিশ অ্যাকশনে গেছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার হাসান মোহাম্মদ মুহতারিন। 

হাসান মোহাম্মদ মুহতারিন বলেন, ‘শ্রমিকেরা কাফরুল ও পল্লবী থানার ওসির ওপর হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। আমরা তারপর অ্যাকশনে যাই।’ 

শ্রমিকেরা মিরপুরে বিআরটিসির ডিপোতে ঢুকে বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেছে জানিয়ে পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ফিরোজ বলেন, ‘আন্দোলনকারী পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে অবরোধকারীরা থাকতে পারে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ 

টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা ন্যায্য মজুরি, শ্রমিকদের ওপর আওয়ামী লীগ-যুবলীগের হামলা এবং তাদের হামলায় তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে নিহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশের দাবিতে এই আন্দোলন করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। 

মিরপুর ১২ নম্বর বিআরটিসি বাস ডিপোতে ঢুকে শ্রমিকেরা কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে। এছাড়া মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের সময় মিরপুর কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্রমিকদের লাঠির আঘাতে আহত হন। 

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন বলেন, ‘সকালে মিরপুর ১০ নম্বরে আমাদের ওপর হামলা চালায় শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তাদের বুঝিয়ে সড়াতে গেলে আবারও পুলিশের ওপর হামলা হয়। পুলিশ বসে ছিল সেই পুলিশের ওপরও হামলা করা হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, তাঁদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু। আমরা তাদের মেইন রোড থেকে সরিয়ে দিয়েছি। যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’ 

সংঘর্ষের পর কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা পূরবী সিনেমা হলের সামনে ব্যাপক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বিজিবি ও র‍্যাবের গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে। পোশাকশ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। 

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হালিম বলেন, ‘হুট করেই পোশাক শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন পুলিশ সামনে এগিয়ে কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তারপর শ্রমিকেরা যে যেভাবে পারে দিগ্‌বিদিক ছুটে যায়।’ 

উল্লেখ্য, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মারধরে যে তিনজন শ্রমিক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল শ্রমিকেরা তাদের একজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে র‍্যাব। উদ্ধার হওয়া পোশাকশ্রমিকের নাম জোসনা আক্তার। গতকাল রাতে কালশির একটি বাসা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত