নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পয়লা বৈশাখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের প্রত্যেকটি পয়েন্টে ছিল পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি। এ ছাড়াও পুরো এলাকায় ছিল র্যাব, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, সোয়াট ও সাদা পোশাকের পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রমনার বটমূলে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে যেন কোন বিশৃঙ্খলা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। অনুষ্ঠান শুরুর আগ পর্যন্ত চলেছে নিরাপত্তা মহড়া। অনুষ্ঠানস্থলে আগতদের বটমূলে আসতে হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পাড় হয়ে।
সকাল ৯টায় টিএসসি থেকে বের হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে করা হয়েছে। শোভাযাত্রার সামনে এবং পেছনে ছিল পুলিশ, র্যাব ও সোয়াট সদস্যদের উপস্থিতি। এ ছাড়াও যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য শোভাযাত্রার ভেতরেও সাদা পোশাকে পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রবেশের মুখেই চলেছে তল্লাশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, লাইব্রেরি চত্বর, উপাচার্য চত্বর, পলাশী, শহীদ মিনার, কার্জন হল এলাকায়ও পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিব মোহাম্মদ আশিক বলেন, ‘নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। যেমন লোকজন হবে ভেবেছিলাম তেমন নেই। মনে হচ্ছে, সাধারণ দর্শনার্থীদের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এই এলাকায় বেশি। ক্যাম্পাস এলাকায় ঢোকার সময় কড়া নিরাপত্তায় একটু বিরক্ত হয়েছি কিন্তু সব মিলিয়ে আসলে ঠিকই আছে।’
সেগুন বাগিচার বাসিন্দা প্রীতি জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা ঘটছে পয়লা বৈশাখে যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে। কিছুটা আতঙ্ক তো ছিলই। তবে নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট।’ পুরান ঢাকা বাসিন্দা সুনন্দিতা সরকার বলেন, ‘ভেবেছিলাম এবার বেরই হতে পারবো না। বাসা থেকেও বের হতে নিষেধ করছিলো। কিন্তু কালকে নিরাপত্তার খবরে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি। এখানে এসে বেশ নিরাপদই বোধ করছি। কোথাও কোন সমস্যা হয়নি।’
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেশব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকল ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রমনার বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র সরোবর, শিল্পকলা একাডেমি, বিআইসিসি ভবন, নজরুল একাডেমি, উত্তরা মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসি, শাহবাগ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং রমনা বটমূলকে বিভক্ত করে পর্যাপ্ত পরীক্ষণ চেকপোস্ট, টহল ও অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমনা বটমূল, টিএসসি ও চারুকলা ইনস্টিটিউটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাবের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং সম্পন্ন করা হবে। সারা দেশে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থাকবে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, মোটরসাইকেল পেট্রোল, ফুট পেট্রোল, বোট পেট্রোলিং, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, অবজারভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং।’
বর্ষবরণে পুলিশের নিরাপত্তা তৎপরতা কথা জানিয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘নববর্ষকে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ডগ স্কোয়াড, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ও পুলিশ এবং সোয়াটের সমন্বিত ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে ওপর থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে ব্যাপক পরিমাণে সাদা পোশাকের পুলিশ।’
রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পয়লা বৈশাখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের প্রত্যেকটি পয়েন্টে ছিল পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি। এ ছাড়াও পুরো এলাকায় ছিল র্যাব, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, সোয়াট ও সাদা পোশাকের পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রমনার বটমূলে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে যেন কোন বিশৃঙ্খলা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। অনুষ্ঠান শুরুর আগ পর্যন্ত চলেছে নিরাপত্তা মহড়া। অনুষ্ঠানস্থলে আগতদের বটমূলে আসতে হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পাড় হয়ে।
সকাল ৯টায় টিএসসি থেকে বের হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে করা হয়েছে। শোভাযাত্রার সামনে এবং পেছনে ছিল পুলিশ, র্যাব ও সোয়াট সদস্যদের উপস্থিতি। এ ছাড়াও যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য শোভাযাত্রার ভেতরেও সাদা পোশাকে পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রবেশের মুখেই চলেছে তল্লাশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, লাইব্রেরি চত্বর, উপাচার্য চত্বর, পলাশী, শহীদ মিনার, কার্জন হল এলাকায়ও পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিব মোহাম্মদ আশিক বলেন, ‘নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। যেমন লোকজন হবে ভেবেছিলাম তেমন নেই। মনে হচ্ছে, সাধারণ দর্শনার্থীদের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এই এলাকায় বেশি। ক্যাম্পাস এলাকায় ঢোকার সময় কড়া নিরাপত্তায় একটু বিরক্ত হয়েছি কিন্তু সব মিলিয়ে আসলে ঠিকই আছে।’
সেগুন বাগিচার বাসিন্দা প্রীতি জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা ঘটছে পয়লা বৈশাখে যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে। কিছুটা আতঙ্ক তো ছিলই। তবে নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট।’ পুরান ঢাকা বাসিন্দা সুনন্দিতা সরকার বলেন, ‘ভেবেছিলাম এবার বেরই হতে পারবো না। বাসা থেকেও বের হতে নিষেধ করছিলো। কিন্তু কালকে নিরাপত্তার খবরে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি। এখানে এসে বেশ নিরাপদই বোধ করছি। কোথাও কোন সমস্যা হয়নি।’
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেশব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকল ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রমনার বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র সরোবর, শিল্পকলা একাডেমি, বিআইসিসি ভবন, নজরুল একাডেমি, উত্তরা মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসি, শাহবাগ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং রমনা বটমূলকে বিভক্ত করে পর্যাপ্ত পরীক্ষণ চেকপোস্ট, টহল ও অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমনা বটমূল, টিএসসি ও চারুকলা ইনস্টিটিউটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাবের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং সম্পন্ন করা হবে। সারা দেশে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থাকবে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, মোটরসাইকেল পেট্রোল, ফুট পেট্রোল, বোট পেট্রোলিং, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, অবজারভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং।’
বর্ষবরণে পুলিশের নিরাপত্তা তৎপরতা কথা জানিয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘নববর্ষকে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ডগ স্কোয়াড, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ও পুলিশ এবং সোয়াটের সমন্বিত ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে ওপর থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে ব্যাপক পরিমাণে সাদা পোশাকের পুলিশ।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
১৬ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে