Ajker Patrika

রায়পুরায় ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদের জেরে সহপাঠীর ওপর হামলার অভিযোগ

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ২০: ২৯
রায়পুরায় ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদের জেরে সহপাঠীর ওপর হামলার অভিযোগ

নরসিংদীর রায়পুরায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শফিকুল ইসলাম (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একদল যুবকের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত শফিকুল ইসলাম পৌরসভার শ্রীরামপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। রায়পুরার নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। শফিকুল ওই ছাত্রীর সহপাঠী বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার থানাহাঠির রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সৈকত (২২) ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী কয়েক মাস ধরে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত দুই সপ্তাহ আগে ওই ছাত্রী সহপাঠীদের এ বিষয়ে জানায়। এরপর সহপাঠীরা উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করে। এরই জেরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ছুটির পর রায়পুরা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসামাত্রই সৈকত ও তাঁর সহযোগীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শফিকুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা উদ্ধার করে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।

আহত শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে আমাদের এক সহপাঠীকে সৈকত ও তাঁর সহযোগীদের নিয়মিত উত্ত্যক্তের কথা আমাদের বলে। এর প্রতিবাদ করার পর থেকে তারা আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জেরে আজ কলেজ ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছামাত্রই আমার ওপর সৈকত, রতন, ফারদিন, মানিক, রাহাত, রহিমসহ আরও অনেকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। পরে পথচারীরা এগিয়ে আসায় প্রাণে বাঁচে যাই। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ 

নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এবং কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মজিদকে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই জানি না। প্রতিষ্ঠানের ভেতর কিছু হলে তাৎক্ষণিক জানতাম। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, এটা মোটেই কাম্য নয়।’ 

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, ‘এ বিষয়টি শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত