নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি সরকারি বাড়ি থেকে এক সাবেক অতিরিক্ত সচিবকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বাড়িটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে গেলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওই আমলার অনুরোধে তাঁকে বাড়িটিতে আপাতত থাকার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। তাই উচ্ছেদ না করেই অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ফিরে আসেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অভিযোগ, বরাদ্দ বাতিল হওয়ার পরও অবৈধভাবে প্রায় ছয় বছর ধরে ওই বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. আশরাফুল ইসলাম।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারি সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের নেতৃত্বে একটি দল এলিফ্যান্ট রোডের ৩৩১ নম্বর বাড়িটিতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে একটি পুলিশের দলও ছিল। তবে তাদের উচ্ছেদ না করেই দুপুরে চলে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সরজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের মোড় ধরে ইস্টার্ন মল্লিকার দিকে এগোলেই বামপাশের একটি গলির ভেতরে ৩৩১ নম্বরের দোতলা বাড়িটি। পুরনো এই বাড়ির প্রধান ফটকে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ড ঝুলছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (অব.), ৩৩১, এলিফ্যান্ডরোড, ঢাকা।’
বাড়িটির সামনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, ভবনের ভেতরে নারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন গণপূর্তের কর্মকর্তারা। তাদের বাসা থেকে বের হতে বললে, ওই নারীরা গণপূর্তের কর্মকর্তাদের বলেন, বাসায় পুরুষরা কেউ নেই, তাঁরা আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এর মধ্যে আশরাফুল ইসলাম বাসা থেকে বের হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় আশরাফুল ইসলাম উচ্ছেদের কারণ জানতে চান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে বুঝিয়ে বলার পরও তিনি বাসা না ছাড়ার জন্য অনড় থাকেন। এরপর আশরাফুল ইসলাম তাঁর এক ছেলেকে নিয়ে সচিবালয় যান। এদিকে কয়েকজন শ্রমিক বাড়ি থেকে আসবাবপত্র বের করে বাড়ির সামনের খালি জায়গায় রাখেন, এ সময় বাড়িটিতে আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী ও গৃহপরিচারিকা ছিলেন।
প্রায় ঘণ্টাখানেক পর আশরাফুল ইসলাম বাসায় ফিরে আসেন। তিনি এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানকে একটি কাগজ দেখান। এরপর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। গণপূর্তের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা চলে যান।
পরবর্তীতে আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদে আসার পর তিনি দ্রুত সচিবালয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। মন্ত্রীর কাছে তিনি বাড়িটি ছাড়ার জন্য এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রী তাকে আগামী ইদুল ফিতর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে আশরাফুল ইসলামের আবেদনে সিল ও স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। সেই আবেদনটি আশরাফুল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখান।
অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কোনো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই তাঁরা উচ্ছেদ করতে আসছিল। আমি মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি বলেছি, তিনি আমাকে আগামী ঈদ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।’
আশরাফুল ইসলাম অবসর গ্রহণের আগে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক ছিলেন। তিনি একসময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য বাসা বরাদ্দ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি নিজের নামেও ওই বাড়িটি বরাদ্দ নেন। তিনি ২০১৭ সালের ৮ জুন অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যান। তবে তাকে ফের দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর তিনি অবসরে যান। নিয়ম অনুযায়ী অবসরের পর তার সরকারি বাসভবনে থাকার সুযোগ নেই। তবে তারপরও তিনি থাকছেন।
এ বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বাড়িতে থাকছি না, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাই এই বাড়িটিতে থাকছি, বাড়িটি আমাকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সররকারের সর্বোচ্চ মহলে আবেদন করেছি। আশা করছি, বরাদ্দ পাব। কারণ ঢাকাতে আমার কোনো থাকার জায়গা নেই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই বাড়িটি আমি পেতেই পারি।’
এদিকে, উচ্ছেদ না করে ফিরে আসার বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসান বলেন, ‘আশরাফুল ইসলামকে মানবিক কারণে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মন্ত্রী সময় দিয়েছেন। ঈদের এক সপ্তাহ পর তিনি স্বেচ্ছায় বাড়িটি ছেড়ে দেবেন, তা না হলে, আমরা তাঁকে উচ্ছেদ করব।’
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি সরকারি বাড়ি থেকে এক সাবেক অতিরিক্ত সচিবকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বাড়িটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে গেলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওই আমলার অনুরোধে তাঁকে বাড়িটিতে আপাতত থাকার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। তাই উচ্ছেদ না করেই অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ফিরে আসেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অভিযোগ, বরাদ্দ বাতিল হওয়ার পরও অবৈধভাবে প্রায় ছয় বছর ধরে ওই বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. আশরাফুল ইসলাম।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারি সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের নেতৃত্বে একটি দল এলিফ্যান্ট রোডের ৩৩১ নম্বর বাড়িটিতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে একটি পুলিশের দলও ছিল। তবে তাদের উচ্ছেদ না করেই দুপুরে চলে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সরজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের মোড় ধরে ইস্টার্ন মল্লিকার দিকে এগোলেই বামপাশের একটি গলির ভেতরে ৩৩১ নম্বরের দোতলা বাড়িটি। পুরনো এই বাড়ির প্রধান ফটকে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ড ঝুলছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (অব.), ৩৩১, এলিফ্যান্ডরোড, ঢাকা।’
বাড়িটির সামনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, ভবনের ভেতরে নারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন গণপূর্তের কর্মকর্তারা। তাদের বাসা থেকে বের হতে বললে, ওই নারীরা গণপূর্তের কর্মকর্তাদের বলেন, বাসায় পুরুষরা কেউ নেই, তাঁরা আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এর মধ্যে আশরাফুল ইসলাম বাসা থেকে বের হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় আশরাফুল ইসলাম উচ্ছেদের কারণ জানতে চান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে বুঝিয়ে বলার পরও তিনি বাসা না ছাড়ার জন্য অনড় থাকেন। এরপর আশরাফুল ইসলাম তাঁর এক ছেলেকে নিয়ে সচিবালয় যান। এদিকে কয়েকজন শ্রমিক বাড়ি থেকে আসবাবপত্র বের করে বাড়ির সামনের খালি জায়গায় রাখেন, এ সময় বাড়িটিতে আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী ও গৃহপরিচারিকা ছিলেন।
প্রায় ঘণ্টাখানেক পর আশরাফুল ইসলাম বাসায় ফিরে আসেন। তিনি এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানকে একটি কাগজ দেখান। এরপর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। গণপূর্তের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা চলে যান।
পরবর্তীতে আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদে আসার পর তিনি দ্রুত সচিবালয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। মন্ত্রীর কাছে তিনি বাড়িটি ছাড়ার জন্য এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রী তাকে আগামী ইদুল ফিতর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে আশরাফুল ইসলামের আবেদনে সিল ও স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। সেই আবেদনটি আশরাফুল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখান।
অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কোনো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই তাঁরা উচ্ছেদ করতে আসছিল। আমি মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি বলেছি, তিনি আমাকে আগামী ঈদ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।’
আশরাফুল ইসলাম অবসর গ্রহণের আগে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক ছিলেন। তিনি একসময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য বাসা বরাদ্দ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি নিজের নামেও ওই বাড়িটি বরাদ্দ নেন। তিনি ২০১৭ সালের ৮ জুন অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যান। তবে তাকে ফের দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর তিনি অবসরে যান। নিয়ম অনুযায়ী অবসরের পর তার সরকারি বাসভবনে থাকার সুযোগ নেই। তবে তারপরও তিনি থাকছেন।
এ বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বাড়িতে থাকছি না, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাই এই বাড়িটিতে থাকছি, বাড়িটি আমাকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সররকারের সর্বোচ্চ মহলে আবেদন করেছি। আশা করছি, বরাদ্দ পাব। কারণ ঢাকাতে আমার কোনো থাকার জায়গা নেই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই বাড়িটি আমি পেতেই পারি।’
এদিকে, উচ্ছেদ না করে ফিরে আসার বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসান বলেন, ‘আশরাফুল ইসলামকে মানবিক কারণে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মন্ত্রী সময় দিয়েছেন। ঈদের এক সপ্তাহ পর তিনি স্বেচ্ছায় বাড়িটি ছেড়ে দেবেন, তা না হলে, আমরা তাঁকে উচ্ছেদ করব।’
নুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৩ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
২ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২ ঘণ্টা আগে