শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটকে বলা হয় দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। এই নৌরুটে যাত্রী পারাপারে ৮৭টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। দ্রুত যোগাযোগের জন্য স্পিডবোটের চাহিদা শীর্ষে।
জনপ্রিয় এই বাহনের বিষয়ে যাত্রীদের অভিযোগও অনেক। ঈদ মৌসুমে ২ থেকে ৩ গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিবছরের নিয়মিত অভিযোগ।
তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর আর এই নৌরুটে যাত্রী পারাপার থাকবে না এটা নিশ্চিত। সংগত কারণে বন্ধ হয়ে যাবে ঘাট। নৌরুটের ৮৭টি লঞ্চ দেশের অন্য কোনো নৌরুটে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। সে নিয়ে কাজও চলছে বলে জানা গেছে।
তবে স্পিডবোটগুলোর কী হবে? কর্মসংস্থান হারানোর শঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন স্পিডবোট চালকেরা।
আলাপকালে বাংলাবাজার ঘাটের স্পিডবোট চালকেরা বলেন, করোনাকালে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চালকেরা। বোট চললে প্রতি ট্রিপের বিপরীতে টাকা পান তাঁরা। নির্দিষ্ট কোনো বেতন নেই তাঁদের। বোট বন্ধ থাকলে উপার্জনও বন্ধ থাকে। সেতু চালু হলে বন্ধ হবে বোট। বেকার হয়ে যাবেন কমপক্ষে দেড় শ স্পিডবোট চালক।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩ মে ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোটের ২৬ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই দিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোট চলাচল। দীর্ঘ ১৫৬ দিন পর গত বছরের ৭ অক্টোবর বিকেল থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে চালু হয় স্পিডবোট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্পিডবোটের লাইসেন্স এবং চালকদের প্রশিক্ষণ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়। সে সময় ১৪৩ জন চালককে একসঙ্গে সনদ দেওয়া হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে বোট ও চালকের সংখ্যা। নিয়মিত চলতে থাকে স্পিডবোট।
স্পিডবোট চালক মো. জসিম বলেন, ‘সেতু চালু হলে স্পিডবোট বন্ধ হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। ঘাটে আমরা দেড় শতাধিক চালক রয়েছি। স্পিডবোট অন্য কোথায় চলাচলের অনুমতি দিলে আমাদের জন্য ভালো হবে। তা না হলে আমরা বেকার হয়ে যাব।’
আরেক চালক আবু কালাম বলেন, ‘করোনায় অনেক দিন বন্ধ ছিল। আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এরপর আমাদের লাইসেন্স করতে হয়েছে। নতুন করে বোট চালানো শুরু হলো। এখন সেতু উদ্বোধন হবে। আমাদের সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা করে দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি সরকারের কাছে। যাতে করে আমরা স্পিডবোট চালকেরা বেকার না থাকি।’
‘পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তবে এই নৌরুটের স্পিডবোট চালকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত। শিমুলিয়া পাড়ের অনেকেই বোট বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা এখনো আশায় আছি, বিকল্প কিছু একটা হবে। তা না হলে বিপদে পড়ে যাব!’ বলেন স্পিডবোট চালক মো. কাওসার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আর সেতু চালু হলে নৌরুটে স্পিডবোটের দরকার হবে না। ঘাট বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন সব জায়গাতেই জানিয়ে রেখেছি বিকল্প নৌরুটের ব্যবস্থার জন্য। তবে এখনো কোনো আশ্বাস পাইনি। অনেকেই বোট বিক্রির চিন্তাভাবনা করছেন। আমরা চেষ্টা করব অন্যত্র কোনো ব্যবস্থা করার।’
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটকে বলা হয় দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। এই নৌরুটে যাত্রী পারাপারে ৮৭টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। দ্রুত যোগাযোগের জন্য স্পিডবোটের চাহিদা শীর্ষে।
জনপ্রিয় এই বাহনের বিষয়ে যাত্রীদের অভিযোগও অনেক। ঈদ মৌসুমে ২ থেকে ৩ গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিবছরের নিয়মিত অভিযোগ।
তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর আর এই নৌরুটে যাত্রী পারাপার থাকবে না এটা নিশ্চিত। সংগত কারণে বন্ধ হয়ে যাবে ঘাট। নৌরুটের ৮৭টি লঞ্চ দেশের অন্য কোনো নৌরুটে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। সে নিয়ে কাজও চলছে বলে জানা গেছে।
তবে স্পিডবোটগুলোর কী হবে? কর্মসংস্থান হারানোর শঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন স্পিডবোট চালকেরা।
আলাপকালে বাংলাবাজার ঘাটের স্পিডবোট চালকেরা বলেন, করোনাকালে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চালকেরা। বোট চললে প্রতি ট্রিপের বিপরীতে টাকা পান তাঁরা। নির্দিষ্ট কোনো বেতন নেই তাঁদের। বোট বন্ধ থাকলে উপার্জনও বন্ধ থাকে। সেতু চালু হলে বন্ধ হবে বোট। বেকার হয়ে যাবেন কমপক্ষে দেড় শ স্পিডবোট চালক।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩ মে ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোটের ২৬ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই দিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোট চলাচল। দীর্ঘ ১৫৬ দিন পর গত বছরের ৭ অক্টোবর বিকেল থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে চালু হয় স্পিডবোট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্পিডবোটের লাইসেন্স এবং চালকদের প্রশিক্ষণ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়। সে সময় ১৪৩ জন চালককে একসঙ্গে সনদ দেওয়া হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে বোট ও চালকের সংখ্যা। নিয়মিত চলতে থাকে স্পিডবোট।
স্পিডবোট চালক মো. জসিম বলেন, ‘সেতু চালু হলে স্পিডবোট বন্ধ হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। ঘাটে আমরা দেড় শতাধিক চালক রয়েছি। স্পিডবোট অন্য কোথায় চলাচলের অনুমতি দিলে আমাদের জন্য ভালো হবে। তা না হলে আমরা বেকার হয়ে যাব।’
আরেক চালক আবু কালাম বলেন, ‘করোনায় অনেক দিন বন্ধ ছিল। আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এরপর আমাদের লাইসেন্স করতে হয়েছে। নতুন করে বোট চালানো শুরু হলো। এখন সেতু উদ্বোধন হবে। আমাদের সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা করে দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি সরকারের কাছে। যাতে করে আমরা স্পিডবোট চালকেরা বেকার না থাকি।’
‘পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তবে এই নৌরুটের স্পিডবোট চালকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত। শিমুলিয়া পাড়ের অনেকেই বোট বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা এখনো আশায় আছি, বিকল্প কিছু একটা হবে। তা না হলে বিপদে পড়ে যাব!’ বলেন স্পিডবোট চালক মো. কাওসার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আর সেতু চালু হলে নৌরুটে স্পিডবোটের দরকার হবে না। ঘাট বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন সব জায়গাতেই জানিয়ে রেখেছি বিকল্প নৌরুটের ব্যবস্থার জন্য। তবে এখনো কোনো আশ্বাস পাইনি। অনেকেই বোট বিক্রির চিন্তাভাবনা করছেন। আমরা চেষ্টা করব অন্যত্র কোনো ব্যবস্থা করার।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক মানববন্ধনে তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
৫ মিনিট আগেপদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির অভিযোগে একজন সিনিয়র সহকারী সচিব ও দুই সার্ভেয়ারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে...
২৩ মিনিট আগেকুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় গোমতী নদীর চর থেকে মাটি কাটার অভিযোগে সাতটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার ভোররাত ৬টা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান এই অভিযান চালান।
৩০ মিনিট আগেকারাগারে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও কারারক্ষীদের দুর্ব্যবহারে দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে