Ajker Patrika

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অব্যাহতি

জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অব্যাহতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানকে অব্যাহতি দিয়েছে প্রশাসন। আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবিরকে। তিনি একইসাথে শহীদ তাজউদ্দীন হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ এক মাস ধরে চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মুখে প্রক্টরকে অব্যাহতি দেয় প্রশাসন।

বহিরাগত নারীকে ছাত্রলীগ নেতার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ ব্যানারে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবিরকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হল। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।’

এর আগে, আন্দোলনকারীরা মীর মশাররফ হোসেন আবাসিক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাব্বির আলম ও প্রক্টর ফিরোজ উল হাসানের অপসারণ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে। পরবর্তীতে উপাচার্যের প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।

সে সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের বলেছেন, ১৭ মার্চের মধ্যে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষ নিজেরাই তাঁদের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। অন্যথায় ৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্যের ক্ষমতা আছে, তিনি তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবেন। উপাচার্য ১৮ মার্চ দুপুর পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। তাই অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছি। ১৮ মার্চের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে আবারও কর্মসূচিতে যাব।’

তবে শুধুমাত্র প্রক্টরকে অব্যাহতি প্রদান করে প্রভোস্টকে শাস্তি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।

নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবিগুলোর একটি ছিল মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া। সেই দাবির প্রেক্ষিতে একজনকে (প্রক্টর) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ওই হল প্রাধ্যক্ষের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। আমরা মনে করি, প্রাধ্যক্ষের অবশ্যই দায় আছে। একটা হলে যখন টর্চার সেল থাকে কিংবা সেখানে বহিরাগতরা আসে, মাদক ব্যবসা চলে; বহিরাগতরা এসে ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায়, সেখানে অবশ্যই প্রাধ্যক্ষের দায় থাকে। প্রাধ্যক্ষকে সেই দায় নিতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত