রেলের অনলাইনে টিকিটিং ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪৫
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ১৪: ২২

সহজের মাধ্যমে রেলের নতুন ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর দুই দিন পরও অনলাইনে টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেনে ভ্রমণকারীরা। যাত্রীরা বলছেন, টিকিট তো দূরের কথা, ওয়েবসাইটেই ঢুকতে পারছেন না তাঁরা। 

তবে স্টেশন থেকে অনলাইনে টিকিটিং ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও পাঁচ-ছয়দিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। 

আজ রোববার সকাল ৮টা থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে কাউন্টারে আগের মতো টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে অনলাইনে টিকিট পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীরা অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ আজও করেছেন। 

কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটা কাউন্টারেই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। তবে সেটা শনিবারের তুলনায় কিছুটা কম। টিকিট বিক্রির নতুন সিস্টেম হাওয়ায় কাউন্টারে বুকিং সহকারীদেরও কিছুটা সময় লাগছে টিকিট দিতে। 

আসাদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল থেকে দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর টিকিট পেয়েছি। কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট দিলেও এত দেরি হওয়ার কথা না। তার পরেও টিকিট পেতে দেরি হচ্ছে। লাইনে লোক থাকার পরেও কাউন্টারের ভেতর থেকেও অনেকেই টিকিট কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।’ 

এদিকে স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট কাটতে না পেরে অনলাইনে চেষ্টা করতে দেখা যায় রুহুল আমিন নামের এক যাত্রীকে। অনলাইনে টিকিট কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পাইনি, তাই অনলাইনে চেষ্টা করছি। কিন্তু অনলাইনে রেলের ওয়েবসাইটে ঢুকতে অনেক সময় নিচ্ছে। এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অনলাইন।’ 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন সার্ভিস প্রোভাইডার সহজের বরাত দিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘প্রথম দিনই তাঁরা (সহজ) সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সহজের পক্ষ থেকে রোববারও একই ধরনের আক্রমণ হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। অনলাইনে টিকিটিং সিস্টেম স্বাভাবিক হতে আরও অন্তত পাঁচ-ছয় দিন সময় লাগবে। দেশের বাইরে থেকেই সাইবার আক্রমণ করা হয়েছে বলে সহজ দাবি করেছে। তারা তাদের সিকিউরিটি ব্যবস্থা আরও উন্নত করছে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। ওয়েবসাইটের সাইবার আক্রমণের বিষয় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন।’ 

কাউন্টারের টিকিট বিক্রির বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার জানান, ‘যেহেতু পুরো সিস্টেমটাই নতুন, ফলে বুকিং সহকারীদের বিষয়টি বুঝতে একটু সময় লাগছে। নতুন সিস্টেমের কারণে কাউন্টারে টিকিট কাটতে বুকিং সহকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে, যার জন্য যাত্রীদের লম্বা লাইন হচ্ছে।’ 

এদিকে এর আগে রেলের টিকিটিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সিএনএস লিমিটেড। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজের সঙ্গে রেলওয়ে টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী তারা ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন ও কম্পিউটারাইজড টিকিটিংয়ের কাজ শুরু করেছে তার পর থেকেই বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত